• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    পাকিস্তানি পেসের তোপে ভারতের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধস

    পাকিস্তানি পেসের তোপে ভারতের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধস    

    গ্রুপ পর্ব, নিউ ইয়র্ক (টস - পাকিস্তান/বোলিং)
    ভারত - ১১৯, ১৯ ওভার  (পান্ট ৪২, অক্ষর ২০, রোহিত ১৩, নাসিম ৩/২১, হারিস ৩/২১, আমির ২/২৩)


     

    পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচ মানেই গত কয়েক বছরে যেন ভারতের একছত্র আধিপত্য; তবে বাবর আজমের দল আজ মুদ্রার উল্টো পিঠটা দেখিয়ে দিল ম্যাচের প্রথমার্ধে। বৃষ্টি বারবার বাগড়া দেওয়ায় ম্যাচ শুরু হতে দেরি হওয়ার পর শুরুর ধাক্কা সামলে ভারত নিজেদের এগিয়ে নিলেও পাকিস্তানের পেস ব্যাটারির সামনে রীতিমত মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম দশ ওভারে ৮১/৩ থেকে নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির, হারিস রউফদের দাপটে ভারত শেষ নয় ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলেছে মোটে ১৯ রান!

    বৃষ্টিতে টস হতে দেরি হওয়ার পর খেলা শুরু হলেও ভারত ৮ রান তুলতেই আবারও বাধ সাধে আবহাওয়া। তবে ক্ষণিকের সেই বিরতি যেন পাকিস্তানের যেন বয়ে আনে লড়াইয়ের দমকা হাওয়া। খেলা শুরু হওয়ার পরেই থামেন ওপেন করতে নামা কোহলি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেই পাকিস্তানের বিপক্ষে কোহলির আজকের আগে গড় ছিল ৩০৮, সেই তিনিই অফ স্টাম্পের বহু বাইরের এক বল তাড়া করে কাভারে ক্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে মাত্র ৪ রানে ফিরলেন নাসিমের শিকার হয়ে। অন্য প্রান্তে বড় ছয়ে ঝড়ের ইঙ্গিত দেওয়া রোহিতও একটু পরেই ডিপ স্কয়্যার লেগে শাহীনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরলেন ১৩ রানে। বিস্ময়কর এক সিদ্ধান্তে চারে এরপ অক্ষরকে পাঠানো হলে তাকে নিয়ে পান্ট ভালোই সামাল দিচ্ছিলেন শুরুর ধাক্কা। দুজনে মিলে পাওয়ারপ্লেতে ৫০ রান তুলে ফেলেন।

    নাসিম শাহর সোজা বল মিস করে অক্ষর ১৮ বলে ২০ রানে এরপর থামলেও অবিচল ছিলেন পান্ট। দশম ওভারে হারিসকে টানা তিন চার মেরে নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তার জবাব দিয়ে পান্ট শক্ত বার্তাই দিয়েছিলেন। তবে বাবরের অধিনায়ক সত্ত্বা এদিন যেন অন্য পরিকল্পনা সাজিয়েই বসেছিলেন। উইকেটে আসা সূর্যকুমার বা পান্টের দুজনেই যে হারিসের সেই গতি ব্যবহার করতে চাইবেন সেটা ঠাহর করে ঠিকই তার ওপর আস্থা রাখলেন। আস্থার প্রতিদান দিয়ে নিজের পরের ওভারেই সূর্যকুমারকে থামালেন ৭ রানেই। সেখান থেকেই ভারত আর ফিরতে পারেনি।

    শিকারের ঘ্রাণ পেয়ে খুনে পাকিস্তানি পেসাররা ছিন্নভিন্ন করে ফেলে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। দিন জুড়েই দুর্দান্ত বল করা নাসিম এরপর ফিরতি ক্যাচে থামান দুবেকে। নাসিমের পর ভাগ্য খোলে আমিরের। এর আগে তার বলে দুবার পান্ট জীবন পেয়েছিলেন; সেটাও ষষ্ঠ ওভারে পান্ট কিছু বুঝে ওঠার আগেই। শেষ হাসি হেসে মিড অফ উঠিয়ে এনে পান্টকে ফাঁদে ফেলে তার ৩১ বল ৪২ রানের ইনিংসের ইতি টানেন আমির। পরের বলেই জাদেজাকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখান এই বাঁহাতি পেসার। মাত্র ৭ রানের ব্যবধানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত! শেষ ভরসা হিসেবে হার্দিক উইকেটে থাকলেও হারিসের গতির কাছে হার মেনে ১২ বলে ৭ রানে তিনি থামলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভারত। আরশদীপের রান আউটে ইনিংস শেষ হয়ে ভারত গুটিয়ে যায় ১১৯ রানে।