• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    ভয়ডরহীন যুক্তরাষ্ট্রকে সামলে ডি কক, রাবাদায় প্রোটিয়াদের জয়

    ভয়ডরহীন যুক্তরাষ্ট্রকে সামলে ডি কক, রাবাদায় প্রোটিয়াদের জয়    

    সুপার এইট, নর্থ সাউন্ড (টস - যুক্তরাষ্ট্র/বোলিং)
    দক্ষিণ আফ্রিকা - ১৯৪/৪, ২০ ওভার (ডি কক ৭৪, মার্করাম ৪৬, ক্লাসেন ৩৬*, নেত্রভাল্কার ২/২১, হারমিত ২/২৪)
    যুক্তরাষ্ট্র - ১৭৬/৬, ২০ ওভার (গোস ৮০*, হারমিত ৩৮, টেইলর ২৪, রাবাদ ৩/১৮, মহারাজ ১/২৪, নরকিয়া ১/৩৭)
    ফলাফল - দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮ রানে জয়ী




    দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সেয়ানে সেয়ানেই লড়ল সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৫ রানের লক্ষ্যেও মনোবল না হারিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রোটিয়াদের চোখে চোখ রেখে লড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া আন্দ্রিয়েস গোস। কাগিসো রাবাদার দুর্দান্ত স্পেলে অবশ্য জন্মভুমির দলের কাছে তাকে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে হয়েছে। অপরাজিত যাত্রা ধরে রেখে তাই সুপার এইটটা জয় দিয়েই শুরু করল দক্ষিণ আফ্রিকা।

    পিঞ্চ হিটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে উড়ন্ত সূচনা অবশ্য এনে দিয়েছিলেন আরেক ওপেনার স্টিভেন টেইলর। রাবাদাই তার ১৪ বলে ২৪ রানের ইনিংস থামিয়ে প্রথম আঘাত হানলে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে নিতিশ কুমারকে থামিয়ে আবারও হন্তারকের ভূমিকায় রাবাদা। পাওয়ারপ্লেতে অবশ্য ৫৩ রান তুলে ফেলায় সেটা নিয়ে খুব একটা ভাবেনি যুক্তরাষ্ট্র। মহারাজের দারুণ স্পেলে অবশ্য খেই হারাতে বেশি সময় লাগেনি যুক্তরাষ্ট্রের।

    মহারাজের ফাঁদে পড়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক অ্যারন জোনস রানের খাতা খোলার আগে ফিরলে চেপে বসার সুযোগ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ারপ্লের পর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫৩ রানে ১ উইকেট হারানো যুক্তরাষ্ট্রের স্কোরবোর্ডকে ৭৬/৫ বানিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য সেটা যেন শাপেবর হয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। সেখান থেকেই গা ঝাড়া দিয়ে ওঠেন গোস। অন্যদিকে উইকেটে আসা হারমিত শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন সপাটে। শামসি, নরকিয়াদের বিশেষ করে এক হাত নেন দুজনেই। শেষ তিন ওভারে ৫০ রান প্রয়োজন হলে শামসি নিজের শেষ ওভার করতে এসে দিয়ে বসেন ২২ রান! যুক্তরাষ্ট্র স্বপ্ন দেখতে থাকে সেখান থেকেই।

    তবে দিন জুড়ে দুর্দান্ত বল করা রাবাদা বিচক্ষণতার সাথে ১৯-তম ওভার করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্নে জল ঢেলে দেন। অবশ্য প্রথম বলেই যে ডেলিভারিতে হারমিতকে থামালেন সেটা অন্য যেকোনো ওভারেই হয়ত মাঠ ছাড়া করতেন তিনি। সোজা এক ফুল টস আলতো ছোঁয়ায় মাঠ পার করতে চাইলেও ডিপ মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা স্টাবসের কাছে সরাসরি ক্যাচ তুলে দিয়ে ২২ বলে ৩৮ রান করে থামেন হারমিত। ৪৩ বলে ৯১ রানের দুর্দান্ত জুটিটা ভাঙলে আর পেরে ওঠেনি যুক্তরাষ্ট্র। অভিজ্ঞতার জোরে ওই ওভারে মাত্র ২ রান দেন রাবাদা, ম্যাচটাও ওখানেই ছিনিয়ে নেন রাবাদা। গোস শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৮০* রান করে অপরাজিত থাকলেও তাই শেষ হাসি হাসে দক্ষিণ আফ্রিকা।