• ক্লাব ফুটবল
  • " />

     

    কীভাবে ভবিষ্যতের তারকা বাছাই করা হয় লা মাসিয়ায়?। লা মাসিয়া সিরিজ। পর্ব ২

    কীভাবে ভবিষ্যতের তারকা বাছাই করা হয় লা মাসিয়ায়?। লা মাসিয়া সিরিজ। পর্ব ২    

    পেপ গার্দিওলা বা মিকেল আর্তেতার মতো ইউরোপ-মাতানো কোচেরা, অথবা লিওনেল মেসি, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, সার্জিও বুসকেটসদের মতো সর্বজয়ী ফুটবলাররা, বার্সেলোনার একাডেমি লা মাসিয়া যুগে যুগে তুলে এনেছে একেকটা সম্ভাবনাময় প্রতিভা, পরবর্তীতে যারা পরিণত হয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের অমূল্য রত্ন হিসেবে।

    কিন্তু শুক্তি থেকে মুক্তো বের করার মতো কীভাবে এমন সব দারুণ খেলোয়াড় তুলে আনে লা মাসিয়া? কীভাবে একজন শিশু বা কিশোরের মধ্যে ভবিষ্যতের তারকার ছায়া দেখতে পায় একাডেমিটি?

    এই প্রশ্নের উত্তরটা দিয়েছেন লা মাসিয়ার দুই সাবেক পরিচালক জর্দি রৌরা এবং অরেলি আলতিমিরা। দুজনেই ২০১৪ থেকে ২০২১ অবধি যুক্ত ছিলেন লা মাসিয়ার সাথে। এর আগে রৌরা সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন সাবেক বার্সেলোনা কোচ টিটো ভিলানোভার সাথেও। ২০১৩ সালে ভিলানোভার অসুস্থতার সময়ে বার্সেলোনার অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।

    জর্দি রৌরা এবং অরেলি আলতিমিরা; Image Source: Aureli Altimira

    পেপ গার্দিওলা বা টিটো ভিলানোভার সময়ে বার্সেলোনা দলের ভিত্তিটা ছিল এই লা মাসিয়াই। ভালদেস, পিকে, পুয়োল, বুসকেটস, জাভি, ইনিয়েস্তা, পেদ্রো, মেসিরাই ছিলেন দলের মেরুদণ্ড। সাফল্যটাও তখন আসতো নিয়মিতই। বিশেষ করে ভিলানোভার অধীনে দুটো দারুণ অর্জনের স্বাদ পায় বার্সেলোনা। ২০১২-১৩ মৌসুমে বার্সা লিগ জেতে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে। এর আগে রিয়াল মাদ্রিদও সেই কৃতিত্ব অর্জন করেছে বটে, তবে বার্সার ওই অর্জন থেকে গেছে নিজেদের প্রথম হিসেবে। 

    এছাড়া ২০১২ সালের ২৫ নভেম্বর, লেভান্তের বিপক্ষে লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে বার্সেলোনার হয়ে মাঠে ছিলেন এগারোজন ‘একাডেমি-গ্র্যাজুয়েট’। অন্য যেকোন ইউরোপীয় দলের কাছে যেটা স্বপ্ন, সেটা বার্সা করে দেখিয়েছিল আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগেই।

    তবে তরুণ খেলোয়াড় খুঁজে পাওয়ার প্রক্রিয়াটা এত সহজ নয়। ২০১৪ সালে লা মাসিয়ায় যোগ দেওয়ার পর রৌরা এবং আলতিমিরার প্রধান দায়িত্ব ছিল তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে বের করে তাঁদেরকে বার্সেলোনার খেলার ধরনের সাথে পরিচিত করে তোলা। এক্ষেত্রে যত ছোট বয়সে খেলোয়াড়দের একাডেমিতে আনা যাবে, তত ভালোভাবে তাকে বার্সার ধাঁচে তৈরি করা সম্ভব হবে।

    লা মাসিয়া থেকে খেলোয়াড় উঠে আসার মূল কৃতিত্বটা তাঁরা দেন বার্সার স্কাউট নেটওয়ার্ককে। সাধারণত কাতালুনিয়াকে কেন্দ্র করে এই নেটওয়ার্ক পরিচালিত হলেও, অনেক ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ বা শহরের একাডেমি থেকেও খেলোয়াড়দের লা মাসিয়ায় নিয়ে আসেন তাঁরা। উদাহরণস্বরূপ, পাবলো গাভি এবং ফারমিন লোপেজ রিয়াল বেতিসের একাডেমি থেকে বার্সেলোনায় এসেছিলেন।

