বাংলাদেশের দাপুটে বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১২৪
গ্রুপ পর্ব, ডালাস (টস-বাংলাদেশ/বোলিং)
শ্রীলঙ্কা - ১২৪/৯, ২০ ওভার (নিসাঙ্কা ৪৭, ধনঞ্জয়া ২১, আসালাঙ্কা ১৯, মোস্তাফিজ ৩/১৭, রিশাদ ৩/২২, তাসকিন ২/২৫)
বোলিং নিয়ে বাংলাদেশের শুরুটা যেন ঠিক মনমত হয়নি। পিচ থেকে পেসাররা সাহায্য পাবে এমনটাই কারণ দেখিয়েও দ্বিতীয় ওভারেই সাকিবকে আক্রমণে আনলেন শান্ত। ফাটকাটা কাজে না লাগলে পরের ওভারে তাসকিনকে আনা হলে তাকে টানা দুই বাউন্ডারিতে স্বাগত জানান কুশল। অবশ্য পরের বলটাই স্টাম্পে ডেকে এনে থামেন তিনি। পরের ওভারে সাকিবকে চার বাউন্ডারি মেরে অবশ্য নিসাঙ্কা বুঝিয়ে দেন শান্তর এই পরিকল্পনা কাজে লাগবে না। বিকল্প খুঁজতে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে মোস্তাফিজকে ডাকা হলে প্রথম বলেই তিনি ফেরান কামিন্দু মেন্ডিসকে। তবে পাওয়ারপ্লেতে ৫৩ রান তুলে ফেলে যেন ছুটছিল শ্রীলঙ্কা।
সেখান থেকেই ম্যাচে ধীরে ধীরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের স্লোয়ার পড়তে না পেরে নিসাঙ্কা আকাশে বল ভাসিয়ে যখন ২৮ বলে ৪৭ রানে থামলেন সেখান থেকেই পড়তে শুরু করে শ্রীলঙ্কার রান রেট। সুযোগ বুঝে লঙ্কানদের ওপর চড়ে বসেন রিশাদ। গতির তারতম্যে শ্রীলঙ্কা ব্যাটারদের ব্যতিব্যস্ত করে রেখে ১৫-তম ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। লেগ স্পিনারকে আক্রমণ করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়্যার লেগে ক্যাচ তুলে আসালাঙ্কা ফিরলে পরের বলেই হাসারাঙ্গাকে স্লিপের ফাঁদে ফেলেন রিশাদ। রিশাদের দারুণ সেই ওভারের পরিক্রমায় ম্যাচে ফিরতে শুরু করে বাংলাদেশ, রাস্তাটাও রিশাদ নিজেই তৈরি করেন নিজের স্পেলের শেষ ওভারে ২৬ বলে ২১ রানে থাকা ধনঞ্জয়াকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে।
তীক্ষ্ণ ঘূর্ণির জালে ফেলে রিশাদ যে বাংলাদেশকে ম্যাচে চালকের আসনে বসালেন সেখান থেকে আর কর্তৃত্ব হারায়নি তারা। ফিরে তাসকিন হাত খোলার সুযোগ না দিয়ে থামিয়েছিলেন শানাকাকে। ১৯তম ওভার করতে এসে মোস্তাফিজ পরে জ্বলে উঠেছেন আরেকবার; ফিরিয়েছিলেন থিকশানাকে। দুর্দান্ত এক স্পেলে ফর্ম ধরে রেখে রানও দিয়েছিলেন মোটে ১৭। শেষ ওভার করতে এসে তরুণ তানজিম সাকিবও স্নায়ু ধরে রেখে ১৬ রানে থাকা ম্যাথিউজকে থামালে ১০০/৩ থেকে ১২৪ রানে আটকে যায় শ্রীলঙ্কা।