• ইউরো ২০২৪
  • " />

     

    তীরে এসে ডুবল বেলজিয়ামের তরী

    তীরে এসে ডুবল বেলজিয়ামের তরী    

    ফুলটাইম স্কোর: ফ্রান্স ১-০ বেলজিয়াম


    ম্যাচের শুরুটা কিছুটা ম্যাড়ম্যাড়ে হয়েছিল বলা চলে। ১৫ মিনিটের মাথায় গিয়ে দেখা মিলেছিল প্রথম কর্নারের। ফ্রান্সের সেই নিষ্ফলা কর্নারের পর বেলজিয়ামের রক্ষণে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হলে দূরপাল্লার শটের দিকে পা বাড়ালেও গেরো খুলছিল না। উলটো ফ্রি-কিক থেকে মাইনিয়ানকে প্রায় বোকা ফেলেছিলেন ডি ব্রুইনা। সেখান থেকে ফ্রান্সের রক্ষণে ত্রাস সঞ্চার করতে শুরু করে বেলজিয়াম। কারাস্কো ফ্রান্সের রক্ষণের সামনে বেশ কয়েকবার প্রশ্ন তুললেও শেষটা ঠিক করতে পারছিলেন না। প্রথমার্ধের শেষদিকে এসে চুয়ামেনির গোলা জাল মিস করে গেলে দুই দলই আর পায়নি গোলের দেখা।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ফ্রেঞ্চরা সাঁড়াশি আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা নিয়েই যেন মাঠে নামে। থুরামের হেড বার ঘেঁষে বেরিয়ে না গেলে হয়ত তারা প্রথম গোলের দেখা পেয়েও যেত। রক্ষণেও ফ্রান্স আরও আঁটসাঁট হয়ে উঠেছিল ততক্ষণে। স্রোতের বিপরীতে ৭১ মিনিটের মাথায় বাঁ প্রান্ত থেকে হুট করেই বক্সে ডুকে কাছের পোস্টে লুকাকু শট নিলেও মাইনিয়ান ছিলেন সোচ্চার। ৭৭ মিনিটের মাথায় ভার্টোঙ্গেন হলুদ কার্ড যে দেখলেন তাতে যেন তার অস্থিরতাও ফুটে উঠেছিল। সেই ভার্টোঙ্গেন পরে কপাল পোড়ালেন নিজের দলের।

    ডান প্রান্ত থেকে কান্তের পাওয়া বল পেয়ে কোলো মুয়ানি বক্সের ভেতর থেকে গোলের উদ্দেশ্যে শট নিলে ভার্টোঙ্গেনের হাঁটুর ছোঁয়ায় বল ঢুকে যায় জালে। অন্য প্রান্তে ঝাঁপিয়ে পড়া ক্যাস্টিলসের অসহায় চোখে তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। তবে সেটার জন্য ভার্টোঙ্গেন ও বেলজিয়াম শুধু ভাগ্যকেই দুষতে পারেন। শেষে চেষ্টা করেও আর সমতায় ফিরতে পারেনি বেলজিয়াম। ফ্রান্সের নিষ্প্রভ এক দিনেও তাই বেলজিয়ানদের কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছে তারাই।