ইউরোর ব্যবচ্ছেদ- গ্রুপ 'ই'
গত আসরের রানার আপ ইতালির সাথে আছে দারুণ ছন্দে থাকা বেলজিয়াম। ইব্রাহিমোভিচের সুইডেন কি এবারও আটকে যাবে? ফাঁক গলে আয়ারল্যান্ড কারও কপাল পোড়াবে না তো? ইউরো সামনে রেখে থাকছে গ্রুপ ‘ই’-র দলগুলোর আদ্যোপান্ত।
ইতালি
দশককাল আগের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ইউরোর বর্তমান রানার আপও। কিন্তু তারপরও আজ্জুরিদের নিয়া এবার মাতামাতি রয়েসয়েই। ইতালির সবচেয়ে কট্টর সমর্থকটিও বোধহয় স্বপ্ন দেখছেন হিসেব করে। হিসেবটা করতে হচ্ছে কারণ ‘অনিশ্চয়তা’ শব্দটা বুফন বাহিনীর সঙ্গী দীর্ঘদিন। ২০০৬ বিশ্বকাপ জেতার পরের ইউরোতেই তো বিদায় নিতে হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে, সর্বশেষ দুটো বিশ্বকাপে আজ্জুরিরা পার হতে পারেনি গ্রুপপর্ব। ইতালির স্বর্ণযুগের প্রায় সব সারথীও একে একে বিদায় নিয়েছেন। জায়গায় জায়গায় জোড়াতালিগুলো মাঝেমধ্যেই প্রকট হয়েছে এবারের বাছাইপর্বে। খুব সম্প্রতি জার্মানির কাছে পেতে হয়েছে চার গোল হজমের লজ্জা।
গোলপোস্টে দীর্ঘদিনের অতন্দ্র প্রহরী, সেনাপতি বুফনই হয়ে থাকবেন দলের প্রাণভোমরা। ঘরোয়া লিগ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসে তাঁর তিন রক্ষণসেনা জর্জিও কিয়েলিনি, লিওনার্দো বোনাচ্চি আর আন্দ্রেয়া বারজাগলি সামলাবেন জাতীয় দলের রক্ষণও। গোটা মৌসুমে মাত্র কুড়ি গোল হজম করা এই ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ই এবার ইতালির অন্যতম ভরসার জায়গা।
তবে বিপত্তিটা বাঁধবে মূলত এর উপরে উঠলেই। মধ্যমাঠের প্রধান প্রকৌশলী ক্লদিও মারচিজিও আর মার্কো ভেরাত্তি- দু’জনই ইনজুরিতে। আরেক ‘মায়েস্ত্রো’ আন্দ্রেয়া পিরলোর জায়গা হয় নি প্রাথমিক স্কোয়াডেই। অবশ্য ডি রসির সাথে থিয়েগো মোট্টা বা রিকার্ডো মন্টোলিভোর রসায়নও মাঝ মাঠ দখলে রাখার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু ঝাঁজটা সেখানে কতোটুকু টের পাওয়া যাবে বলা কঠিন। দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে থাকবে আক্রমণভাগও। বাছাইপর্বের ১০ ম্যাচে আজ্জুরিরা যে জাল খুঁজে পেয়েছে মাত্র ১৬ বার!
এতো ‘কিন্তু’র পরও অভিজ্ঞতা আর ‘বড়’ দলের তকমা ইতালিকে হয়তো অনায়াসেই পার করে দেবে গ্রুপ পর্ব। তারপরের দৌড়টা কতদূর চালানো যাবে, সে ‘প্রেডিকশান’ আটকে যাচ্ছে প্রশ্নবোধকেই।
রোড টু ইউরো
৭ জয়ের সাথে ৩ ড্র, বুফনরা বাছাইপর্ব শেষ করেছেন অপরাজিত থেকে, গ্রুপসেরা হয়ে। তবে পরিসংখ্যান এখানে প্রকৃত চিত্রটা তুলে ধরছে সামান্যই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ক্রোয়েশিয়ার সাথে দুটো ম্যাচেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে। বুলগেরিয়ার সাথেও একটি ম্যাচ ড্র আর আজারবাইজান, মাল্টার বিপক্ষে ঘামঝরানো জয়ে দৈন্যতার ছাপ ছিল স্পষ্ট।
টাচলাইনের বস
