• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    নাসাউ কাউন্টিতে পেসারদের দাপট, রোহিতের ফিফটিতে ভারতের সহজ জয়

    নাসাউ কাউন্টিতে পেসারদের দাপট, রোহিতের ফিফটিতে ভারতের সহজ জয়    

    গ্রুপ পর্ব, নিউ ইয়র্ক (টস-ভারত/বোলিং)
    আয়ারল্যান্ড - ৯৬, ১৬ ওভার  (ডিলেনি ২৬, লিটল ১৪, ক্যাম্ফার ১২, হার্দিক ৩/২৭, বুমরাহ ২/৬, আরশদীপ ২/৩৫)
    ভারত - ৯৭/২, ১২.২ ওভার (রোহিত ৫২, পান্ট ৩৬*, ওয়াইট ১/৬, অ্যাডেয়ার ১/২৭)
    ফলাফল - ভারত ৮ উইকেটে জয়ী


     

    নাসাউ কাউন্টিতে রানের দেখা মেলাই যেন ভার হয়ে যাচ্ছে। বোলারদের দাপটের আরও এক দিনে অবশ্য দুই দলকেই ব্যাট হাতে খাবি খেতে দেখা যায়নি, বরং হেসেখেলেই লক্ষ্য তাড়া করে জয় পেয়েছে ভারত। পেসারদের দাপুটে পারফরম্যান্সকে তাই আলাদা করেই ধন্যবাদ জানাবে তারা।

    ৯৭ রানের লক্ষ্যে এদিন রোহিত শর্মার সাথে ওপেন করতে নামলেও অবশ্য সাফল্য পাননি ভিরাট কোহলি। অ্যাডেয়ারকে বেরিয়ে এসে খেলতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে মাত্র ১ রানেই থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে থামেন তিনি। তবে এরপর পান্টকে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি ভারত অধিনায়ককে। পাওয়ারপ্লেতে ৩৯ রান এলে হাত খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

    নবম ওভারে লিটলকে টানা দুই ছয় মেরে গড়েন অনন্য এক রেকর্ড। এদিনই তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪০০০ রানের মাইলফলক ছোঁয়ার পাশাপাশি এই দুই ছয়ে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬০০ ছয়ের রেকর্ড গড়েন রোহিত। অবশ্য পরের ওভারে চার মেরে ৩৬ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পরে ঘটে বিপত্তি। আগেই কনুইয়ে আঘাত পাওয়া রোহিত স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়েন। এর পরের ওভারে দুই বার শরীরে আঘাত পেয়েছিলেন পান্টও। তবে মাঠ তো তিনি ছাড়েননি বটেই, উলটো ম্যাচ জয়ী শটটায় তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। দুর্দান্ত এক রিভার্স হিটে উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে ছয় হাঁকিয়ে ২৬ বলে ৩৬* রানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।

    এর আগে বল হাতে পাওয়ারপ্লে থেকেই আইরিশ ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন ভারতীয় বোলাররা। পাওয়ারপ্লেতে আইরিশরা তুলেছিল মোটে ২৬ রান। অবশ্য ততক্ষণে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার চেষ্টা করেও তারা হারিয়ে বসেছিল দুই উইকেট। দুই ওপেনার স্টার্লিং ও বালবির্নি বাঁহাতি পেসার আরশদীপের শিকার হয়ে ফিরেছিলেন। তবে আসল ধাক্কাটা শুরু হয় এরপর থেকেই।

    হার্দিক-বুমরাহ জুটি বেঁধে সিরাজ-আরশদীপদের সাজানো মঞ্চে এসে রীতিমত ত্রাস সঞ্চার করেন। সপ্তম থেকে দ্বাদশ ওভার পর্যন্ত প্রতি ওভারেই উইকেট হারিয়েছে আইরিশরা! বুমরাহর সাঁড়াশি স্পেল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, তো হার্দিক এসে উইকেট শিকারি বলে তার ফায়দা নিয়ে যাচ্ছে। ছয় ওভারের সেই ঝড়ে আয়ারল্যান্ডের স্কোর হয়ে দাঁড়ায় ৫০/৮! সেখান থেকে শেষ দুই জুটিতে গ্যারেথ ডিলেনি যা একটু লড়েছেন। রান আউট হয়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে থামার আগে ১৪ বলে ২৬ রান করে ফেরার আগে যা একটু মান বাঁচিয়েছিলেন তিনি।