• ইউরো ২০২৪
  • " />

     

    স্পেন-ফ্রান্স: উজ্জীবিত স্প্যানিশদের সামনে একঘেয়ে ফ্রান্স

    স্পেন-ফ্রান্স: উজ্জীবিত স্প্যানিশদের সামনে একঘেয়ে ফ্রান্স    

    ইউরোর সেমি-ফাইনালে এখন পর্যন্ত দুই মেরুর ফুটবল খেলা দুই দল মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। একদিকে ওপেন প্লে থেকে কোনো গোল না পাওয়া ফ্রান্স, অন্যদিকে আসরে সর্বোচ্চ গোলের দেখা পাওয়া স্পেন। দিদিয়ের দেশমের অধীনে ফ্রান্স বরাবরই জয়কে মুখ্য লক্ষ্য বানিয়ে বাস্তবিক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে। তবে এবার যেন সেটা একটু বেশিই একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে। অলিভিয়ের জিরুর ভূমিকাটা কেউ নিতে পারছেন না বলে এমবাপে, গ্রিজমানরাও ভেতরে ঢুকে গোল বের করতে পারছেন না। অন্যদিকে স্পেন তাদের পজেশন নির্ভর ফুটবল পেছনে ফেলে লামিন ইয়ামাল, নিকো উইলিয়ামসদের গতি কাজে লাগিয়ে উইংয়ে রীতিমত ত্রাস সঞ্চার করে চলেছেন। সেমিতেও সেটা করতে পারবেন কি না সেটা সময়ই বলবে। তার আগে দেখে নেওয়া যাক দুই দলের বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা।

    সেমি-ফাইনালের আগে যা জানা প্রয়োজন

    • ইউরোতে কখনো টানা ছয় ম্যাচ জেতেনি কোনো দল

    • সেমিফাইনালে শুধু একবারই হেরেছে স্পেন

    • ২০২৩ সাল থেকে ১৯টি ম্যাচের ১৫টিই জিতেছে স্পেন। এই সময়ে তাদের জয়ের হার ৭৯%, যা  ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ
       
    • সর্বশেষ সাত ম্যাচে টানা জিতেছে স্পেন, এবারের ইউরোতেও একমাত্র দল হিসেবে সব ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা।
       

     

    হেড টু হেড 

     

    ইউরোতে নিজেদের শেষ দেখায় স্পেন জিতেছে ২০১২ সালে। বড় কোনো টুর্নামেন্টে সর্বশেষ দেখায় নেশনস লিগ ফাইনালে ফ্রান্স জিতেছিল ২-১ গোল ব্যবধানে।


     

     

    ফ্রান্স 

    ড্র 

    স্পেন 

    সব প্রতিযোগিতায়

    ১৩

    ১৬

    ইউরোতে



     

    ফ্রান্স: সর্বশেষ ৫ ম্যাচ
     

    প্রতিপক্ষ 

    ফলাফল 

    পর্তুগাল 

    ০-০ 

    বেলজিয়াম 

    ১-০ 

    পোল্যান্ড 

    ১-১

    নেদারল্যান্ডস 

    ০-০ 

    অস্ট্রিয়া 

    ১-০ 



     

    স্পেন: সর্বশেষ ৫ ম্যাচ
     

    প্রতিপক্ষ 

    ফলাফল 

    জার্মানি 

    ২-১ 

    জর্জিয়া 

    ৪-১ 

    আলবেনিয়া 

    ১-০ 

    ইতালি 

    ১-০ 

    ক্রোয়েশিয়া 

    ৩-০ 



     

    ফর্মেশন ও ট্যাকটিকস 
     

    • জার্মানি ও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৫০%-এর চেয়ে কম ছিল স্পেনের পজেশন, যা তাদের গত দশকের পরিকল্পনার বিপরীত বলা চলে।

    • বাম প্রান্তে স্পেনের কুকুরেয়া অনেক ওপরে উঠে খেলায় নিকো উইলিয়ামস ভেতরে ঢুকতে পারেন। অন্য প্রান্তে লামিন ইয়ামালও একই কাজ করেন, তবে ডান প্রান্ত থেকে দানি কারভাহাল আগের মতো অতো ওপরে না উঠে রক্ষণে তিন জনের বেষ্টনী তৈরি করার জন্য প্রায় কাজ করেন।  তবে ইয়ামাল ও নিকো দুজনেই প্রচুর ক্রস করেন বক্সে। ফাবিয়ান রুইজ একটু অ্যাডভান্সড প্লেমেকার হিসেবে খেলছেন।  সেই সাথে এবারও স্পেনের পাসিং অ্যাকুরেসি ৯০%!

    • জার্মানির বিপক্ষে স্পেন প্রথম গোলটা যেভাবে করেছে সেদিকে তাকালে দেখা যায় - মোরাতার ডিকয় রানের পর ইয়ামাল দুজনকে নিজের দিকে টেনে এনেছিলেন। এরপর অলমোর লেট রানে বক্সে ঢুকে পড়ায় এসেছে সেই কাঙ্ক্ষিত গোল। জার্মানির চান যেটা করতে পারেননি, চুয়ামেনি কান্তেদের সেটা করতে হবে - এই লেট রানগুলো মাথায় রাখতে হবে, ইয়ামাল বা নিকোর ফাঁদে পড়ে দুই বা তিন জনকে বক্সের আশেপাশে তেড়ে যাওয়া যাবে না।

    • স্পেনের ডিফেন্ডিংয়ের সময় রদ্রিকে আলাদা করে রাখলে অর্ধের জায়গাটায় প্রতিপক্ষ আক্রমণের জন্য শূন্যস্থান পেয়ে যায়। এটা ফ্রান্স কাজে লাগাতে চাইবে।

    • আসরে স্পেনের ১০২টা এটেম্পট, যার মধ্যে ৩৫টা অন টার্গেট। ফ্রান্সের ৮৯ এটেম্পমেট, অন টার্গেট ২১।