    তবে কোন শিশু বা কিশোরকে একাডেমিতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াটা এত সহজ নয়, বরং একজন পেশাদার খেলোয়াড় স্বাক্ষর করানোর মতোই ‘ঝামেলাপূর্ণ’। আবার অন্য যেকোন ক্লাব থেকে বার্সেলোনার একাডেমিতে খেলোয়াড়দের নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যোগাযোগটা করতে হয় ওই খেলোয়াড়ের এজেন্টের সাথে, তা সেই খেলোয়াড়ের বয়স ১০ হোক বা ১৭। এজেন্টের পাশাপাশি খেলোয়াড়ের পরিবারকেও ‘কনভিন্স’ করতে হয়। এই চুক্তিগুলো সম্পন্ন করতে হয় খুব দ্রুত, কেননা একজন সম্ভাবনাময় তরুণ খেলোয়াড়ের ওপর অনেক ক্লাবেরই নজর থাকে। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে বার্সেলোনার জন্য ট্রায়াল দেওয়ার পর লিওনেল মেসিকে দেখে তৎকালীন স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লোস রেক্সাস এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন, যে হাতের কাছে কাগজ না পেয়ে ন্যাপকিনেই মেসির সাথে চুক্তি সেরে ফেলেন তিনি। 

    আন্দালুসিয়া থেকে গাভিকে যখন বার্সেলোনায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১১ বছর। শুধু বার্সেলোনা নয়, পাশাপাশি রিয়াল মাদ্রিদ আর ভিয়ারিয়ালেরও নজর ছিল গাভির ওপর। তাই তাঁকে একাডেমিতে আনতে একটু তাড়াহুড়া করতেই হতো বার্সেলোনাকে। তবে লা মাসিয়ার বড় খেলোয়াড় তৈরি করতে পারার সুখ্যাতিটাও এক্ষেত্রে বড় নিয়ামক ছিল। অন্য অনেক ক্লাবের একাডেমি আরো বেশি বিলাসবহুল হতে পারে, কিন্তু লা মাসিয়া একটা পরিবারের মতো। প্রত্যেকেই প্রত্যেককে আপন করে নেয় এখানে।

    লা মাসিয়ার গাভি; Image Source: FC Barcelona

    খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে লা মাসিয়া খেলোয়াড়ের শারীরিক গড়ন বা তাক লাগানো পারফরম্যান্সের বদলে প্রাধান্য দেয় প্রতিভা এবং টেকনিককে। যদি খেলোয়াড়কে যথেষ্ট প্রতিভাবান মনে হয়, একই সাথে তার খেলাটা বোঝার ক্ষমতা থাকে, সেক্ষেত্রে শারীরিক গড়ন যেমনই হোক না কেন, লা মাসিয়া তাকে নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে যদি সেই খেলোয়াড় শারীরিকভাবে লম্বা এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে, সেক্ষেত্রে আরো ভালো।

    তরুণ খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে আরো একটা ব্যাপার কাজ করে। কম বয়সে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই স্ট্রাইকার হতে চান। তবে সেই খেলোয়াড় যদি যথেষ্ট প্রতিভাবান হয়, তাহলে তাকে ঘষেমেজে যেকোন পজিশনে খেলানোর জন্য প্রস্তুত করা যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আলেহান্দ্রো বালদের নাম। লেফট উইঙ্গার হিসেবে তাঁকে খেলানোই যেত, কিন্তু মাঠের একাদশে তাঁর রক্ষণ থেকে আক্রমণে ওঠার প্রতিভাটাই বেশি করে ফুটে ওঠে। তাই পরবর্তীতে লেফটব্যাক হিসেবেই পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করলেন তিনি। 

    তবে এটাও সত্য, গোলরক্ষক এবং সেন্টারব্যাকদের ক্ষেত্রে শারীরিক গড়নের ব্যাপারটা অবহেলা করা যায় না। বিশেষ করে আধুনিক ফুটবলে কোন গোলকিপারের উচ্চতা ছয় ফুটের কম হলে বা কোন সেন্টারব্যাক অপেক্ষাকৃত খর্বাকৃতির হলে, ম্যাচ শুরুর আগেই তারা খানিকটা পিছিয়ে পড়বে। এই ব্যাপারটাও খেয়াল রাখতে হয় ক্লাব এবং একাডেমিগুলোকে। 