ভদ্রলোক যে আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব চেলসির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সে খবর এখন আর কারও অজানা নয়। যদিও তাঁর সাথে সুর মিলিয়ে খেলোয়াড়রাও বলছেন, এটা দলের পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব ফেলবে না। খেলোয়াড়ি জীবনে ইউরোর রানার আপ (২০০০ সাল) ইতালি দলের সদস্য ছিলেন। কোচ হিসেবে জুভেন্টাসকে জিতিয়েছেন সিরি আ’র হ্যাট্রিক শিরোপা। লন্ডনের বিমান ধরার আগে আরও একটি সাফল্য অর্জনের খাতায় তুলতে অবশ্য বেশ বন্ধুর পথই পাড়ি দিতে হবে অ্যান্তোনিও কন্তেকে। কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুর দিককার ৪-২-৪ ফরম্যাশনের ‘বাহাদুরি’ থেকে সরে এসে ৪-৩-৩ বেছে নিয়েছিলেন। জুভেন্টাসে থাকাকালীন তাঁর প্রিয় ৩-৪-৩ ছকে গত মার্চে স্পেনের বিপক্ষে লড়াই (১-১) করা গেলেও জার্মানরা বড় লজ্জাই দিয়েছে (৪-১)। মধ্যমাঠে ইনজুরির হানায় খুব বিচলিত না হলে হয়তো ওটাই দেখা যাবে ইউরোর মাঠেও।
তারকা খেলোয়াড়
ইতালির স্বর্ণযুগের সারথীদের কথা বলা হচ্ছিল। সে দলের একজনই আজ অব্দি রয়ে গেছেন, আজ্জুরিদের একাদশে সবচেয়ে বড় তারাটা তাই এখনও জ্বলে গোলপোস্টের নিচেই। ৩৮ বছর বয়সেও নিজেকে ধরে রেখেছেন বিশ্বসেরাদের কাতারে। প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ারে ইতালির হয়ে এবারের ইউরোতে খেলবেন ১৬০তম ম্যাচ। অবসর কিংবা অন্য অনেকের মতো মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমানোর চিন্তাও করছেন না। জিয়নলুইজি বুফন খেলতে চান আরও একটি বিশ্বকাপ। সে পর্যন্ত তাই নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকতে পারে ইতালিও।
বেলজিয়াম
ফিফা র্যাংকিংয়ে দুই নম্বর অবস্থান, বেলজিয়াম ফুটবল যে তাঁদের সেরা সময়টাই পার করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সর্বশেষ দুই বছরে পরাজয় মাত্র দু’টি ম্যাচে, গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্টদের আর ‘ডার্ক হর্স’ ডাকবার উপায় তো নেই-ই, এবারের ইউরোর অন্যতম দাবীদারও তাঁরা।
সে পথে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে রক্ষণের দুই প্রধান কুশলী অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানি ও নিকোলাস লমবার্টসের ইনজুরি। আক্রমণে এডেন হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুয়ানদের শক্তিমত্তার পরিচয় নতুন করে দেয়ার কিছু নেই। এভারটনে মৌসুমটা দারুণ কাটিয়েছেন রোমেলো লুকাকু, কিন্তু মার্ক উইলমটসের ছকের পুরোভাগে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছেন না বহুদিন। ক্রিশ্চিয়ান বেনটেক ভালো বিকল্প হতে পারেন, তাঁর আবার লিভারপুলের হয়ে সময়টা ভালো যায় নি খুব। তরুণ ডিভক অরিজি কিংবা ইয়ানিক কারাসকো...আক্রমণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করার সামর্থ্য আছে দু’জনেরই।
রোড টু ইউরো
অনায়াসেই পেরোনো গেছে বাছাইপর্ব, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। ৭ জয়, ২ ড্রয়ের পাশে একমাত্র পরাজয় ওয়েলসের কাছে। বেল বাহিনীর বিপক্ষে আরেকটা ম্যাচেও ভাগাভাগি করতে হয় পয়েন্ট। অপর ড্র বসনিয়া-হারজিগোভিনিয়ার সাথে।
টাচলাইনের বস
শেষবার যখন বেলজিয়াম ইউরো খেলেছিল (২০০০ সাল), তিনি দলে ছিলেন খেলোয়াড় হিসেবে। এবার থাকবেন ডাগআউটে। মার্ক উইলমটস খেলা গড়তে পছন্দ করেন মধ্যমাঠ থেকে। ছক হিসেবে প্রিয় ৪-২-৩-১। দু’জন মিডফিল্ডারের সাথে দু’জন ফুলব্যাক ‘সাপোর্ট’ হিসেবে কাজ করবেন তিনজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের জন্য। জাল খুঁজে নেয়ার কাজটা মূলত সেন্টার ফরয়ার্ডের।
তারকা খেলোয়াড়
