সুপার এইটে যেতে বাংলাদেশের সামনে পথ কেমন
অনেক যদি-কিন্তুর এক ম্যাচে বাংলাদেশের তরী ডুবেছে তীরে এসে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয় থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে এসেও ফিরতে হয়েছে রিক্ত হস্তে। আম্পায়ারদের শূলে চড়াচ্ছেন কমবেশি সবাই; সেই সাথে আইসিসির নিয়ম নিয়েও আবার উঠেছে প্রশ্ন। তবে বাংলাদেশের নিজেদের আয়নায় তাকালেও খুব একটা আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। ম্যাচটা জিতলে পথটা যতটা সহজ হত, হারের কারণে, তা সে ব্যবধান যাই হোক না কেন, রাস্তাটা আবার কঠিন হয়েই দাঁড়িয়েছে বলা চলে।
এমনকি টানা তিন জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাও এখনও সুপার এইট নিশ্চিত করতে পারেনি গাণিতিক সমীকরণে। তবুও বলা যায়, তাদের এক পা সুপার এইটেই। বাংলাদেশ স্বল্প ব্যবধানে হারায় রান রেটের দিক দিয়ে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে এগিয়ে দুইয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের হারে শ্রীলঙ্কা আবারও চলে এসেছে সুপার এইটের আলাপে। ভোরে নেপালের সাথে ম্যাচের পাশাপাশি যদি নেদারল্যান্ডসের সাথেও তারা জয় পায়, আর বাকি দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরে বসে তাহলে শ্রীলঙ্কার সামনে খুলে যাচ্ছে পথ; তবে ডাচরাও তাদের থেকে রান রেটে এগিয়ে থাকায় তখন আসবে সমীকরণ।
অন্যদিকে বাকি দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ জিতলেই পরের রাউন্ডে চলে যাবে। কারণ সেই ক্ষেত্রে নেপাল বা নেদারল্যান্ডস কেউই ৬ পয়েন্ট পাবে না। বাংলাদেশ যদি কোনো একটা ম্যাচ হেরে বসে সে ক্ষেত্রে রান রেটের ত্রিমুখী লড়াইয়ে পড়তে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা যদি আবার নেপালের কাছে হেরে বসে তাহলে নেপাল বা নেদারল্যান্ডসের কাছে এখনও গাণিতিকভাবে জায়গা হারাতে পারে প্রোটিয়ারা, যে কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও সুপার এইটে যায়নি তারা।
সবশেষে তাই বাংলাদেশের জন্য কাজটা মোটা দাগে একটাই - বাকি দুই ম্যাচ জেতা। যেকোনো এক ম্যাচ হেরে বসলেই না হলে কঠিন সমীকরণে পড়তে হবে।