    এক্ষেত্রে কুবারসির উদাহরণ দেওয়া যায়। মাত্র ১৭ বছর বয়সী এই সেন্টারব্যাককে ঘিরে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে বার্সেলোনা। ইতোমধ্যে ছয় ফুট লম্বা হয়েছেন তিনি, উচ্চতা বৃদ্ধির বয়স বাকি রয়েছে এখনো। তাঁকে একাডেমিতে টানার গল্পটাও বলেছেন আলতিমিরা, “এসপানিওলের মাঠে জিরোনার হয়ে আমরা যখন প্রথম ওকে খেলতে দেখি, তখন ওর বয়স মাত্র এগারো। তখন আমরা খোঁজ নিলাম যে তার বাবার উচ্চতা কেমন। কেননা যদি বাবার উচ্চতা ভালো হয়, তাহলে খুব ভালো সম্ভাবনা আছে যে কুবারসিও একজন চমৎকার লম্বা সেন্টারব্যাক হয়ে উঠবে।”

    লা মাসিয়ার কুবারসি; Image Source: Pau Cubarsi (Instagram)

    একই সময়ে ক্যাডেটদের (অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ের খেলোয়াড়) বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি হাতে নেয় বার্সেলোনা। পজিশন ধরে ধরে সেই অনুসারে খেলোয়াড় বাছাই করা শুরু হয়। যেমন, বার্সা অ্যাথলেটিক (বার্সেলোনার রিজার্ভ দল, আগে ‘বি’ টিম বলা হতো, স্পেনের তৃতীয় পর্যায়ে খেলে) দলে কতজন রাইটব্যাক আছেন, তাঁদের কোয়ালিটি কেমন, তাঁদের বৈশিষ্ট্য কী, এগুলো বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর দেখা হয় জুভেনিল (অনূর্ধ্ব-১৯) দল এবং ক্যাডেটদের। এরপর বিবেচনা করা হয় যে বর্তমান অবস্থা থেকে এই খেলোয়াড়দের কতটা উন্নতি সম্ভব, এবং পরবর্তীতে মূল দলে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু।

    এই বিশ্লেষণ শুরুর পর থেকে লা মাসিয়ার খেলোয়াড় কেনার নীতিতে পরিবর্তন আসে। উদাহরণস্বরূপ, হয়তো একজনকে ফুলব্যাক নজর কাড়লেন লা মাসিয়ার পরিচালকদের। কিন্তু একাডেমিতে হয়তো ইতোমধ্যে আরো তিনজন ফুলব্যাক আছেন, এবং নতুন একজন ফুলব্যাক আনলে আখেরে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। সেক্ষেত্রে ওই ফুলব্যাকের মধ্যে অসাধারণ কিছু না দেখলে তাঁকে কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়।

    তবে কিছু ব্যতিক্রমও আছে। অনেক ক্ষেত্রেই খেলোয়াড়ের উত্থান সম্পর্কে আগে ধারণা করা যায় না। এই যেমন লামিন ইয়ামাল। ছোটবেলা থেকেই লামিনের মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছে সবাই, কিন্তু সেই লামিন যে ষোল বছর বয়সে মূল দলে জায়গা করে নেবেন, ইউরোর সেরা তরুণ খেলোয়াড় হয়ে যাবেন, এতটা ভাবেননি কেউই। বার্সা যখন তাদের প্রি-বেঞ্জামিন (পাঁচ থেকে সাত বছর বয়সী) দলে লামিনকে ভেড়ালো প্রথমবারের মতো, তখন তিনি মাত্রই ট্রায়াল দিয়েছেন ক্লাবে। শারীরিকভাবেও তখন তিনি ছোটখাটো, লিকলিকে। তাঁর দৌড়ানোর ধরনও অন্যদের তুলনায় একটু আলাদা ছিল। আর তিনি যে বিশেষ, সেটা তো ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে থাকলো। তবুও, মাত্র ষোল বছর বয়সেই স্পেন আর বার্সেলোনার মূল ভরসায় পরিণত হওয়া… এতটা ভাবেননি কেউই।

    সবাই অবশ্য লামিন হতে পারেন না, অনেকেই কিশোর বয়সে সম্ভাবনা দেখিয়ে পরে হারিয়ে যান। অনেকেই আশেপাশের, দর্শক-সমর্থকদের, মিডিয়ার চাপটা নিতে পারেন না, অনেকের মধ্যেই সেই মানসিক শক্তিটা থাকে না। তবে লামিন-কুবারসির মধ্যে ওই মানসিক শক্তিটা পুরোপুরি আছে বলেই এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে।

    আলতিমিরা-রৌরা দুজনেই এর সাথে একমত। দুজনেই লামিন-কুবারসিকে দেখছেন তাদের ছোটবেলা থেকে। এই দুজনেই শৈশব থেকে কৈশোরে উত্তীর্ণ হওয়ার পথে লা মাসিয়ায় বারবার মানসিক শক্তির পরীক্ষা দিয়েছেন। তাই টেকনিক এবং শারীরিকভাবে আরো পরিপক্ব হওয়ার পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তাও অর্জন করেছেন লামিন-কুবারসি। এই মানসিক দৃঢ়তাটা না থাকলে বর্তমানের ফুটবলে টিকে থাকা খুব কঠিন।

