বার্বাডোসে বৃষ্টির বাগড়া, লো-স্কোরিং লড়াইয়ে ডাচদের শেষ হাসি
গ্রুপ পর্ব, ডালাস (টস-নেদারল্যান্ডস/বোলিং)
নেপাল - ১০৬, ১৯.২ ওভার (পৌডেল ৩৫, কারান ১৭, গুলশান ১৪, ভ্যান বিক ৩/১৮, প্রিঙ্গল ৩/২০, ভ্যান মিকেরেন ২/১৯)
নেদারল্যান্ডস - ১০৯/৪, ১৮.৪ ওভার (ও’ডাউড ৫৪*, বিক্রমজিত ২২, এঙ্গেলব্রেখট ১৪, আইরি ১/৬, কামি ১/১৮, বোহারা ১/২৯)
ফলাফল - নেদারল্যান্ডস ৬ উইকেটে জয়ী
গ্রুপ পর্ব, বার্বাডোস (টস-স্কটল্যান্ড/ব্যাটিং)
স্কটল্যান্ড - ৯০/০, ১০(১০) ওভার (জোনস ৪৫*, মানসি ৪১*, উড ০/১১)
ফলাফল - ম্যাচ পরিত্যাক্ত
ওয়েস্ট ইন্ডিজে আজ বৃষ্টি হেসেছে শেষ হাসি; অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল নেপালি সমর্থকগোষ্ঠী ফিরেছে বেজার হয়ে। দল যে হেরে বসেছে ডাচদের কাছে! তবে হারার আগেই হারেনি নেপাল। অল্প সংগ্রহ নিয়েও শেষ পর্যন্ত লড়েছে তারা। তবে নেদারল্যান্ডস যেন অভিজ্ঞতার জোরেই মাথা ঠাণ্ডা রেখে জয়টা বের করে আনতে পেরেছে।
১০৭ রানের লক্ষ্য ডাচরা দ্বিতীয় ওভারেই হারিয়ে বসে লেভিটকে। পাওয়ারপ্লেতে ৩৬ রান এলেও তাই সেটা নিয়ে তারা শঙ্কিত না হলেও এরপর স্পিনাররা চেপে বসতে শুরু করলে বিক্রমজিত সিং থামেন ২৮ বলে ২২ রান শেষে। ১৪-১৬ ওভারের মধ্যে হুট করেই রান আউট ও অধিনায়ককে হারিয়ে বসায় শঙ্কায় পড়ে যায় ডাচরা।
সেই সাথে নেপাল সমর্থকদের উন্মাদনায় যেন গমগম করছিল টেক্সাসের মাঠ। তবে সেসবের তোয়াক্কা না করে উইকেটে আসা বাস ডি লিডকে নিয়ে ওয়ানডে মেজাজেই খেলতে থাকেন ওপেনার ম্যাক্স ও'ডাউড। ১৮-তম ওভারে অবশ্য নেপালকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ ঠিকই করে দিয়েছিলেন তিনি। নেপালের চাপ থেকে বের হতে কামির বলে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তিনি। তবে লং-অফে ক্যাচ দিয়েও সেই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। বোহারার করা পরের ওভারেই তাই ম্যাচ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন যেন। টানা চার, ছয়ে ফিফটি পেয়ে যান, আর তুলির শেষ আঁচড়টা ডি লিড টানেন চার দিয়ে। ৪৮ বলে ৫৪* রানের সময়োপযোগী ইনিংসে ও'ডাউড তাই আর নেপালকে কোনো সুযোগ দেননি।
এর আগে বল হাতে ডাচরা পাওয়ারপ্লেতেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেন নেপালিদের। মাত্র ২৯ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে দুই উইকেট। ১১-তম ওভারে নেপালের মারমুখী ব্যাটার দিপেন্দ্র সিং যখন ফিরলেন তখন স্কোরবোর্ড বলছে ৫৩/৫! ভ্যান মিকেরেনকে একবার শুরুতে সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন তারা; পরে তো মাঝেও নেই কোনো স্বস্তি! প্রিঙ্গল-ভ্যান বিক জুটি বেঁধে নিয়মিত উইকেট তুলে নিয়েছেন। আসা যাওয়ার মিছিলের মধ্যে অধিনায়ক রোহিত পৌডেল যা একটু লড়েছিলেন। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে দলের শতরান পার করতে তিনিই মূল ভূমিকা রেখেছিলেন। দিনশেষে অবশ্য ডাচদের অভিজ্ঞ রান তাড়ায় সেটা কাজে আসেনি।
অন্যদিকে বার্বাডোসে বৃষ্টি চোখ রাঙিয়েছে বারবার। ৭ম ওভারে খেলা থামার পর বন্ধ ছিল লম্বা সময়। তখন দল প্রতি ১০ ওভারে খেলা নেমে আসে। বৃষ্টির আগে দারুণ খেলতে থাকা স্কটিশরা বৃষ্টির পরেও খেলেছে দারুণ। ইংলিশ বোলাররা উইকেটের দেখাই পাননি! দুই ওপেনার মিলেই পাড়ি দিয়েছিলেন পুরো দশ ওভার। ৩০ বলে ৪৫* রানে মাইকেল জোনস ও ৩১ বলে ৪১* রানে থেকে জর্জ মানসি ইনিংস শেষ করলে ডিএল মেথডে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল ১০৯ রান। তবে বৃষ্টি আর ইংলিশদের পরীক্ষা দেওয়ার কোনো সুযোগও রাখেনি। তাতে করে অবশ্য এখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে জয়ের খাতায় টিক চিহ্ন দেওয়া হল না ইংলিশদের।