দাবার চালে ফুটবল-মাত!
বলুন তো, পেপ গার্দিওলা এবং এনজো মারেস্কার মধ্যে কোন কোন ব্যাপারে মিল রয়েছে?
উত্তরটা অনেকভাবেই দেওয়া যায়। সবচেয়ে সহজ উত্তর, দুজনের মাথায়েই চুলের অভাব আছে। খেলোয়াড়ি জীবনে দুজনেই ছিলেন মিডফিল্ডার। দুজনেই এখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কাজ করছেন। দুজনের কোচিং-দর্শনেও মিল পাওয়া যায়, আবার দুজনে এক সময়ে একসাথে কাজ করেছেন ম্যানচেস্টার সিটিতেও।
সবগুলো ব্যাপারই সত্য। তবে এর কোনোটাই আমাদের আজকের গল্পটার সাথে প্রাসঙ্গিক নয়।
পেপ গার্দিওলা এবং এনজো মারেস্কা, দুজনেই দাবা খেলতে ভালোবাসেন।
২০১২ সালে বার্সেলোনার ম্যানেজারের পদ ছেড়ে দেওয়ার পরে ছুটি কাটাতে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন পেপ গার্দিওলা। সেখানে তাঁর সাথে দেখা হয় রাশিয়ান গ্র্যান্ডমাস্টার গ্যারি কাসপারভের। পরবর্তীতে আরেক বিখ্যাত দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেনের খেলার ধরন নিয়েও কাটাছেঁড়া করেছিলেন গার্দিওলা।
“ফুটবল এবং দাবার মধ্যে যে কী পরিমাণ সাদৃশ্য আছে, সে ব্যাপারে বেশিরভাগ মানুষের কোনো ধারণাই নেই,” বায়ার্ন মিউনিখে তাঁর প্রথম মৌসুম নিয়ে রচিত বই পেপ কনফিডেনশিয়াল-এর লেখক মার্তি পেরানাউকে বলেছিলেন গার্দিওলা, “কার্লসেনের একটা কথা আমার খুব মনে ধরেছে। তিনি বলেছিলেন যে খেলার শুরুর দিকে কিছু ত্যাগ স্বীকার করে নিতেও তাঁর আপত্তি নেই, কেননা খেলার শেষের দিকে তিনিই সর্বেসর্বা। কথাটা আমাকে ভাবালো। চিন্তা করলাম, কীভাবে এই ব্যাপারটাকে ফুটবলে প্রয়োগ করা যায়।”
Image Source: Chess.com
চেলসির বর্তমান ম্যানেজার এনজো মারেস্কার দাবা-প্রীতির গল্পটা হয়তো অনেকেই জানেন না। ইতালিয়ান কোচিং স্কুল কোভেরসিয়ানোতে ডিপ্লোমা করার সময়ে নিজের সাত হাজার শব্দের কোচিং থিসিসটা তিনি উৎসর্গ করেছিলেন দাবাকে।
“একজন ভালো দাবা খেলোয়াড়ের মনোজগৎ থেকে একজন ফুটবল কোচ উপকৃত হতে পারেন,” মারেস্কা লিখেছিলেন, “দাবা খেলাটা ফুটবল কোচের মস্তিষ্কের জন্য অনুশীলন-স্বরূপ। আর দাবার মূল ব্যাপার হলো যুক্তি। এই যুক্তি দিয়েই একজন খেলোয়াড় খেলাটাকে বোঝে, প্রতিপক্ষের চাল আন্দাজ করতে পারে।”
ফুটবল এবং দাবার সাদৃশ্যের ব্যাপারটাও তুলে ধরেছিলেন মারেস্কা, “দাবার বোর্ডটা হচ্ছে একটা ফুটবল খেলার মাঠের মতো। এই বোর্ডকে তিনটা ভাগে ভাগ করা যায়: মাঝের অংশ, আর দুইপাশের অংশ। ফুটবলের সাথে এর মিলটা হচ্ছে, দুটো ক্ষেত্রেই মূল খেলাটা হয় মাঠের মাঝ অংশ দিয়ে। সেটা গোলপোস্টের দিকে হোক, অথবা প্রতিপক্ষের রাজার দিকে।”
