• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    বৃষ্টি বাধা উৎরিয়ে রোহিত, সূর্যকুমারে ভারতের সংগ্রহ ১৭১

    বৃষ্টি বাধা উৎরিয়ে রোহিত, সূর্যকুমারে ভারতের সংগ্রহ ১৭১    

    ২য় সেমি-ফাইনাল, প্রভিডেন্স (টস - ইংল্যান্ড/ফিল্ডিং)
    ভারত - ১৭১/৭, ২০ ওভার (রোহিত ৫৭, সূর্যকুমার ৪৭, হার্দিক ২৩, জর্ডান ৩/৩৭, রশিদ ১/২৫, টপলি ১/২৫)


    বৃষ্টি বাগড়া বাধিয়েছে বেশ কয়েকবার, তবে দেরিতে শুরু হলেও থেমে থাকেনি খেলা। টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ইংল্যান্ডের শুরুটাও তাই মনমতই হয়েছিল। রিস টপলির লেংথ বল মিস করে স্টাম্প খুইয়ে বলপ্রতি ৯ রান করে ভিরাট কোহলি ফিরলে ইংল্যান্ড তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে চলেছে বলেই মনে হচ্ছিল। তবে রোহিত শর্মা আরও একবার আইসিসি ইভেন্টে জ্বলে উঠলেন। পাওয়ারপ্লেতে তার সহজাত খেলা খেলে পেসারদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে অবশ্য আক্রমণে এসেই ঋষাভ পান্টকে থামিয়ে ম্যাচ সমতায় রাখেন স্যাম কারান।

    পাওয়ারপ্লেতে ভারত ৪৬ রান তোলার পর ৮ ওভারের মাথায় আবারও বৃষ্টির কারণে লম্বা বিরতি হলে ভারতও ম্যাচে ধীরে ধীরে কর্তৃত্ব বিস্তার করতে শুরু করে। রশিদ-লিভিংস্টোনদের সুইপ, র‍্যাম্প শটে দুজনেই কিছুটা নিষ্ক্রিয় করে ফেলেন। ফিফটি তুলে নিয়ে সেই সুবাদে আবারও ভয়ংকর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিতে থাকেন রোহিত; ভারতের অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমির ইতিহাসে যা প্রথম। তবে পিচে বল কিছুটা ধরে আসতে শুরু করলে রশিদকে আক্রমণে ফেরাতেই ফল এনে দেন তিনি। তার লেগ স্পিন টেনে খেলতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে রোহিত থামেন ৩৯ বলে ৫৭ রানে। পরের বলেই উইকেটে আসা হার্দিককেও ফেরাতে পারতেন স্লিপে থাকা মঈনের হাতে ক্যাচটা গেলে। হার্দিক না ফিরলেও ফিফটির কাছাকাছি যেয়ে উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া সূর্যকুমার ঠিকই থামেন। বুদ্ধিদীপ্ত স্লোয়ারে লং অনে জর্ডানের ক্যাচে ৩৬ বলে ৪৭ রানে তাকে থামান আর্চার।

    দুই স্পিনার লাগাম টেনে ধরার পর হার্দিক চেষ্টা করেন জর্ডানের ওপর চড়াও হওয়ার। দারুণ দুটো ছয় মারার পর তৃতীয় বলেও একই কাজ করতে গেলে স্লোয়ারটা ঠিক উঠাতে পারেননি। লং অফে ক্যাচ দিয়ে ১২ বলে ২৩ রানে হার্দিক ফিরলে জর্ডানের পরের বলেই দুবে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ব্যাক টু ব্যাক হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করে না পারলেও দারুণ ওভারে জর্ডান তার দায়িত্ব পালন করেন ভালোভাবেই। ১৯-তম ওভারে দুই চারে জাদেজা রানটা বাড়িয়ে নেওয়ার পর শেষ ওভারে অক্ষর এক হাতে মেরেছিলেন দারুণ এক ছয়; তবে পরের বলেই তাকেও জর্ডান থামালে ভারত থামে ১৭১ রানে।