    লা মাসিয়ার লামিন ইয়ামাল; Image Source: La Liga

    পাশাপাশি এই প্রশ্নটাও চলে আসে, তরুণ খেলোয়াড়দের কাঁধে কি একটু বেশিই দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে বার্সেলোনা? জবাবে আলতিমিরা গুরুত্ব দিলেন সচেতনতাকে, “আপনাকে সচেতন হতেই হবে। এখন প্রতিযোগিতাটা খুবই কঠিন, সেদিকেও আমাদের চোখ রাখতে হবে। তরুণদের শারীরিক বৃদ্ধির ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে। আর আশেপাশের চাপের ব্যাপারটা তো রয়েছেই। হঠাতই আপনি দেখবেন যে আপনার চারপাশের সবাই আপনাকে নিয়ে কথা বলছে। সেই চাপটা আপনাকে সামলাতে পারতে হবে। এই চাপ সামলাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হারিয়ে গেছে, এমন অজস্র উদাহরণ আছে।”

    রৌরা বলেন, “দেখুন, আমরা এমন একটা ব্যাপারকে সাধারণ করে ফেলেছি, যেটা আসলে কোনোভাবেই সাধারণ নয়। এই লামিন-কুবারসিদের মতো সতেরো বছর বয়সী খেলোয়াড়রা যেভাবে বার্সেলোনা এবং স্পেনের হয়ে পারফর্ম করছে, এটা অস্বাভাবিক, অভাবনীয়।”

    তিনি আরো যোগ করেন, “এখন সবাই ওদের প্রশংসা করছে, কিন্তু প্রতিদিন তো একইভাবে চলবে না। একদিন হয়তো কুবারসি একটা ভুল করবে অথবা লামিন তিনটা গোল মিস করবে। এমনটা হবেই, এমনটা হয়ই। কিন্তু সেদিনও আপনাকে মনে রাখতে হবে, ওদের বয়স মাত্র সতেরো। সেদিনও ওদেরকে সমালোচনার বাড়াবাড়ি থেকে রক্ষা করতে হবে।”

    ক্যারিয়ারের শুরুতেই লামিন-কুবারসি-ফারমিন-বালদে তাঁদের ঝলক দেখিয়ে ফেলেছেন, এখন ক্লাব বার্সেলোনা এবং জাতীয় দল স্পেনের দায়িত্ব তাঁদেরকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা। পেদ্রি বা গাভির ক্ষেত্রে সেই সমন্বয়ে ঘাটতি ছিল, ফলস্বরূপ ক্যারিয়ারের শুরুতে দুজনেই পড়েছেন বড় ইনজুরিতে। নিশ্চিতভাবেই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না কেউই, ১৭ বছর বয়সীদেরকে ২২ বা ২৩ বছর বয়সীদের মতো খেলানোর রীতিও পাল্টাতে হবে। তরুণ খেলোয়াড়রা স্বাভাবিকভাবেই বেশি মিনিট খেলতে চান, কিন্তু তাঁদের ফিটনেস এবং চোটশঙ্কার ব্যাপারটা মাথায় রেখে সেই ইচ্ছায় বাঁধ দেওয়ার দায়িত্ব ক্লাবের। 

    ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে এখন প্রতি মৌসুমেই অনেক খেলা থাকে। ক্লাবের হয়ে লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, কোপা দেল রে, স্প্যানিশ সুপার কোপা তো থাকেই সাথে জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ-ইউরো বা ইউয়েফা নেশনস লিগের ধকলও সইতে হয় খেলোয়াড়দের। তাই খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাওয়াটাও কঠিন হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু তবুও, খেলোয়াড়দের স্বার্থে, ক্লাবের স্বার্থে, এবং সর্বোপরি ফুটবলের স্বার্থে, বার্সেলোনাকে যৌক্তিক এবং সাবধানী সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।

    ফারমিন-লামিন-কুবারসি; বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ; Image Source: FC Barcelona

    মাঠে ভালো ফলাফলের আশায় বেশি বেশি খেলিয়ে তরুণ খেলোয়াড়দের চোটে ফেলা, অতঃপর ক্যারিয়ারকে সংকটের মুখে ঠেলে দেওয়ার এই সাম্প্রতিক রীতি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে বার্সেলোনাকে।

    তবেই না গাভি-ফারমিন-কুবারসি-লামিনরা হয়ে উঠবেন আগামীর জাভি-ইনিয়েস্তা-পুয়োল-মেসি!