ইউরো গ্রুপ এ: ফেবারিট জার্মানি, এরপর…
১৫ জুন শুরু হচ্ছে এবারের ইউরো। টুর্নামেন্টের ২৪ দলকে ভাগ করা হয়েছে ৬টি গ্রুপে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন গ্রুপ কেমন হলো
গ্রুপ এ
জার্মানি
র্যাংকিং ১৬
২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের পর বড় আসরে জার্মানরা সাফল্যের মুখ দেখেনি আর। তবে ইউরোর ইতিহাসের যৌথভাবে সফল এই দলটি নিজেদের মাঠে এবার বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছে। জার্মানির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। হেরেছে অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, তুরস্কের মতো দলের কাছে। তবে সর্বশেষ দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস আর ফ্রান্সকে হারিয়ে দিচ্ছে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস।
শক্তি
ইউরোতে জার্মানির মূল ভরসা মিডফিল্ড। এই সময়ের দুই তরুণ সেনসেশন মুসিয়ালা ও ভির্টজের সঙ্গে আছেন দুই অভিজ্ঞ যোদ্ধা- ইলকায় গুন্ডোগান ও অবসর থেকে ফেরা টনি ক্রুস। আর ডাগআউটে কোচ নাগেলসমান এই সময়ের সেরা ট্যাকটিকিশিয়ানদের একজন।
দুর্বলতা
লেফট ব্যাকে অভিজ্ঞতার কিছুটা অভাব আছে। জার্মানির বড় দুশ্চিন্তা হতে পারে নাম্বার নাইন। হ্যাভার্জ ফলস নাইনে কেমন করবেন সেটাও বড় প্রশ্ন।
কোচ
বয়স মাত্র ৩৬ হলেও ইতোমধ্যে হফেনহাইম, লাইপজিগ ও বায়ার্নের মতো ক্লাবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন জুলিয়ান নাগেলসমান।
স্কটল্যান্ড
র্যাংকিং ৩২
১৯৯৬ সালে প্রথমবার ইউরোতে অংশ নেওয়ার পর দীর্ঘ বিরতি নিয়ে ২০২০ আসরে আবার ফেরে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ফুটবল দল স্কটল্যান্ড। এবারও বড় কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে তারা যাচ্ছে জার্মানিতে। সর্বশেষ দুই ম্যাচে আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের সাথে হারটা স্কটিশদের কিছুটা ধাক্কা দিয়েছে।
শক্তি
স্কটল্যান্ডের মিডফিল্ডে। ভরসার নাম ম্যাকটোমিনে-ম্যাকগিন জুটি। দুজনেই গোল স্কোরিং দক্ষতা স্কটল্যান্ডের বড় প্লাস পয়েন্ট। ডিফেন্সে রবার্টসন-টিয়ের্নির ডিফেন্স তাদের অন্যতম শক্তি।
দুর্বলতা
স্ট্রাইকিং পোজিশনে চে অ্যাডামস, লিন্ডন ডাইকসরা তেমন ফর্মে নেই, গোল করার জন্য তাই তাদের মিডফিল্ডই ভরসা।
কোচ
সাবেক কোচ অ্যালেক্স ম্যাকলিশকে রিপ্লেস করার পর ৫ বছরে স্কটল্যান্ডকে টানা দুবার ইউরোতে নিয়ে গিয়েছেন বর্তমান কোচ স্টিভ ক্লার্ক।
হাঙ্গেরি
র্যাংকিং ২৬
পুসকাস-হিদেকুটিদের পর দীর্ঘদিন বড় আসরে জায়গা পায়নি একসময়কার পরাশক্তি হাঙ্গেরি। তবে গত এক দশকে আবার গুছিয়ে ওঠেছে তারা, টানা তৃতীয় ইউরোতে অংশ নিতে যাচ্ছে এই দল। তাদের এই সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বলে দিচ্ছে তারা বেশ ফর্মে আছে, যদিও এই সময়ে বড় কোনো দলের মুখোমুখি হয়নি তারা।
শক্তি
তাদের বড় অস্ত্র বোর্নমাউথের ইনফর্ম লেফট উইং ব্যাক কেরকেজ । আর লিভারপুলের ডমিনিক সোবোজলাই এবারের ইপিএলে দারুণ নজর কেড়েছেন অল রেডদের হয়ে।
দুর্বলতা
ফার্স্ট চইস গোলকিপার পিটার গুলাসির ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া তাদের জন্য বড় একটা ধাক্কা।
কোচ
২০১৮ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পরে কোচ মার্কো রসির অধীনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোতে খেলবে হাঙ্গেরি।
সুইজারল্যান্ড
র্যাংকিং ১৯
বড় আসরে ইউরোপের নিয়মিত মুখ সুইজারল্যান্ডের এটা টানা তৃতীয় ইউরো। ট্র্যাডইশনাল পাওয়ারহাউস না হলেও সুইজারল্যান্ডের এই গোল্ডেন জেনারশনের কাছ থেকে বড় কিছুর আশা করতেই পারে সমর্থকেরা। তবে তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অবশ্য খুব ভরসা করার মতো নয়। ইউরো কোয়ালিফায়ারে দুর্বল রোমানিয়ার সাথে হার একটি শঙ্কার কারণ হতে পারে।
শক্তি
দলের অন্যতম শক্তির জায়গা গোলকিপিংয়ে ইন্টার মিলানের সোমার। ডর্টমুন্ডের কবেলও ভালো বিকল্প। ম্যানুয়েল আকাঞ্জি ডিফেন্সের লিডার। আর মিডফিল্ডে লেভেরকুসেনের হয়ে অসাধারণ মৌসুম কাটানো গ্রানিত শাকা তো আছেনই।
দুর্বলতা
ফ্রেঞ্চ ক্লাব মোনাকোর হয়ে খেলা এম্বোলোর ইনজুরি তাদের জন্য একটা বড় ধাক্কা।
কোচ
২০২১ সালের আগস্টে সুইজারল্যান্ড দলের দায়িত্ব নেওয়া মুরাত ইয়াকিনের প্রথম ইউরো হতে যাচ্ছে এবার।