কীভাবে মাঠের প্রতিটি জায়গা কাজে লাগানো যায়, সেই ব্যাপারে কথা বলেছিলেন পেপ গার্দিওলা এবং ম্যাগনাস কার্লসেন। “দাবা এবং ফুটবল, দুই ক্ষেত্রেই মাঠের মাঝ অংশের দখল নেওয়াটা খুব জরুরী,” কার্লসেন বলেন, “আপনি মাঝমাঠ দখল করছেন, এর মানে আপনি পুরো মাঠটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। দাবাতে আরেকটা বিশেষ ব্যাপার, আপনি চাইলে বোর্ডের একপাশ দিয়ে আক্রমণ করে ওভারলোড করতে পারেন, এরপর দ্রুত বোর্ডের অপরপাশে সরে গিয়ে খেলায় এগিয়ে যেতে পারেন। ফুটবলের ক্ষেত্রেও কিন্তু এমনটা ঘটে।”
এই মাঝমাঠ দখলের ব্যাপারটা আরো ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেছিলেন সম্প্রতি তৃতীয়বারের মতো ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী গ্র্যান্ডমাস্টার গাওয়াইন জোনস, “বোর্ডের প্রতিটা ঘুঁটি আলাদা আলাদাভাবে চলাচল করে। কিন্তু বোর্ডের মাঝামাঝি অঞ্চলেই কিন্তু তাদের প্রভাব ও কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশি।”
“দাবা খেলা শেখার সময়েই এই মাঝের অংশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারটা শেখানো হয়। ঘুঁটিগুলোকে নিজেদের জায়গা থেকে বের করে মাঝমাঠ দখল করতে হয়। প্রতিপক্ষকে এক্ষেত্রে সরিয়ে দিতে হয় বোর্ডের প্রান্তের দিকে। নাইটদেরকে (বাংলায় গজ বা হাতি) ‘অক্টোপাস’ বলা হয়, কারণ তারা মাঝের দিকে উভয় পাশে আট ঘর পর্যন্ত যেতে পারে। কিন্তু আপনি তাদেরকে বোর্ডের একপাশে সরিয়ে দিন, তারা সর্বোচ্চ তিন-চার ঘর যেতে পারবে।”
Image Source: Chess.com
অ্যাডাম ওয়েলস তাঁর “ফুটবল অ্যান্ড চেস: ট্যাকটিক্স, স্ট্র্যাটেজি, বিউটি” বইয়ে তুলে ধরেছেন আরো কিছু ব্যাপার, “দুটো খেলার একেবারে মৌলিক ব্যাপারেও সাদৃশ্য আছে। উভয় খেলাতেই জায়গা তৈরি করে নিতে হয়, প্রাপ্ত জায়গা কাজে লাগাতে হয়। দুটো খেলাতেই নিজেদের রক্ষণকে ঠিক রেখে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে দিতে হয়। আবার দেখুন, এই দুটোর মধ্যে কোন খেলাতেই কিন্তু আহামরি কঠিন স্কোরিং সিস্টেম নেই। একদম সোজাসাপ্টা নিয়ম: প্রতিপক্ষের রাজাকে গ্রেফতার করুন, অথবা গোলপোস্টে বল জড়িয়ে দিন।”
দাবার চাল দিয়ে ফুটবলকে মাত করছেন, এমন কোচ এবং ম্যানেজারের তালিকা সুদীর্ঘ। চলতি বছরের ইউরোতেই সুইজারল্যান্ডকে কোচিং করিয়েছিলেন মুরাত ইয়াকিন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ফুটবলের সাথে পোকার খেলার সাদৃশ্য নিয়ে। উত্তরে তিনি বলেছিলেন যে পোকার খেলাটা বড্ড বেশি নির্ভর করে প্রাপ্ত কার্ডগুলোর ওপর, সেই তুলনায় দাবা ঢের ভালো।
“ট্যাকটিক্সের দিক থেকে ফুটবল এবং দাবা চলে সমান্তরালে,” তিনি বলেন, “আমি আমার কন্যাদেরকে শুধু দাবার প্রাথমিক নিয়মগুলো শিখিয়ে দিয়েছিলাম। খেলাটা কীভাবে খেলতে হয়, কোন ঘুঁটি কীভাবে চলে, কীভাবে নিজের ঘুঁটিগুলোকে বাঁচাতে হয়… এই সব। একইভাবে, ফুটবলে আমি যখন কোন নতুন কৌশল প্রয়োগ করতে চাইবো, সেটা দলকে বুঝিয়ে বলার মতো সক্ষমতা থাকতে হবে আমার।”
ম্যানেজারদের মধ্যে রাফা বেনিতেজ দাবা খেলায় বেশ পটু। ফুটবল মাঠের এগারোজন খেলোয়াড় যেন তাঁর কাছে দাবা খেলার চলমান ঘুঁটি!
