কেন কমে যাচ্ছে দূরপাল্লার গোলের সংখ্যা?
২০০৬ এর ডিসেম্বরের কথা।
ওই মাসে প্রিমিয়ার লিগের ‘গোল অব দ্য মান্থ’ বেছে নেওয়াটা খুব কঠিন ছিল দর্শকদের জন্য। ওই মাসের সেরা দশটা গোলের মধ্যে নয়টিই ছিল বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে। শুধু ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে বক্সের ভেতরে ইনসাইড কাট করে রবিন ফন পার্সি বাঁকানো শটে গোল করেছিলেন।
পল স্কোলসের দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটটা গোললাইন অতিক্রম করেছিল অ্যাস্টন ভিলার ক্রসবারে লেগে। দিদিয়ের দ্রগবা তাঁর দারুণ ভলিতে পরাস্ত করেছিলেন টিম হাওয়ার্ডকে। মাইকেল এসিয়েন তো রীতিমতো গোলা ছুঁড়েছিলেন, জালে না জড়ালে বলটা স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজের কোন দর্শককে আঘাত করতো, সেটা একটা চিন্তার ব্যাপার হতে পারে। আর পোর্টসমাউথের ম্যাট টেইলর তো ৫৫ গজ দূর থেকে জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন বলটা। সব মিলিয়ে, দর্শক-সমর্থকদের জন্য ওই মাসের সেরা গোলটা বেছে নেওয়া ছিল এক মধুর সমস্যা।
৫৫ গজ দূর থেকে গোল করেছিলেন ম্যাট টেইলর; Image Source: Getty Images
সেই তুলনায় বর্তমানের ফুটবলে দূরপাল্লার শটে গোলের সংখ্যা কমে গেছে অনেকটাই। এর পেছনে বেশ কিছু ব্যাপার কাজ করেছে প্রভাবক হিসেবে।
১. দূরপাল্লার শটের সংখ্যা
প্রিমিয়ার লিগের ২০০৬-০৭ মৌসুমের গল্প দিয়েই শুরু করেছিলাম। ওই মৌসুমে মোট নন-পেনাল্টি গোল হয়েছিল ৮৪৪টা, যার ১৮৮টা এসেছিল বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে, শতাংশের হিসেবে যা ২২.৩%।
Image Source: Stats Perform
এবার তাকানো যাক ২০২৩-২৪ মৌসুমের পরিসংখ্যানের দিকে। ২০০৬-০৭ মৌসুমের ২২.৩ শতাংশটা গত মৌসুমে নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে, ১২.৪%-এ। পাশাপাশি ২০০৩-০৪ থেকে এ পর্যন্ত, স্ট্যাটসপারফর্ম থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে যা সর্বনিম্ন। একই সময়ে, প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচপ্রতি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটের পরিমাণও কমেছে প্রায় ৩২ শতাংশ। আগে যেখানে প্রতি নব্বই মিনিটে শট হতো ১৩.৩টা, এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৯.১-এ।
Image Source: Stats Perform
শুধু প্রিমিয়ার লিগ না, পুরো ইউরোপেই চিত্রটা একই।
ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগ, স্পেনের লা লিগা, জার্মানির বুন্দেসলীগা, ফ্রান্সের লিগ আঁ এবং ইতালির সিরি আ, শীর্ষ পাঁচ লিগের সবগুলোতেই দলগুলোর মধ্যে পোস্টের কাছাকাছি এসে শট নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্যণীয়। ড্রিবল্যাবের একটা পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত পাঁচ মৌসুমে শীর্ষ পাঁচ লিগে গোলপোস্ট থেকে শট নেওয়ার দূরত্ব প্রায় আড়াই গজ কমে গেছে। এই দূরত্বটা সবচেয়ে কম হ্রাস পেয়েছে লা লিগাতে, মাত্র ১.২ গজ।
Image Source: Stats Perform
এবং এই ঘটনার পেছনেও কাজ করেছে তথ্য-উপাত্ত, পরিসংখ্যান এবং সম্ভাবনার কিছু গোলমেলে মারপ্যাঁচ।
২. তথ্য-উপাত্ত এবং পরিসংখ্যান
ফুটবলের খুঁটিনাটি তথ্য-উপাত্ত এবং পরিসংখ্যান নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী কাজের প্ল্যাটফর্ম স্ট্যাটসবম্ব-এর পরিচালক জেমস ইয়র্ক একটা হিসাব দেখিয়েছেন।
গোলপোস্ট থেকে ২৫ গজ বা এর চেয়েও দূর থেকে শট নিলে, সেই শটে গোল হওয়ার সম্ভাবনা (এক্সজি) মাত্র ০.০৩। সহজ কথায়, অতদূর থেকে নেওয়া প্রতি ১০০টা শটের মধ্যে গড়ে মাত্র ৩টা শট জড়াবে জালে। দূরত্বটা কমিয়ে ২০ গজে নিয়ে আসা হোক, তাতে এক্সজি হয় দ্বিগুণ, যদিও তাকে আহামরি উন্নতি বলা যায় না। এক্ষেত্রে প্রতি ১০০টা শটের মধ্যে গোল হবে মাত্র ৬টা।
দূরত্বটা আরো কমানো হোক। পোস্ট থেকে মাত্র ১২ গজ দূরে, পেনাল্টি স্পটে বলটা রাখা হোক। তাতে গোল করার সম্ভাবনা বাড়ে কিছুটা (০.১৬)। অর্থাৎ, প্রতি ছয় শটের একটাতে গোল পাবেন খেলোয়াড়রা।
না, চোখের দেখায় যতটা সহজ মনে হয়, এক্সজির হিসেবে গোল করাটা ততটাও সহজ নয়।
Image Source: Stats Perform
এক্সজির হিসেবে কোন শটে গোল করার সম্ভাবনা পঞ্চাশ শতাংশের চেয়ে বেশি হবে তখনই, যদি শটটা নেওয়া হয় ছয় গজের বক্সের ভেতর থেকে।
তথ্য-উপাত্ত আর পরিসংখ্যানের আলোকে তৈরি করা এই ‘এক্সজি টেবিল’ থেকে স্পষ্ট যে, দূর থেকে শট নিলে স্বাভাবিকভাবেই তাতে গোল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। এই ব্যাপারটা জানেন ম্যানেজার-খেলোয়াড়-সাপোর্ট স্টাফ, সবাই। এই কারণে এখন দূরপাল্লার শটে গোল করার প্রবণতা কমেছে আগের চেয়ে। গত দশকেও যেখানে মাঠে খেলোয়াড়রা শট নিতেন সম্ভাবনা, নিজের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আর ইতিবাচক মানসিকতার ওপর ভিত্তি করে, এখন সেই জায়গাটা দখল করেছে পরিসংখ্যান।
আর তাছাড়া, যেহেতু দূর থেকে শট নিয়ে গোল করলেও আলাদা কোন পুরস্কার নেই, বাস্কেটবলের মতোদুই পয়েন্টের বদলে তিন পয়েন্ট প্রাপ্তির ব্যাপার নেই, খেলোয়াড়রা কেনই বা দূরপাল্লার শট নিতে গিয়ে নষ্ট করবেন একটা চমৎকার আক্রমণ!
