উরুগুয়ের কাছে হেরে কোয়ার্টারে বাদ ব্রাজিল
ফুলটাইম স্কোর: উরুগুয়ে (৪) ০-০ (২) ব্রাজিল
গত বিশ্বকাপে এই কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় নিয়েছিল ব্রাজিল, এই টাইব্রেকারের ফাঁড়া কাটাতে না পেরেই। কোপা আমেরিকায় এসে একই ভাগ্য বরণ করতে হল তাদের। বিশ্বকাপের মতো এবারও টাইব্রেকারে তাদের স্কোর ৪-২! কাকতালীয় হোক বা না হোক, এমন বিদায়ে ব্রাজিলের শঙ্কা বাড়বে বহুগুণে।
ম্যাচটায় ব্রাজিল বা উরুগুয়ে কোনো দলই সেই অর্থে নান্দনিক ফুটবল উপহার দিতে পারেনি। ফুটবল পায়ে দৃষ্টিনন্দন কিছু করার চেয়ে দুই দলের যুদ্ধংদেহী মনোভাবটাই চোখে পড়ল বেশি। দুই দল মিলে এই ম্যাচে করেছে ৪১টি ফাউল, যা এই আসরের সর্বোচ্চ! ভিনিসিয়াসের বদলে এদিন নামা এন্ড্রিককে শুরু থেকেই শারীরিকভাবে পরাস্ত করতে উঠেপড়ে লাগা উরুগুয়ের সাথে খুব একটা পেরে উঠছিল না এই তরুণ। উল্টো রাফিনিয়ার কড়া ট্যাকলে মাঠ ছাড়তে হয়ে রোনাল্ড আরাউহোকে। সেই সুযোগটাও ব্রাজিল নিতে পারেনি।
৩৫ মিনিটের মাথায় নুনেজের হেড প্রতিহত হলে দ্রুত অন্য প্রান্তে খেলা ঘুরিয়ে গোলকিপারকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি রাফিনিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়েও সেই একই দশা ব্রাজিলের। ভালভের্দে, নান্দেজ, উগার্তেদের সাথে শারীরিকভাবে পেরে না উঠে আক্রমণটা সাজিয়েই উঠতে পারেছিলেন না। তবে তাদের সামনে সুযোগটাও এসে গিয়েছিল। ৭৪ মিনিটের মাথায় রদ্রিগোকে কড়া ট্যাকল করে নান্দেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। সেটার সুবাদে চেপে বসে ব্রাজিল। ৮৪ মিনিটের মাথায় গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেন এবার এন্ড্রিক।
অবধারিতভাবেই খেলা টাইব্রেকারে গড়ালে নিজেদের প্রথম পেনাল্টিটাই মিস করে বসেন এডার মিলিতাও। সার্জিও রচেত দারুণ দক্ষতায় সেই পেনাল্টি ঠেকালে অন্যদিকে নিজেদের তিনটা পেনাল্টি জালে জড়ায় উরুগুয়ে।ফেরার রাস্তা প্রায় বন্ধই হয়ে যায় ডগলাস লুইজ তার পেনাল্টি বারে লাগিয়ে বসলে। নিজেদের শেষ পেনাল্টি জালে জড়াতে এরপর আর ভুল করেননি উগার্তে। সেই ২০১১ সালের পর আবারও কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারেই জয় পেল উরুগুয়ে। সেবার শেষ কোপা ঘরে তোলা উরুগুয়ে এবারও তাই স্বপ্ন বুনতে পারে নতুন করেই।