তবে ফুটবল ম্যানেজারদের মধ্যে দাবা নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাতামাতি করেন সম্ভবত বার্সেলোনা ও ভিয়ারিয়ালের সাবেক কোচ কিকে সেতিয়েন। রীতিমতো দাবার টুর্নামেন্টগুলোতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। দাবাড়ু হিসেবে খুবই উঁচুমানের ধরা হতো তাঁকে। দাবা অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী অন্তত একান্নটা দেশের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য ছিলেন তিনি, স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কা এমনটাই দাবি করেছিল।
ফুটবল এবং দাবার মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আপনার যতগুলো ইচ্ছা, ঠিক ততগুলো সাদৃশ্য খুঁজে পাবেন। আপনি আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় হতে পারেন, কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার রক্ষণে কী চলছে। ঘুঁটিগুলোকে চালনা করার ক্ষেত্রেও আপনাকে কৌশলী হতে হবে, ঘুঁটিগুলোর মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। ফুটবলেও কিন্তু একই ব্যাপারটাই ঘটে, আপনার দলের সমন্বয় যত ভালো হবে, আপনি দল হিসেবে ততই ভালো করবেন।”
শুধু ম্যানেজাররা নন, অনেক ফুটবল খেলোয়াড়ও দাবা খেলেন নিয়মিত।
ফুটবলারদের এই তালিকায় সম্ভবত সবচেয়ে বড় নাম মোহামেদ সালাহ। ২০২৩ সালে স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে দাবা খেলায় রীতিমতো আসক্ত তিনি। চেস ডট কমে তাঁর রেটিং ১৪০০ এর আশেপাশে, সেই হিসেবে ‘ডিসেন্ট’ এবং ‘প্রফিসিয়েন্ট’-এর মাঝামাঝি অবস্থানে আছেন তিনি। বেশিরভাগ সময়ে অনলাইনেই খেলেন সালাহ, ‘ইউজার নেম’ হিসেবে ব্যবহার করেন নিজের আসল নামই। তাঁর বিপক্ষে খেলা অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে জিজ্ঞেস করেন যে তিনি আসলেই মোহামেদ সালাহ কিনা। প্রতিপক্ষের এই বিভ্রান্তিটা বেশ উপভোগও করেন সালাহ।
Image Source: X
ফুটবল আর দাবাকে প্রায় সমান ভালোবাসেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ। দাবা খেলাটা তিনি শিখেছিলেন তাঁর দাদার কাছ থেকে, তাই দাবার সাথে তাঁর সম্পর্কটা বেশ আবেগের। নিজের বাহুতে দাবার মন্ত্রীর ট্যাটুও এঁকেছিলেন তিনি, নিচে লিখে রেখেছেন দাদার নাম।
“দাবা একটা দুর্দান্ত খেলা,” ডেইলি মেইলকে ২০২১ সালে বলেছিলেন পুলিসিচ, “বিভিন্ন প্যাটার্ন শনাক্ত করা, জটিল সমস্যা সমাধান করতে পারা, এমন অনেক কিছুই আপনি শিখতে পারবেন দাবা থেকে। আমি বলছি না যে শুধু দাবা খেললেই ভালো ফুটবলার হওয়া যায়, কিন্তু স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা বা কম্পিউটারে গেম খেলার চেয়ে দাবা খেলা ভালো। মস্তিষ্কও পরিশীলিত হয় এতে, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে।”
সম্প্রতি বার্সেলোনা দলে টেনেশে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি ওলমোকে। দাবা খেলার শিক্ষাটা ফুটবলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন তিনিও। “আমি যতক্ষণ মাঠে থাকি, প্রতিটা মুহূর্তেই চিন্তা করার চেষ্টা করি,” স্কাই স্পোর্টসকে বলেছিলেন তিনি, “বলটা বাঁয়ে যাচ্ছে বলেই আমাকেও বাঁয়ে যেতে হবে, ব্যাপারটা এমন না। বল যখন আমার পায়ে থাকে, আমি চেষ্টা করি এর সেরা ব্যবহার করতে। আর যখন বল আমার পায়ে থাকে না, চেষ্টা করি নিজের বা সতীর্থদের জন্য জায়গা তৈরি করতে।”
এই বক্তব্যগুলোর সাথে ব্রিটিশ গ্র্যান্ডমাস্টার জোনসের কথার মিল পাওয়া যায়, “দাবা আপনাকে প্যাটার্ন শনাক্ত করা শেখাবে। প্রতিপক্ষের কৌশলের মোকাবেলায় কোনটা ঠিক বা ভুল, সেটা বোঝাবে।”
