• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    প্রশ্ন ব্যাটিং আর অফ ফর্মঃ কোণঠাসা পাকিস্তান কি এবারও ভয়ংকর?

    প্রশ্ন ব্যাটিং আর অফ ফর্মঃ কোণঠাসা পাকিস্তান কি এবারও ভয়ংকর?    

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সব দলগুলোর মধ্যে সবার শেষে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম অবসর ভেঙে আবার ফিরেছেন দলে। পাঁচজন পেসারকে নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, স্পিন অপশন বলতে ইমাদের সাথে শুধু আবরার আহমেদ। স্পেশালিস্ট ব্যাটার আছে সাতজন, আর স্পিনিং অলরাউন্ডার ইমাদ ও শাদাব। লক্ষ্যণীয় ব্যাপার, কোনো ভাইস ক্যাপ্টেন বা ট্রাভেলিং রিজার্ভ রাখা হয়নি পাকিস্তানের এই স্কোয়াডে ।
    গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের ক্রিকেট জুড়ে অস্থিরতার মেঘ। বাবর থেকে শাহীন শাহ এরপর আবার বাবর- টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্বে হাতবদল হয়েছে বার বার। এসেছে নতুন নির্বাচক প্যানেল, এসেছে নতুন কোচ। খর্বশক্তির নিউজিল্যান্ডের সাথে দেশের মাটিত্যে সিরিজ ড্র আর আয়ারল্যান্ডের কাছে একটি ম্যাচে হার জানান দেয়, প্রস্তুতিও খুব মনমতো হয়নি পাকিস্তানের। তবে পাকিস্তান যখন কোণঠাসা থাকে, তখনই সাধারণত  তারা সবচেয়ে ভালো করে।

    গ্রুপে কারা?
    বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সাথে আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তান থাকবেই, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই গ্রুপ থেকে সুপার এইটে পাকিস্তান না উঠলে সেটা হবে বিশাল অঘটন।

    খেলা কোথায়?
    পাকিস্তানের গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে। আন্তর্জাতিক অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ভারতের সাথে বহুল প্রতীক্ষিত গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। অন্য ম্যাচগুলো হবে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম ও ফ্লোরিডার লডারহিলের সেন্ট্রাল ব্রোয়ার্ড পার্ক স্টেডিয়ামে এই তিনটি স্টেডিয়ামের কোনোটিতেই এখনো খেলেনি পাকিস্তান।

    শক্তি পেস বোলিং

    এই পাকিস্তান দলের মূল শক্তি অবশ্যই তাদের পেস বোলিং। নাসিম শাহ বিশ্বকাপে চোটের ধাক্কা কাটিয়ে আবার ফিরেছেন দলে, পিএসএলেও ১১ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে দিয়েছেন ছন্দে ফেরার আভাস। তার বোলিং বড় প্লাস পয়েন্ট হবে পাকিস্তানের জন্য। মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমের অভিজ্ঞতা কাজে দিতে পারে দলের জন্য। দুজনেই পিএস্এলে মোটামুটি ধারাবাহিক ছিলেন, ইমাদ একমাত্রে লেফট স্পিনার হিসেবে এক্স ফ্যাক্টর যোগ করতে পারেন এই দলে, যেটা মিসিং ছিল পাকিস্তানের ওয়ানডে বিশ্বকাপ দলে। শাহীন শাহ, নাসিম, হারিসদের নিয়ে পাকিস্তানের বোলিং টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা। পরিসংখ্যানও বলছে ১৫০ রানের বেশি ডিফেন্ড করায় এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি জয় পেয়েছে পাকিস্তান।বাবরদের ভাবতে হবে পাঁচ পেসারের মাঝ থেকে কীভাবে সেরা কম্বিনেশন বের করে আনা যায়।

    বাবরের ব্যাটিং 

    পাকিস্তানের বড় শক্তি বা দুর্বলতা অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাটিং।  টি-টোয়েন্টির ইতিহাসের সেকেন্ড হাইয়েস্ট রান তার, তবে এই ফরম্যাতে তার ইন্টেন্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ২০২৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবরের স্ট্রাইক রেট ১৪২, যা তার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেটের চেয়ে  অনেকটাই বেশি। যার মানে বোঝা যাচ্ছে , বাবর আগের চেয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করার চেষ্টা করছেন।

    প্রশ্ন ব্যাটিং নিয়ে

    তবে বাবর-রিজয়ানকে বাদ দিলে পাকিস্তানের ব্যাটিং নিয়ে আছে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। ওপেনার সাইম আইয়ুব পিএসএলে ভালো করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো তার সামর্থ্যের পরিচয় দিতে পারেননি। ২১টি টি-টোয়েন্টি খেলেও এখনো কোনো ফিফটি নেই তার, স্ট্রাইক রেট আর গড়ও বলছে এখনো নিজের সামর্থ্য জানান দিতে পারেননি দেশের হয়ে।
    অন্যদিকে দল হিসেবেও টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ব্যাটিং খুব ভরসা করার মতো নেই। ২০২২ সাল থেকে আইসিসির পূর্ণ সদস্যদের মধ্যে একমাত্র পাকিস্তানই এখনো ২০০ রানের বেশি টার্গেট দিতে পারেনি প্রতিপক্ষকে।


    সর্বশেষ ২০২২ টি-টয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান, যদিও হেরে যায় ইংল্যান্ডের কাছে। এবারের স্কোয়াডে কাগজে কলমে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও পাকিস্তান ক্রিকেট আগাম কিছু বপ্লা কঠিন। আনপ্রেডিক্টিবিলিটিই যে তাদের সবচেয়ে বড় প্রেডিক্টিবিলিটি