গত মৌসুমে ছিলেন প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড়। বছর না ঘুরতেই অবশ্য এডেন হ্যাজার্ডকে দেখতে হয়েছে মুদ্রার উল্টো পিঠও। অবশ্য এ মৌসুমের শেষভাগে এসে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। শেষ পাঁচ ম্যাচ থেকে করেছেন চার গোল। সর্বশেষ গতকাল নরওয়ের বিপক্ষে জয়েও রেখেছেন অবদান। ভিনসেন্ট কোম্পানির অনুপস্থিতিতে হয়তো এ যাত্রায় নেতৃত্বটা দিতে হবে তাকেই, সেটা আক্রমণেরও সম্মুখভাগ থেকে হলে দারুণ কিছুর আশা করতেই পারে বেলজিয়াম।
সুইডেন
এক যুগ আগের ইউরোতে শেষ আটে পৌঁছানো গিয়েছিল। এরও এক যুগ আগে সেমিফাইনাল। সর্বশেষ দুই আসরে বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। ইব্রাহিমোভিচকে বাদ দিলে এবারের দল নিয়েও আশাবাদী হওয়ার খুব বেশী সুযোগ নেই। এক ঝাঁক তরুণ খেলোয়াড় দিয়ে গড়া দলটা নিজেদের সর্বশেষ ছয় ম্যাচ থেকে জয় পেয়েছে মাত্র ১টি। ইতালি-বেলজিয়ামের গ্রুপ থেকে পরের পর্বে যেতে হলে তাই সুইডেনকে এক অর্থে ‘চমক’ই দেখাতে হবে।
ইব্রা-রথে চড়ে তেমন চমকে দেয়ার মতো কিছু করতে হলে মাঠের বাকি পজিশনগুলো থেকে সহযোগিতা পাওয়াটা খুব জরুরী। আক্রমণে বাঁ দিক থেকে এমিল ফরসবার্গ যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিশীল, ডানে মার্কাস বার্গ অভিজ্ঞ সেনানী। রক্ষণভাগের অভিজ্ঞতার বয়সটাও কম নয়। মধ্যমাঠে হাল ধরবেন আরেক ‘ভেটেরান’ কিম কালস্টর্ম। সব মিলিয়ে রসায়নটা জমে গেলে কী হয় আগে থেকে বলা কঠিন!
রোড টু ইউরো
বাছাইপর্বে পথটা খুব মসৃণ ছিল না। ১০ ম্যাচের মধ্যে জয় ছিল ৫টিতে, ৩ ড্রয়ের সাথে ২টি হার। গ্রুপে তৃতীয় স্থান নিয়ে মেলে প্লে অফ খেলার সুযোগ। শেষমেশ ‘স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ডার্বি’তে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ডেনমার্কের বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানের ঘাম ঝরানো জয়ে নিশ্চিত হয় মূলপর্ব।
টাচলাইনের বস
সুইডেনের ফুটবল কর্তাদেরকে সহিষ্ণুতার তারিফ করতে হয়! ফুটবল কোচের পদের চেয়ে অনিশ্চিত চাকুরি দুনিয়ায় খুব বেশী নেই কিনা! অথচ সুইডেন জাতীয় দলের কোচ বদলায় খুবই কালেভদ্রে। লার্স লেগারব্যাক ১১ বছর দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার পর ৭ বছর হচ্ছে দলটার কোচ হিসেবে আছেন এরিক হামরেন। ৫৮ বছর বয়সী সুইডিশ ভদ্রলোক অভিজ্ঞদের নিয়েই দল গড়তে ভালোবাসেন। এবার অবশ্য এক ঝাঁক তরুণকে স্কোয়াডে রেখেছেন। ৪-৪-২ ফরম্যাশনই তাঁর পছন্দ। তবে কোন পজিশনে কাকে খেলাবেন সেটা আগে থেকে বলা যায় না। দলের দৌড় যা-ই হোক, আসর শেষে বিদায় নিচ্ছেন তিনি।
তারকা খেলোয়াড়
পিএসজি ছেড়ে এবার কোথায় যাচ্ছেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ- জাতীয় দলের সংবাদ সম্মেলনেও উড়ে আসছে এমন প্রশ্ন। বয়স মধ্য ত্রিশ ছুঁই ছুঁই করছে, মাঠের খেলার চেয়ে আজকাল বেশীরভাগ সময় গণমাধ্যমের শিরোনাম হন ‘বাজে বকে’ই। কিন্তু পিএসজির হয়ে আরও একটি দারুণ মৌসুম বলছে তাঁর দম ফুরোতে ঢের বাকি। প্রতিপক্ষের গোলমুখে এখনও জ্বলেন, জ্বালিয়ে দেন। ইব্রাহিমোভিচ নামের তানপুরাতে সুরটা কতদূর চড়ে তার উপরই অনেকাংশে নির্ভর করছে সুইডিশদের ভাগ্য।
আয়ারল্যান্ড