অ্যান্থনি গর্ডন এবং ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ডের কাছে দাবা অবশ্য শুধুই মস্তিষ্কের অনুশীলনের মাধ্যম নয়। “দাবা আপনাকে জীবন শেখাবে। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই এর প্রয়োগ আছে,” বিবিসিকে বলেছিলেন গর্ডন, “এই খেলাটা আপনাকে শান্তি দেবে, আপনার মস্তিষ্ককে শাণিত করবে। আমার কাছে ভালোই লাগে ব্যাপারটা।”
২০১৮ সালে স্পন্সরদের আয়োজনে একটা দাবা ম্যাচে ম্যাগনাস কার্লসেনের মুখোমুখি হয়েছিলেন আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। অনুমিতভাবেই সুবিধা করতে পারেননি এই ফুটবল-তারকা, ১৭ চালেই কিস্তিমাত হয়ে যায়। তবে ম্যাচের ফলাফলে নয়, আলেকজান্ডার-আর্নল্ড ইতিবাচকতা খুঁজে পেয়েছেন অন্যভাবে, “খেলাটা মনোযোগের পক্ষে দারুণ সহায়ক। ফুটবল-দাবা, দুই ক্ষেত্রেই অনেক মনোযোগ দরকার হয়। প্রতিপক্ষ কীভাবে খেলছে, কীভাবে আক্রমণ করার ছক কষছে, কীভাবে আপনি আক্রমণ করবেন, এই সব ব্যাপার বোঝার জন্য অখণ্ড মনোযোগ প্রয়োজন। তাই আপনি চাইলে দুটো খেলা থেকেই কিছু কিছু শিক্ষা নিতে পারেন, এবং সেটা প্রয়োগ করতে পারেন অপর খেলায়।”
Image Source: Getty Images
দাবায় কার্লসেনের মুখোমুখি কিন্তু শুধুই আলেকজান্ডার-আর্নল্ড হননি, বিভিন্ন সময়ে কার্লসেনের সাথে দাবা খেলেছেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ, মার্টিন ওডেগার্ডরাও। আর হ্যাঁ, ম্যাগনাস কার্লসেনও কিন্তু ফুটবলের দারুণ ভক্ত। ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে সবার ওপরেও ছিলেন বেশ কিছুদিন।
তবে সব ফুটবল খেলোয়াড়ই কিন্তু নিজের উন্নতির জন্য দাবা খেলেন না। কেউ কেউ খেলেন শুধুই সময় কাটানোর জন্য। নেটফ্লিক্সে ‘দ্যা কুইন’স গ্যামবিট’ দেখার পর দাবা খেলতে শুরু করেছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের ফরোয়ার্ড হ্যারি কেন। সতীর্থ ইয়োশুয়া কিমিখ এবং কিংসলে কোম্যানের বিপক্ষে খেলেন তিনি। “আমি দাবা খেলি সব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার জন্য,” কেন বলেছিলেন, “দাবা পুরোপুরি মানসিক খেলা। প্রতি মুহূর্তে, প্রতি চালে আপনাকে মনোযোগী থাকতে হয়।”
Image Source: Getty Images
ইউরো ২০২৪ চলাকালে, নেদারল্যান্ডস দল স্বাগতিক দেশ জার্মানিতে গিয়েছিল ট্রেনে চড়ে। আর এই লম্বা ভ্রমণে সময় কাটানোর জন্য বার্ট ভার্টব্রুগেন আর স্টেফান ডি ভ্রি বসেছিলেন দাবার বোর্ড খুলে।
তবে শুধু সময় কাটানোই নয়, দাবার যে আরো উপকারিতা আছে, সেটা তো বলা হলোই। উপকারিতা না থাকলে কি আর পেপ গার্দিওলার মতো মানুষ দাবায় মজতেন!
“দেখুন, প্রতিক্রিয়া দেখানোর বদলে যদি আমরাই আক্রমণ শুরু করি,” দুটো খেলার সাদৃশ্য বোঝাতে মার্তি পেরানাউকে বলেছিলেন গার্দিওলা, “তাহলে কিন্তু খেলার ধারাটা আমরাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। প্রতিপক্ষকে তখন প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে, ওদের হাতে বিকল্পও কমে যাবে। তার মানে আমরা তখন আরো জোরালো আক্রমণের সুযোগ পাবো, ওদের বিকল্প আরো কমতে থাকবে… পুরো ব্যাপারটাই একটা চক্রের মতো। আপনি যদি ম্যাচে একবার আধিপত্য পেয়ে যান, এরপর আক্রমণ করে সেই আধিপত্য বজায় রাখতে পারেন, প্রতিপক্ষ ম্যাচে ফেরার আর সুযোগ পাবে না।”
Image Source: Chess.com
পেপ গার্দিওলার মতো ফুটবল-মস্তিষ্ক যখন দাবার উপকারিতা নিয়ে কথা বলেন, তখন বোধ হয় আর সেটা নিয়ে তর্ক করার অবকাশ থাকে না!