• ক্লাব ফুটবল
  • " />

     

    কেন ধর্মঘটে যেতে চান রদ্রি-অ্যালিসনরা?

    কেন ধর্মঘটে যেতে চান রদ্রি-অ্যালিসনরা?    

    “এমন (ধর্মঘট) একটা কিছুর খুব কাছাকাছিই আছে আমরা। খেলোয়াড়দের মনোভাব এমনই। আর যদি এমনটা চলতেই থাকে, আমাদের আর কিছু করার থাকবে না।”

    ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই বলেছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। কিন্তু এটাই প্রথম নয়, এর আগে এমন সুর শোনা গেছে সিটির ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকাঞ্জি এবং লিভারপুলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের কণ্ঠে। 

    কিন্তু কেন হঠাৎ এমন ক্ষেপে গেলেন প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়রা? কেন ধর্মঘটের আভাস পাওয়া যাচ্ছে তাঁদের কণ্ঠে?

    কেন ক্ষেপেছেন রদ্রিরা?

    প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, লিগ কাপের মতো নিয়মিত ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলো তো রয়েছেই, এর সাথে চলতি মৌসুম থেকে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু হয়েছে নতুন মডেলে। এই মডেলে যেমন দলগুলোর ম্যাচের সংখ্যা বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ম্যাচগুলোর গুরুত্বও। শুধু তাই নয়, আগামী জুন-জুলাইয়ে নতুন মডেলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপও। এর সাথে আন্তর্জাতিক বিরতিতে দেশের জার্সিতে খেলা ম্যাচগুলোকেও বিবেচনায় নিলে, যেকোন নিয়মিত খেলোয়াড়কে প্রতি মৌসুমে খেলতে হবে প্রায় ৭০-৭৫টা ম্যাচ। খেলোয়াড়দের আপত্তিটা সেখানেই।

    “এটা অতিরিক্ত,” গত মঙ্গলবারে বলেছিলেন রদ্রি, “সবসময়ে টাকা বা মার্কেটিংয়ের কথা ভাবলে চলে না। খেলার কোয়ালিটির কথাও ভাবতে হবে। আর আমি যদি ক্লান্ত না হই, তবেই না আমার পারফরম্যান্স ভালো হবে।”

    নিজের ছোট্ট মন্তব্যেই ফুটবলের দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা আর ফিফার প্রতি নিজের ক্ষোভটা উগরে দিয়েছেন রদ্রি। একের পর এক প্রতিযোগিতার অনেক অনেক ম্যাচ খেলা বাদেও মৌসুমের শুরু এবং শেষে প্রীতি-ম্যাচের মোড়কে বেশ কিছু টুর্নামেন্ট খেলতে হয় দলগুলোকে। এত ভ্রমণও খেলোয়াড়দের ক্লান্তির অন্যতম উৎস।

    প্রতিযোগিতা সম্ভাব্য ম্যাচ সংখ্যা
    প্রিমিয়ার লিগ ৩৮
    এফএ কাপ ৫-৬
    লিগ কাপ ৪-৫
    ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ১৩-১৭
    ক্লাব বিশ্বকাপ ৬-৭
    আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ/ বিশ্বকাপ বাছাই/ ইউয়েফা নেশনস লিগ ৭-৮
    প্রি-সিজন ম্যাচ ৫-৬
    মোট (আনুমানিক) ৭০-৮০

    এই কারণেই এখন প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছেন খেলোয়াড়রা। ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন (ইংলিশ প্রফেশনাল ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশন- পিএফএ) এবং ফরাসি খেলোয়াড়দের সংগঠন (ইউনিয়ন ন্যাসিওনালে দে ফুটবলারস প্রফেশনেলস ইন ফ্রান্স) জুন মাসেই ফিফার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন। 

    তবে সিআইইএস ফুটবল অবজার্ভেটরির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক যুগ আগে বেশিরভাগ ক্লাব প্রতি মৌসুমে যে পরিমাণ ম্যাচ খেলতো, এখন তার চেয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলে না।

