• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    সাকিবের ব্যাটে রান, মোস্তাফিজের গোলকধাঁধা, রিশাদের নিয়মিত উইকেটে বাংলাদেশের জয়

    সাকিবের ব্যাটে রান, মোস্তাফিজের গোলকধাঁধা, রিশাদের নিয়মিত উইকেটে বাংলাদেশের জয়    

    গ্রুপ পর্ব, সেইন্ট ভিনসেন্ট (টস-নেদারল্যান্ডস/বোলিং)
    বাংলাদেশ - ১৫৯/৫, ২০ ওভার (সাকিব ৬৪*, তামিম ৩৫, মাহমুদউলাহ ২৫, ভ্যান মিকেরেন ২/১৫, আরিয়ান ২/১৭, প্রিঙ্গল ১/২৬)
    নেদারল্যান্ডস - ১৩৪/৮, ২০ ওভার (এঙ্গেলব্রেখট ৩৩, বিক্রমজিত ২৬, এডওয়ার্ডস ২৫, রিশাদ ৩/৩৩, তাসকিন ২/৩০, মাহমুদউল্লাহ ১/৬)
    ফলাফল - বাংলাদেশ ২৫ রানে জয়ী




    সমালোচনার জবাব তার ক্যারিয়ারে বহুবার দিয়েছেন; আজও যেন সমালোচকদের একটা জবাব দেওয়ার জন্য পণ করেই মাঠে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। সেইন্ট ভিনসেন্টের পিচে রান করা যে একেবারেই সহজ তাও নয়, আবার একবার টিকে গেলে রান বের করা সম্ভব। সাকিব তাই করলেন; শেষ পর্যন্ত থেকে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন লড়াইয়ের রসদ। সেই রসদকে কাজে লাগিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান যেন রহস্যের জাল বুনে বসেছিলেন, আর অন্যদিকে স্নায়ু ধরে রেখে গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট নিয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন রিশাদ হোসেন। পূর্ণাঙ্গ বোলিং পারফরম্যান্সে তাই সুপার এইটের পথে শক্তভাবেই আজ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

    ১৬০ রানের লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডস চিন্তায়ই ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। মাইকেল লেভিট মারকাটারি ব্যাটিংয়ে শুরু করলেও ধীরে ধীরে গুটিয়ে গেলে তাসকিন তাকে থামান। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে হাত খোলার সুযোগ খুঁজতে থাকা ম্যাক্স ও'ডাউডের জোরালো এক শটে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তানজিম সাকিব ডাচদের নিশ্চুপ করে দেন। তবে দমে না গিয়ে ডাচরা একের পর এক আক্রমণাত্মক শুট খেলে যায়। দশম ওভার পর্যন্ত প্রতি ওভারেই তারা বাউন্ডারি তুলে নিয়েছিল। সাকিব আক্রমণে এলে তো তার ওপর রীতিমত চড়াও হন বিক্রমজিত সিং। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে আটকাতেই দশম ওভারে মাহমুদউল্লাহকে আক্রমণে আনেন। প্রথম ওভারেই ফাটকা কাজে লেগে যায়। ধীর গতিতে বল ভাসালে তাকেও আক্রমণ করতে বেরিয়ে এলে লিটনের দ্রুতগতির স্টাম্পিংয়ে ২৬ রানে ফেরেন বিক্রমজিত।

    ম্যাচের মোড় বদলাতে পারত সেখানেই। তবে ডাচরা দমে যাওয়ার পাত্র নয়। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস এক দিকে ধরে খেললে অন্য দিকে সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট আক্রমণের দায়িত্ব বুঝে নেন। ১৪ ওভার পর্যন্তও ম্যাচে বেশ ভালোভাবেই ছিল তারা; বলা যায় কিছুটা এগিয়েই। ১০৪ রানে তখনও ৭ উইকেট হাতে ছিল তাদের। এর আগের দুই ওভারে ২২ রান গোনা রিশাদে আস্থা রেখে তার হাতে বল তুলে দেন শান্ত। আর কী দারুণভাবেই নিজেকে প্রমাণ করলেন এই লেগ স্পিনার! দারুণ এক লেগ ব্রেকের ফাঁদে ফেলেন ২২ বলে ৩৩ রানে থাকা এঙ্গেলবখটকে; সেই সাথে শেষ বলে আবার স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন উইকেটে আসা ডি লিডকে। সেটার জন্য লিটনের ক্ষিপ্র গতির স্টাম্পিংও ধন্যবাদ প্রাপ্য।

    ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া সেই ওভারের পর মোস্তাফিজের মায়াজালে ডাচরা যেন পুরোই কুপোকাত। দুর্দান্ত এক ওভারে দিলেন মোটে ১ রান, সাথে এডওয়ার্ডসকে বোকা বানিয়ে তাকে ফেরালেন ২৫ রানে। নিজের শেষ দুই ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মোটে ৪ রান! অন্যদিকে নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলেই ভ্যান বিককে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন রিশাদ। দুজনের এই জুটিতে ডাচরা আর কোনোভাবেই ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ বলেই তাসকিন প্রিঙ্গলের স্টাম্প উপড়ে শেষটাও মধুর করে রেখেছেন।