• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    অ্যান্টিগায় ভারতের সাঁড়াশি আক্রমণে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ১৯৭

    অ্যান্টিগায় ভারতের সাঁড়াশি আক্রমণে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ১৯৭    

    সুপার এইট, নর্থ সাউন্ড (টস - বাংলাদেশ/ফিল্ডিং)
    ভারত - ১৯৬/৫, ২০ ওভার (হার্দিক ৫০*, কোহলি ৩৭, পান্ট ৩৬, তানজিম সাকিব ২/৩২, রিশাদ ২/৪৩, সাকিব ১/২৭)


     

    ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে টসে জিতে বাংলাদেশের বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা শুরু থেকেই নিজেদের সুবিধার্থে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে ভারত। সাকিবকে দ্বিতীয় ওভার করতে আনা হলে ছয়-চারে তাকে স্বাগত জানিয়ে বার্তাটা পরিস্কার করে দেন রোহিত-কোহলি জুটি। দুজনে মিলে ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। তবে ভারত অধিনায়ক যে থামছেন না সেটা আঁচ করেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাকে থামান সাকিব। লেংথ কিছুটা পিছে টেনে আনায় বেরিয়ে আসা রোহিত ব্যাটে-বলে করতে না পারায় আকাশে বল ভাসালে জাকের আলীর ক্যাচে থামেন ১১ বলে ২৩ রান করা রোহিত। সেই সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। অবশ্য পাওয়ারপ্লেতেই ৫৩ রান তুলে শুরুটা নিজেদের করে রাখে ভারত।


    সেটা কাজে লাগিয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিতে থাকেন কোহলি। তবে নিজের প্রথম ওভারটা মনমত না হলেও নবম ওভারে এসে শেষ হাসি হাসেন তানজিম সাকিব। আত্মবিশ্বাস থেকেই তানজিম সাকিবকে বেরিয়ে খেলতে গেলে হালকা ভেতরে ঢোকা বল মিস করে ২৮ বলে ৩৭ রানে থামেন কোহলি। উইকেটে এসে বাউন্সারে হুক করে সূর্যকুমার এরপর নিজের মনোভাব পরিস্কার করলেও এরপর আরেক বাউন্সারে তাকে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করান তানজিম সাকিব। সাকিবের দারুণ ওভারের পর মাহমুদউল্লাহও এক ওভারে লাগাম টেনে ধরলেও ক্ষণিকের সেই চাপটা লাঘব করে ফেলেন পান্ট। সাকিব, রিশাদের ওপর চড়াও হয়ে নিজের ছন্দে ছুটতে থাকেন পান্ট। তবে সেই রিশাদের কাছেই পরে ধরে দিতে হয় তাকে। ছয়-চার মারার পর রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় পান্টের ২৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংস।


    উইকেট যেতে থাকলেও ভারতীয় ব্যাটাররা তাদের জায়গায় অবিচল ছিলেন। উইকেটে আসা হার্দিক-দুবে জুটিটাও সুযোগ পেলেই বাউন্ডারি বের করতে ভুল করেননি। লেগ স্পিনারদের ওপর চড়াও হওয়ার জন্য দলে দুবের জায়গা হলেও আসরে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তবে এদিন শুধু রিশাদ নন, মোস্তাফিজ-সাকিবদেরও এক হাত নিয়েছেন দুবে। তবে বাউন্ডারি হজম করেও অবিচল থাকা রিশাদ আরও একবার উইকেট শিকার করতে সমর্থ হন। ছয় হজম করার পরের বলেই ভাসানো লেগ স্পিনে ২৪ বলে ৩৪ রানে থাকা দুবের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন রিশাদ। তবে কোনোবারই চাপ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। উইকেট শিকার করলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি, বরং ভারত তাদের আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে বারবার। শেষ ওভার করতে এসে মোস্তাফিজের অনিয়ন্ত্রিত লাইনের পাশাপাশি নো বলের পূর্ণ সুযোগ নিয়ে তাই ফিফটিটাও শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে সেরে ফেলেন হার্দিক। তার ২৭ বলে ৫০* রানে এই মাঠে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডটাও নিজেদের করে নেয় ভারত।