রেকর্ড চতুর্থবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন
ফুলটাইম স্কোর স্পেন ২-১ ইংল্যান্ড
ইউরোর ইতিহাসের সর্বোচ্চ চার বারের মতো শিরোপা জিতল স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জীবিত স্প্যানিশরা নিকো উইলিয়ামসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর কোল পালমারের গোলে ইংল্যান্ড সমতা ফেরালেও ৮৭ মিনিটে মিকেল ওয়ারজাবালের গোলে শেষ হাসি হেসেছে স্প্যানিশরা। টানা দ্বিতীয়বার তাই ফাইনালে হৃদয়ভঙ্গ হল ইংলিশদের।
প্রথমার্ধে দুই দলই খেলছিল রয়েসয়ে। গোলে প্রথম শটের দেখা মিলে ২৭ মিনিটের মাথায়, সেটাও অলমোর শট গতি পরিবর্তন করে পিকফোর্ডের হাতে সহজেই চলে যায়। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ডেক্লান রাইসের ভাসানো ফ্রি-কিক দূরের পোস্টে ফোডেনকে খুঁজে পেলে শরীর বাড়িয়ে পাও লাগিয়েছিলেন তিনি। গোলে ইংল্যান্ডের সেটাই প্রথম শট হয়ে থাকলেও সহজেই সেটা তালুবন্দি করেন সিমোন।
দ্বিতীয়ার্ধে রদ্রিকে বসিয়ে জুবিমেন্ডিকে নামাতে হয় স্পেনকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সেই সাথে যেন দেখা মিলে অন্য এক স্পেনের। দারুণ এক আক্রমণ থেকে ইয়ামাল ডান প্রান্তে বল পেলে মাঝে বল বাড়ান তিনি। অলমোর পথে বাড়ানো বলটা আরেকটু দূরে থাকা নিকোকে খুঁজে নিলে প্রথম সুযোগেই বাঁ পায়ের মাটি কামড়ানো শটে জাল খুঁজে পান তিনি।
নিকোর গোলের পর খেলাও যেন প্রাণ ফিরে পায়। স্প্যানিশদের সামলাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছিল ইংলিশ রক্ষণভাগ। অ্যাসিস্ট করা ইয়ামাল শকে বোকা বানিয়ে বাঁকানো শট নিলেও দুর্দান্ত এক সেইভে তাকে প্রতিহত করেন পিকফোর্ড। দুই অধিনায়ক কেইন ও মোরাতাকে উঠিয়ে নেওয়ার পর খেলায় যেন ঘোরে নতুন মোড়। তখনও ছড়ি ঘোরাচ্ছে স্পেন, তখনও তারাই রক্ষণে ত্রাস সঞ্চার করে চলেছে। তবে নামার পর থেকেই ডান প্রান্তে সাকার সাথে বোঝাপড়াটা ভালোই হচ্ছিল কোল পালমারের। ৭৩ মিনিটের মাথায় 'আইস কুল' ফিনিশেই ইংলিশদের সমতায় ফেরান তিনি। ডি বক্সে বেলিংহামের উদ্দেশ্যে বল বাড়ানো হলে দারুণ ব্যাকপাসে পালমারের জন্য জায়গা বানিয়ে দেন তিনি। সেখান থেকেই মাটি কামড়ানো দূরপাল্লার শটে জাল খুঁজে পান পালমার। হুট করেই জ্বলে ওঠা ইংলিশদের হয়ে এরপর গোলটা পেয়ে যাচ্ছিলেন বেলিংহাম। দারুণ এক টার্নে রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ কারভাহালকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ে শট নিলে জাল খুঁজে পাননি তিনি।
উলটো আক্রমণের ধারা বজায় রেখে গোল পেয়ে যায় স্পেন। নিকো আর ইয়ামালের সমঝোতার পর বাঁ প্রান্ত দিয়ে ছুটে আসা কুকুরেয়া বল পেয়েই দারুণ এক নিচু ক্রস বাড়ালে শরীর প্রসারিত করে পা লাগান ওয়ারজাবাল, খুঁজে পান জাল। স্প্যানিশদের লিডের কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্নার থেকে রাইসের হেডার পিকফোর্ড ফিরিয়ে দিলে ফিরতি হেডারে গুয়েহি জাল খুঁজেই পেয়েছিলেন প্রায়। তবে অলমো লাইন থেকে হেডে বল ফিরিয়ে দেন! ইংলিশরাও আর পারেনি ম্যাচে ফিরতে। রেকর্ড গড়ে স্প্যানিশরাই তাই আরেকবার ইউরোপের রাজা।