ইউরো গ্রুপ বি: কঠিনতম গ্রুপ?
স্পেন
র্যাংকিং ৮
ইউরোর ইতিহাসে যৌথভাবে সফলতম দল স্পেন। টানা দুবার ইউরো জেতার একমাত্র কীর্তিও তাদের। তবে ২০১২ ইউরোর পর আর এই শিরোপা জেতেনি তারা। ২০২৩ ইউয়েফা নেশন্স লিগ জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে লা ফুরিয়াদের। তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম আশা দেবে সমর্থকদের। এই সময়ে ব্রাজলের সাথে ড্র করেছে তারা, হারিয়েছে ইতালিকে। একমাত্র পরাজয়টি এসেছে কলম্বিয়ার বিপক্ষে।
শক্তি
গোলপোস্টের নিচে আছেন এবারের প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে গোল্ডেন গ্লাভস জেতা ডেভিড রায়া। অ্যালেটিক বিলবাওয়ের উনাই সিমনও ভালো ব্যাকআপ হতে পারে।
ডিফেন্সে অভিজ্ঞ লাপোর্ত এবং কার্বাহালের সাথে আছেন লেভেরকুসেনের ইনফর্ম অ্যালেক্স গ্রিমাল্ডো।
মোরাটার সাথে উইঙ্গার হিসেবে নিকো উইলিয়ামস এবং বার্সার লামিন ইয়ামাল মিলে বেশ শক্তিশালী আক্রমণভাগ।
দুর্বলতা
মিডফিল্ডে ভরসার জায়গা বার্সার পেদ্রি ও গাভির ইনজুরি তাদের এবারের মৌসুমে বড় একটা ধাক্কা।
কোচ
২০২২ সালে লুইস এনরিককে রিপ্লেস করে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই লুইস দে লা ফুয়েন্তের প্রথম বড় টুর্নামেন্ট। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর স্পেনকে ইতোমধ্যে জিতিয়েছেন একটি নেশন্স লিগ।
ক্রোয়েশিয়া
র্যাংকিং ১০
বড় দলগুলোর বাইরে এবার চমকে দিতে পারে ক্রোয়েশিয়া। সর্বশেষ দুটি বিশ্বকাপের এক্টির রানার আপ ও একটির সেমিফাইনালিস্টট। খেলেছে সর্বশেষ নেশন্স লিগের ফাইনালেও।
যদিও ইউরোতে তাদের রেকর্ড খুব ভালো নয়। সর্বশেষ ১০ ম্যাচে তারা নেদারল্যান্ডসকে যেমন হারিয়েছে, আবার তেমনি হেরেছে ওয়েলস আর তুরস্কের মতো দলের কাছেও
শক্তি
ডিফেন্সে সদ্য প্রিমিয়ার লিগ জেতা ভার্দিওল এবং বুন্দেসলিগা জয়ী স্ট্যানিসিক ভরসার নাম হতেই পারে। তবে ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি মিডফিল্ড। ৩৮ বছর বয়সে মদ্রিচ এখনো দুর্দান্ত, সাথে থাকবেন ম্যান সিটির কোভাচিচ ও আল নাসরের ব্রোজোভিচ
দুর্বলতা
ইভান পেরিসিচ তাদের সবচেয়ে ‘ক্লাচ’ প্লেয়ার, তবে এসিএল ইনজিরির পর কতটা ফুল ফিট থাকবেন সেটাই প্রশ্ন।
কোচ
সাত বছর ধরে ক্রোয়েশিয়ার ডাগআউটে থাকা দালিচ দলকে দুবার বিশ্বকাপের শেষ চারে নিয়ে গেছেন।
ইতালি
র্যাংকিং ৯
সর্বশেষ বিশ্বকাপেও কোয়ালিফাই করতে না পারা ইতালি এবার ফেবারিটদের দৌড়ে নেই। তবে ইউরোতে তারাই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, আর বড় টুর্নামেন্টে ইতালির রেকর্ডও দারুণ। ইংল্যান্ড আর স্পেনের কাছে ইতালি হেরেছে সম্প্রতি, ইউরোর বাছাইপর্বেও ইংল্যান্ডের অনেকটা পেছনে থেকে ইতালি শেষ করেছে দুইয়ে। একটুর জন্য খেলতে হয়নি প্লে অফ।
শক্তি
আজ্জুরিদের সবচেয়ে বড় তারকা তাদের গোলকিপার পিএসজির জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মা, তবে তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন স্পার্সের ইনফর্ম গোলকিপার গিলেলমো ভিকারিও।
এছাড়া মিডফিল্ডে আর্সেনাল মিডফিল্ডার জর্জিনিও এবং সদ্য স্কুদেত্তো জেতা নিকোলা বারেল্লা গত ইউরোর পারফরম্যান্স রেপ্লিকেট করতে পারলে ইতালি যেতে পারে অনেক দূর।
দুর্বলতা
এই দলে একমাত্র দুর্বলতা অবশ্যই তাদের বিশ্বমানের কোনো নাম্বার নাইন না থাকা।
কোচ
নাপলিকে ২২/২৩ মৌসুমে স্কুদেত্তো জেতানো লুসিয়ানো স্পালেত্তির ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজার হিসেবে এটাই প্রথম বড় টুর্নামেন্ট।
আলবেনিয়া
র্যাংকিং ৬৬
এই গ্রুপে আন্ডারডগ হিসেবে মাঠে নামবে আলবেনিয়া। এর আগে ২০১৬ ইউরো ছিল তাদের প্রথম ও একমাত্র বড় টুর্নামেন্ট।
সর্বশেষ ১০ ম্যাচে তারা হারিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র ও পোল্যান্ডের মতো দলকে, এই দুই জয় বড় আত্মবিশ্বাস দেবে তাদের
শক্তি
এমপলির এতরিত বেরিশা গোলপোস্টের নিচে আস্থা হতে পারেন। সিরি আর বেশ কয়েকটি ক্লাবে খেলেন সেন্ট্রাল ডিফেন্সের কয়েকজন, যেটা তাদের বড় শক্তি। স্ট্রাইকে ফুলহ্যামের ইয়ং ট্যালেন্ট আরমান্ডো ব্রোহা ফ্রন্ট লাইনে একটা বুস্ট হিসেবে কাজ করবে।
দুর্বলতা
ব্রোহা বাদে কোনো মানসম্পন্ন স্ট্রাইকিং অপশন না থাকা তাদের জণ্য চিন্তার কারণ হতে পারে।
কোচ
ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার সিলভিনিওর, লিঁও ও করিন্থিয়ানসের পর এটা হবে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম কোনো বড় অ্যাসাইনমেন্ট।