গতির বাণে পাকিস্তানের বিদ্ধ হওয়ার দিনে নায়ক হাসান-রানা
২য় টেস্ট, রাওয়ালপিন্ডি (টস - বাংলাদেশ/ফিল্ডিং)
পাকিস্তান - ২৭৪ ও ১৭২ (সালমান ৪৭, রিজওয়ান ৪৩, শান ২৮, হাসান ৫/৪৩, রানা ৪/৪৪, তাসকিন ১/৪০)
বাংলাদেশ - ২৬২ ও ৪২/০ (জাকির ৩১*, সাদমান ৯*, আবরার ০/৫)
৪র্থ দিন, স্টাম্পস
বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৪৩ রান
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টের মাঝেই বেজার ছিলেন নাসিম, কারণ? চার জন পেসার নিয়ে নামা পাকিস্তান সেটার সুবিধাই নিতে পারেনি উইকেটের জন্য। দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের শুধরে সেই পেসের ফাঁদে ফেলেই ঘুরে দাঁড়ানোর যে ফন্দি স্বাগতিকরা এঁটেছিল, সেই পথে হেঁটে উলটো তাদের নাস্তানাবুদ করল বাংলাদেশ। ১৭২ রানে তাদের গুটিয়ে দেওয়ার দিনে দশ উইকেটই নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে পাঁচ উইকেটে নিয়ে মূল নায়ক হাসান মাহমুদ হলেও গতির ঝড় তুলে প্রকৃতার্থেই নিজেকে মেলে ধরেছেন নাহিদ রানা, সেই সাথে নামের পাশে চার উইকেট তো আছেই। বৃষ্টিতে দিনের শেষাংশ ভেস্তে যাওয়ার আগে ব্যাট হাতে জাকিরের টি-টোয়েন্টি মেজাজের আক্রমণে বাংলাদেশ তাই এক ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে।
এই রাস্তাটা গতকাল লিটনের অতিমানবীয় সেঞ্চুরির পর হাসান নিজেই গড়ে দিয়েছেন গতকাল শেষ বিকেলে। আজ সকালে সেই পথে হাঁটেন তাসকিন। অবশ্য সাইমের জন্য ফাঁদ সাজিয়ে তাকে ড্রাইভে প্রলুব্ধ করার জন্য তাসকিনকে শুধু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হয়েছে। মিড-অফে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাইম ২০ রানে ফিরলে মঞ্চ নিজের করে নেন নাহিদ। একের পর এক গোলা ছুঁড়লেও লাইন-লেংথ নিয়ে যেই শঙ্কাটা তার থেকেই যায়, সেটা আজও ছিল; তবে আজ যেন উইকেট শিকারি মস্তিষ্কটাও প্রখর হয়ে উঠল। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের রেকর্ড থাকা ডেলিভারির মধ্যে দ্রুততম হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন আজ, ১৫২ কিমি/ঘণ্টায় বল করে! এরপর নাহিদ তিন ওভারের বিধ্বংসী এক প্রলয়ে একে একে ফেরালেন শান, বাবর ও শাকিলকে। পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের এই তিন স্তম্ভকে থামিয়ে প্রথম সেশনেই তাই বাংলাদেশের আশার পালে জোর হাওয়া লাগান নাহিদ।