চেনা হালান্ড, চেনা ম্যানচেস্টার সিটি
ফুল টাইম চেলসি ০-২ ম্যানচেস্টার সিটি
টানা চার বারের লিগ শিরোপা জয়ী তারা; প্রথম ম্যাচেই তাই নতুন চেলসির চ্যালেঞ্জ থাকলেও ম্যানচেস্টার সিটি তা পেরিয়ে গেল অনায়াসেই। রাতারাতি ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলার কোনো প্রয়াস ছিল না, ছিল না দৃষ্টিনন্দন ফুটবলে মন জুড়ানোর প্রচেষ্টা। ম্যানচেস্টার সিটি খেলল চ্যাম্পিয়ন দলের মতো, হিসেব কষে, প্রতিপক্ষকে জায়গায় জায়গায় আটকে, নিজেদের শক্তির প্রমাণ রেখে নিজেদের সহজাত খেলা খেলে। গোল দিয়ে শুরু করলেন আরলিং হালান্ড, সেই সাথে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল পেয়েছে মাতেও কোভাচিচ।
সিটির শুরুটা হয়েছিল দারুণ। এনজো মারেস্কার অধীনে নতুন চেলসিকে শুরু থেকেই কোণঠাসা করে ফেলা সিটি গোল পেয়ে যায় ১৮ মিনিটের মাথায়। বার্নার্দো সিলভা অফসাইডে ছিলেন কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও ভিএআরের ডাকে উতরে যান পরে। তার বাড়িয়ে দেওয়া পাস থেকেই কুকুরেয়াকে ছিটকে জোরালো ফিনিশে সিটির জার্সি গায়ে নিজের শততম ম্যাচে গোল পেয়ে যান হালান্ড। ১০০ ম্যাচে এটা তার ৯১-তম গোল! গত দুই মৌসুমের গোল্ডেন বুট জয়ী এবারও বার্তা দিয়ে রাখলেন তেমনটাই করার।
হালান্ডের গোলের পর অবশ্য কিছুটা মিইয়ে যায় সিটি। মাঝমাঠে রদ্রির অভাবটাও ভালোই বোঝা যাচ্ছিল। সুযোগ বুঝে প্রথমার্ধের শেষদিকে চেলসি গোলের সুযোগও তৈরি করে ফেলেছিল। কোল পালমারের শটটা এডারসন লুফে নিতে পারলেন না, সাথে সাথে ওঁত পেতে থাকা নিকোলাস জ্যাকসন বল জালে জড়ালেন। অবশ্য ভিএআরে স্পষ্ট দেখা গেল জ্যাকসন অফসাইডে।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সেখান থেকেই আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে ম্যাচে ফিরতে শুরু করে চেলসি। অভিষেকেই নজর কাড়া পেদ্রো নেতো ৬৫ মিনিটের প্রায় গোল পেয়েও গিয়েছিলেন। স্রোতের বিপরীতে অবশ্য রিকো লুইস সিটির হয়ে আবারও বল জালে জড়ান। তবে সেই গোল বানানোর সময় হালান্ড ফাউল করেছিলেন বিধায় বাতিল হয়ে যায় সেই গোল।
হাল না ছাড়া চেলসি এরপর পেনাল্টি পেতে পারত। তবে যেই কোভাচিচের কনুইয়ের গুতা থেকে পেনাল্টি পায়নি তারা সেই ক্রোয়াট মিডফিল্ডারই এরপর তাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন। মিডফিল্ডে কিছুটা গা ছাড়া পাসিং করতে থাকা চেলসিকে অতর্কিতে ধরে ফেলে নিজেই গোল মুখে এগিয়ে বল জালে জড়ান কোভাচিচ। প্রিমিয়ার লিগে তাই টানা ২৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকল পেপ গার্দিওলার দল।