কেন ভেন্যু আর ফ্লাইট নিয়ে খেপেছে শ্রীলংকা?
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় হারের পর শ্রীলংকার জন্য বাংলাদেশের ম্যাচটা এখন মাস্ট উইন। কিন্তু খেলার চেয়ে এখন খেলার বাইরের সমস্যা নিয়ে শ্রীলংকা বেশি ভুগছে।
বিশ্বকাপে ভেন্যু আর ফ্লাইট সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছেন শ্রীলংকার ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে দুইটি দলকেই আলাদা আলাদা চারটা ভেন্যুতে খেলতে হচ্ছে , শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডস। নিউ ইয়র্ক, ডালাস, ফ্লোরিডা, সেন্ট লুসিয়া- শ্রীলংকার চার ভেন্যুর দূরত্বও অনেক। ভ্রমণ নিয়ে তাদের ঝক্কিও সবচেয়ে বেশি। নিউ ইয়র্কে তাদের প্রথম ম্যাচের মাত্র একদিন আগে সে তারা ভেন্যুতে পৌছেছে। শুরুতে ফ্লোরিডায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর তাদের নিউ ইয়র্কের ফ্লাইটের আবার ছিল আট ঘন্টা ডিলে। রাত আটটার ফ্লাইট তাই তারা ধরেছে ভোর পাঁচটায়। যে কারণে আফ্রিকা ম্যাচের আগের দিন তারা অনুশীলনও করতে পারেনি। এরপর নিউ ইয়র্কে তাদের হোটেল থেকে স্টেডিয়াম ছিল ১ ঘন্টা ৪০ মিনিটের দূরত্বের। যে কারণে সকাল সাড়ে দশটার ম্যাচ ধরতে তাদের ভোড় সাড়ে পাঁচটা উঠতে হয়েছে। এবং নাস্তা না সেরেই সকাল সাতটার মধ্যে হোটেল থেকে বের হতে হয়েছে।
ঝামেলা সেখানেই শেষ নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর তাদের সংবাদ সম্মেলনও সারতে হয়েছে তড়িঘড়ি করে। কারণ ম্যাচের পর সন্ধ্যা ছয়টায় আবার তাদের ডালাসের ফ্লাইট, যেখানে তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। সব দলকেই যে এমন ঝামেলা পোহাতে হয়েছে তা নয়। ভারতের প্রথম তিনটি ম্যাচের ভেন্যুই যেমন ইউ ইয়ররকের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই মাঠ থেকে তাদের হোটেলের দূরত্য্বও মাত্র ১৪ মিনিট। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে বড় পরাজয়ে এটা প্রভাব ফেলেছিল কিনা সেটা নিয়ে অধিনায়ক ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা অবশ্য সরাসরি কিছু বলেননি। তবে থিকসানা স্পষ্টতই ভারতের দিকে ইঙ্গিত তুলেছেন। সরাসরি বলেছেন, তাদের সাথে অন্যায় করা হয়েছে এবং কোনো দলকে অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
আপাতত শ্রীলংকার জণ্য একটাই সান্ত্বনা, বাংলাদেশের ম্যাচের আগে তাদের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তিন দিন সময় আছে। অন্তত আফ্রিকার ম্যাচের মতো অনুশীলন না করে তাদের নামতে হচ্ছে না।