    মাত্র ০.৩১ শতাংশ ফুটবলার ৬১ বা এর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেন প্রতি মৌসুমে। ৫১ থেকে ৬০ ম্যাচ খেলেন ১.৮ শতাংশ, আর ৪১ থেকে ৫০টা ম্যাচ খেলেন ৬.৮ শতাংশ খেলোয়াড়। ২০১২ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে, মৌসুমপ্রতি প্রতিটা ক্লাবকে ৪০টার মতো ম্যাচ খেলতে হতো, ষাটোর্ধ্ব ম্যাচ খেলতে হতো মাত্র পাঁচ শতাংশ ক্লাবকে। এই ১২ বছরে ৪০টা লিগের ১৮,০০০ থেকে ২১,০০০ পেশাদার ফুটবলারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতি মৌসুমে একজন খেলোয়াড়কে খেলতে হয় ২২.৭টা ম্যাচ। 

    এই সংখ্যাটা বেশিরভাগ ক্লাবের ক্ষেত্রে এখনো এমনই। তবে বড় বড় ক্লাবের নিয়মিত খেলোয়াড়দের ওপরই চাপটা পড়ে বেশি। রদ্রি বা অ্যালিসনদের মতো খেলোয়াড়দের তিনটা ঘরোয়া প্রতিযোগিতা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপের বাইরেও অংশ নিতে হয় নেশনস লিগ-ইউরো-কোপা আমেরিকা-বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক আসরে।

    ধর্মঘটটা কেমন হতে পারে?

    রদ্রি যদিও ধর্মঘটকে খুব কাছাকাছি মনে করছেন, তবে বাস্তবে সম্ভবত সেটা এখনও বেশ কিছুটা দূরে। পুরো ধর্মঘট ব্যাপারটা পরিচালিত হবে, মানে যদি সত্যিই পরিচালিত হয়, পিএফএ বা ফিফপ্রোর (পেশাদার ফুটবলারদের বৈশ্বিক সংগঠন) মাধ্যমে। আর ধর্মঘটটা আপাতদৃষ্টিতে খেলোয়াড়দের জন্য সর্বশেষ অস্ত্রই, যেটা প্রয়োগ করা হবে এর আগের সব প্রক্রিয়া এবং আলোচনা ব্যর্থ হলে।

    ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের একমাত্র সংগঠন পিএফএ-এর জন্যও এই ডাক দেওয়ার কাজটা সহজ নয়। তাত্ত্বিকভাবে, পাঁচ হাজার সদস্যের মতামতের ভিত্তিতেই কর্মসূচি নির্ধারণ করতে হবে তাদেরকে। আর এই পাঁচ হাজার সদস্যের মতামত গ্রহণের কাজটাও বেশ সময়সাপেক্ষ।

    আবার খেলোয়াড়রা যদি সম্মিলিতভাবে এই ধর্মঘট-জাতীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, সেক্ষেত্রে প্রিমিয়ার লিগ, দ্য ইংলিশ ফুটবল লিগ, দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, উয়েফা এবং ফিফা, প্রত্যেকটা সংস্থার সামনে সুযোগ থাকবে আইনের আশ্রয় নেওয়ার।

    “আমরা চেষ্টা করেছি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে আলোচনায় বসার,” পিএফএর প্রধান কর্মকর্তা মাহেতা মোলাঙ্গো বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছিলাম একটা কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর, কারণ আইনের কাছে যাওয়ার অর্থ সব পক্ষেরই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। কিন্তু অনেক সময়ে, শেষ পর্যন্ত কোন কার্যকর সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তখন তৃতীয় পক্ষের শরণাপন্ন হতেই হয়।”

    ইংলিশ ফুটবলে কি আগেও এমনটা ঘটেছে?