গত আসরের বলার মতো স্মৃতি গ্যালারি মাতানো সমর্থকরা। মাঠের খেলা থেকে ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে, সবক’টি ম্যাচ হেরে, এক গোল দিয়ে আর ন’টি খেয়ে। অবশ্য ফাইনাল খেলা দুটো দলই (স্পেন ও ইতালি) যে গ্রুপ থেকে গিয়েছে, সে গ্রুপের তলানিতে থাকাটাই হয়তো নিয়তি ছিল। এবারেও আয়ারল্যান্ডের গ্রুপেই আছে ইতালি। সাথে বেলজিয়াম, সুইডেনের বাধা গলে নক-আউট খেলার স্বপ্ন দেখাটা একটু বাড়াবাড়ি শোনাতে পারে। কিন্তু বাছাইপর্বে জার্মানিকে হারিয়ে দিয়ে আইরিশরা জানান দিয়েছে, ন্যূনতম সুযোগেও পাশার দান উল্টে দিতে প্রস্তুত তাঁরা।
কঠোর পরিশ্রম, সাথে মজবুত ভিত্তি- আয়ারল্যান্ডের সাম্প্রতিক সাফল্যের মূলমন্ত্র ওখানেই। তরুণ প্রতিভাদের সাথে অভিজ্ঞদের মিশেল- সমন্বয়ের কাজটা দক্ষ হাতে করছেন কোচ মার্টিন ও’নিল। খানিক দুর্বলতা আছে রক্ষণে। তবে মধ্যমাঠ থেকে জেমস ম্যাকার্থি ও গ্লেন হোয়েলান সেটা বেশ ভালোই সামাল দিয়ে আসছেন। সেন্টার ফরোয়ার্ড পজিশন থেকে শেন লং আক্রমণের স্বরূপ ঠিক করবেন। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে ওয়েস হুলাহান হতে পারেন ভেরিয়েশনের ফাঁদে প্রতিপক্ষকে জব্দ করার হাতিয়ার। রক্ষণে দুর্বলতার কথা বলা হচ্ছিল, কারণটা হল ব্যাক পজিশনের রবি ব্র্যাডি আর সিমাস কোলম্যান আক্রমণে অংশ নিতেই বেশী পছন্দ করেন। ব্র্যাডি তো ‘সেট পিস’-এ আইরিশদের বিশেষজ্ঞই বনে গেছেন। নিজেদের ‘আসল’ কাজটায় তাঁরা আরেকটু মনোযোগী হলে প্রতিপক্ষের জন্য ফাঁক বের করাটা বেশ কঠিনই হবে। এমনিতেও অবশ্য বাছাইপর্বে খুব বেশী গোল (৭টি) হজম করতে হয় নি।
রোড টু ইউরো
১০ ম্যাচ থেকে ৫ জয়, ৩ ড্র, ২ পরাজয়। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে এক ম্যাচে হারিয়ে অপরটায় ড্র। স্কটল্যান্ডের সাথে ম্যাচটা শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে না বসলে হয়তো সরাসরি মূলপর্বে খেলার একটা সুযোগ থাকতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জার্মানি আর পোল্যান্ডের নীচে তৃতীয় স্থানে থেকে নিশ্চিত হয় প্লে অফ। সেখানে বসনিয়া-হারজিগোভিনিয়াকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে মূলপর্বে ওঠে আইরিশরা।
টাচলাইনের বস
চলতি শতকের শুরুতে সেল্টিককে তিনটি স্কটিশ শিরোপা জিতিয়ে তুলেছিলেন উয়েফা কাপের ফাইনালে। খেলোয়াড়দের ভিতর থেকে সেরাটা বের করে আনতে পারেন বলে আলাদা নাম আছে মার্টিন ও’নিলের। ‘অঘটন’ ঘটানোর কাজটাও ভালোই রপ্ত করে ফেলেছেন। বাছাইপর্বের মাঝপথে ৪-৩-১-২ ফরম্যাশনে পরীক্ষা চালিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। সেটাই দেখা যেতে পারে মূলপর্বে। পরিস্থিতির দাবীতে ৪-১-৪-১ বা ৪-৪-১-১ ছকেও খেলতে পারেন।
তারকা খেলোয়াড়
বানিয়ে দেয়া বল জালে জড়ানো- সেন্টার ফরোয়ার্ডদের ব্যাপারে এমন গতানুগতিক ধারণার সাথে ঠিক যান না শেন লং। বরং পুরোভাগে থেকেই আক্রমণের গতিপথ ঠিক করেন। সাউদাম্পটনের ইউরোপা লিগ খেলা নিশ্চিত করায় এবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জাতীয় দলের হয়েও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করার একটা খ্যাতি নামের সাথে জড়িয়ে নিচ্ছেন। সে ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ সংযোজন জার্মানির বিপক্ষে জয়সূচক গোল। কিছু চমক কি মূলপর্বের জন্যও তুলে রেখেছেন?