    পঞ্জিকার পাতা উল্টে ফিরে যাওয়া যাক ২০০১ সালের নভেম্বরে। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষের সাথে তখন পিএফএর আলোচনা চলছে। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ তখন চাইছে, বিদ্যমান পাঁচ শতাংশের বদলে ঘরোয়া ব্রডকাস্ট চুক্তিগুলোর দুই শতাংশ পিএফএকে দিতে। স্বাভাবিকভাবেই পিএফএর অবস্থান ছিল এর বিরুদ্ধে।

    প্রায় তিন মাস আলোচনার পরও কোন সমাধানে পৌঁছানো গেল না। তখন পিএফএ সিদ্ধান্ত নিলো, ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মধ্যে গণভোট করার। তাতে খেলোয়াড়দের নিরানব্বই শতাংশ ভোট এলো টেলিভিশনে দেখানো হবে এমন যেকোন খেলা বয়কটের পক্ষে। ডিসেম্বরের এক তারিখ থেকে এই ধর্মঘট শুরু করার সিদ্ধান্ত হলো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন এবং রয় কিন, গ্যারি নেভিল, রায়ান গিগসের মতো খেলোয়াড়রাও অবস্থান নিয়েছিলেন ধর্মঘটের পক্ষে, এমনটাই জানিয়েছিলেন পিএফএর তৎকালীন প্রধান কর্মকর্তা গর্ডন টেলর।

    প্রিমিয়ার লিগের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পর্যায়ে যেতে হয়নি। কেননা, প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ এবং পিএফএর মধ্যে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় শেষ পর্যন্ত সমাধানে পৌঁছে দুই পক্ষ। 

    সময়ের পথ ধরে আরো অতীতের দিকে গেলে দেখা যায়, গত শতাব্দীর ষাটের দশকেও এমন একটা ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। খেলোয়াড়দের সাপ্তাহিক বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পিএফএর প্রধান কর্মকর্তা জিমি হিল ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর এই ঘোষণার পরে নমনীয় হতে হয়েছিল দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (এফএ)।

    অন্য দেশে বা অন্য খেলায় কি এমন ঘটনা ঘটে?

    খেলোয়াড়দের সংগঠনের শক্তি যে দেশে বেশি থাকে, সেখানেই এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটতে দেখা যায়। অবধারিতভাবেই এই তালিকায় প্রথম নামটা আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

    নব্বইয়ের দশকের দ্বিতীয়ার্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ) তিনবার লক-আউটের ডাক দেয়। ২০১১ সালে আরো একবার লক-আউটের ডাক দেওয়া হয়, যেটা চলেছিল পাঁচ মাসব্যাপী। ওই একই বছরে দ্য ন্যাশনাল ফুটবল লিগেও (এনএফএল) খেলোয়াড় এবং দলের মালিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল।

    ২০২২ সালে মেজর লিগ বেসবলেও লক-আউটের ডাক দেওয়া হয়, যেটা ছিল তাদের ইতিহাসে নবম। ন্যাশনাল হকি লিগেও (এনএইচএল) অনেক সময়েই খেলোয়াড়দের সাথে বিভিন্ন ব্যাপারে দ্বিমত দেখা গেছে দলের মালিকদের। 

    তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খেলার এসব ধর্মঘটের সাথে ইউরোপীয় ফুটবলকে মেলানো হয়তো পুরোপুরি ঠিক না। আগেই বলা হয়েছে, প্রিমিয়ার লিগের একজন নিয়মিত খেলোয়াড়কে এখন প্রতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, লিগ কাপ, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ফিফার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়। ফুটবলারদের সংগঠনগুলোকে তাই অনেকগুলো সংস্থার সাথে আলোচনা করেই শেষ পর্যন্ত কর্মসূচি দিতে হয়।

    সত্যিই কি শেষ পর্যন্ত ধর্মঘটের পথে যাবেন খেলোয়াড়রা?

    সূচি এবং ওভারলোড নিয়ে রদ্রি-অ্যালিসনরা বিরক্ত হলেও, সাউদাম্পটনের ম্যানেজার রাসেল মার্টিন বলছেন ভিন্ন কথা। খেলোয়াড়রা ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবেন, এমনটা মনে হয় না তাঁর।

    চলতি মৌসুমেই চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উঠে এসেছে তাঁর দল। এর সাথে এফএ কাপ আর লিগ কাপের ম্যাচ খেলতেও আপত্তি নেই তাঁর।

    “আমাদের ম্যাচসংখ্যা ৫০ থেকে ৩৮-এ নেমে এসেছে। এর সাথে দুটো কাপের ম্যাচ। আমার তো মনে হয়, ছেলেরা এটা নিয়ে খুশিই আছে।”

    তবে বেশি বেশি খেলার ক্লান্তির কারণে বড় দলগুলোর খেলার কোয়ালিটি কমে যেতেও পারে বলে মনে করেন তিনি। 

    “সেরা খেলোয়াড় যারা, তাদের চোটের পরিমাণ বাড়বে, সেই হিসেবে রদ্রির কথা ঠিকই আছে। এই ব্যাপারে আসলেই মনোযোগ দেওয়া উচিত, বিশেষ করে যাদেরকে চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হয়।”

    ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের সম্ভাবনার ব্যাপারে কথা বলেছেন আইনজীবী রস মিডোউসও, “পিএফএ সাধারণত সমস্যার সমাধান করতে চায় আলোচনার টেবিলেই। ধর্মঘট বা এই জাতীয় কর্মসূচির পরিবর্তে সবার সাথে কথা বলে মিটমাট করতে চায়।” 

    তবে ইংল্যান্ড এবং ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক গোলরক্ষক জো হার্ট মনে করেন, রদ্রি এবং অ্যালিসন বলে ফেলেছেন তাঁদের মনের কথাটাই। 

    “দুজনেই নিজেদের সততার সাথে কথা বলেছে। সবকিছু নিয়ে নাটক করতে চায়, এমন মানুষ তারা নয়। আমি নিশ্চিত যে তারা শুধুই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। বিশেষ করে রদ্রি। আমার মনে হয় না সে এখনই ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের কথা বোঝাতে চেয়েছে। এমনটা চলতে থাকলে কোন না কোন পর্যায়ে নিজেদের অধিকার রক্ষায় দাঁড়াতে হবে, এমনটাই বোঝাতে চেয়েছে সে।”

    পাশাপাশি ধর্মঘটের কিছু আইনি জটিলতাও রয়েছে।

    “ব্রিটেনের আইন অনুসারে ধর্মঘট করা এত সহজ নয়,” রস মিডোউস বলেন, “আইনিভাবে ফুটবলারদের চাহিদার ব্যাপারগুলো পুরোপুরি না মানা হলে খেলোয়াড়রা ধর্মঘট করে খেলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন। এই ধর্মঘট পালনকালে বেতন পাবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত সাধারণত ক্লাবগুলো নিতে পারে। আবার চাইলে চুক্তি ভঙ্গের জন্য অভিযুক্তও করতে পারে। যদিও দ্বিতীয়টা খুব একটা দেখা যায় না। তবে এই ধর্মঘট যদি অযৌক্তিক হয়, সেক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের জরিমানা বা সাসপেনশন হতে পারে।”

    তিনি আরো বলেন, “তবে আমার মনে হয় না যে এটা আসলেও হতে পারে। রদ্রির মতো খেলোয়াড়কে ম্যানচেস্টার সিটি বের করে দেবে, এবং এরপর রিয়াল মাদ্রিদের মতো কোন একটা ক্লাব তাকে ফ্রি ট্রান্সফারে দলে ভেড়াবে, এটা অকল্পনীয়। তাই আমার মনে হয় ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের পক্ষেই থাকবে।”

    সব মিলিয়ে, এখনকার ফুটবলে রদ্রি-অ্যালিসনদের মতো বড় দলের নিয়মিত খেলোয়াড়দের প্রতি মৌসুমে যে পরিমাণ ম্যাচ খেলতে হয়, সেটা একদিকে যেমন সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের অন্তরায়, আবার ক্ষেত্রবিশেষে অমানবিকও। তাই ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাছে প্রতিযোগিতাগুলোর সংস্কার এবং ম্যাচ সংখ্যা কমানোর দাবি জানানোটা খুবই স্বাভাবিক। পাশাপাশি এটাও সত্য, বেশি ম্যাচ খেলানোর এই অভিযোগটা ম্যানচেস্টার সিটি বা লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়ের জন্য যতটা সত্য, লেস্টার সিটি বা সাউদাম্পটন বা ক্রিস্টাল প্যালেসের জন্য ততটা সত্য নয়। তাই দাবি আদায়ের জন্য ধর্মঘট কর্মসূচির দিকে যাওয়াটা আপাতত একটু কঠিনই মনে হচ্ছে।