Image Source: Stats Perform
ঠিক এই কারণেই গত বিশ বছরে প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচপ্রতি পাসের সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে পাস সঠিক হওয়ার হারও। ২০০৭-০৮ মৌসুমে যেখানে প্রিমিয়ার লিগের প্রতিটা ম্যাচে গড়ে ৭১৬.৯টা পাস দেওয়া হতো, সেই সংখ্যাটা গত মৌসুমে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪১-এ। ২০০৩-০৪ মৌসুমের ৬৯.৮ শতাংশ পাসিং অ্যাকুরেসি বিশ বছর পর বেড়ে পরিণত হয়েছে ৮২.৯-এ। অর্থাৎ দলগুলো এখন নিজেদের মধ্যে পাসিং বাড়িয়ে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের কাছে পৌঁছাতে চায়, যেন গোল করার সম্ভাবনা বাড়ে।
Image Source: Stats Perform
বেশি বেশি দূরপাল্লার শট নেওয়ার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের আরো একটা বাধা হয়ে আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব। ২০০৬ এর সেই ডিসেম্বরের তুলনায় এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খেলোয়াড়দের বিচরণ অনেক বেশি। কোচ, সতীর্থ আর স্টেডিয়ামের দর্শকদের চাপ আগেও ছিল, এখনো আছে। এর সাথে এখন যুক্ত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চাপ।
ম্যাচের পর ফোনটা হাতে নিয়েই খেলোয়াড়রা লগ ইন করেন নিজেদের টুইটার বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। ততক্ষণে তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা হয় অজস্র ট্যাগ, কমেন্ট এবং মেসেজ। ভালো খেললে জোটে প্রশংসা, আর ভালো খেলতে না পারলে বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। তরুণ খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে এই প্রভাবটা অত্যন্ত ব্যাপক। তাই ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া একটা শট যদি মিস হয়ে যায়, ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় তার সমালোচনা। স্বাভাবিকভাবেই পরের ম্যাচে একই জায়গা থেকে শট নেওয়ার আগে দুইবার ভাববেন তিনি। সমালোচনা দেখতে কার-ই বা ভালো লাগে!
খেলোয়াড়দের মনস্তত্ত্বে প্রভাব রাখে আরো কিছু ব্যাপার। গত নভেম্বরে স্কাই স্পোর্টসের পরিসংখ্যান বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডাম স্মিথ একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করেন। তিনি খেয়াল করেন, খেলোয়াড়রা নিজেদের ফোনে বা ল্যাপটপে কী দেখছেন, সেটা ভূমিকা রাখে মাঠে তাঁদের আচরণে।
গত নভেম্বরে নেটফ্লিক্সে ডেভিড বেকহামের ক্যারিয়ারের ওপরে একটি সিরিজ প্রচারিত হয়। সিরিজের প্রথম পর্বেই দেখানো হয়েছিল ১৯৯৬ সালে উইম্বলডনের বিপক্ষে বেকহামের দূরপাল্লার শটে করা একটা গোল। ওই পর্ব দেখানোর পরের সপ্তাহেই প্রিমিয়ার লিগে লং রেঞ্জ গোলের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল লক্ষ্যণীয়ভাবে। আবার কয়েক সপ্তাহ পরে সেটা নেমে এসেছিল স্বাভাবিক অবস্থানে।
Image Source: Stats Perform
আরো একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয়।
দূরপাল্লার শটে গোল করার তালিকায় এগিয়ে থাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড়দের প্রায় প্রত্যেকেই নিজ নিজ দলের সময়ের সেরা খেলোয়াড়। চেলসির ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, লিভারপুলের স্টিভেন জেরার্ড, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডেভিড বেকহাম আর আর্সেনালের থিয়েরি অঁরি, তাঁদের নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটা ব্যাপারও চলে আসে। নিজ দলের সবচেয়ে বড় তারকা হওয়ার কারণে হয়তো, ২৫ গজ দূর থেকে শট নেওয়ার একটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেতেন তাঁরা।
Image Source: Stats Perform
অবশ্যই তাঁরা সবক্ষেত্রে সফল হতেন না। বলা ভালো যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হতেন, কিন্তু যে কয়টা ক্ষেত্রে গোল পেতেন, সেগুলোই হয়ে যেত ইতিহাসের অংশ।
এ ব্যাপারে ২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে প্রিমিয়ার লিগের এ যাবতকালের তথ্য ও পরিসংখ্যান রয়েছে স্ট্যাটসপারফর্মের কাছে। আর বক্সের বাইরে থেকে সফল শট নেওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন ২০১৯ থেকে ২০২১ এর মাঝে ওয়েস্ট ব্রমের ম্যাথিয়াস পেরেইরা (১১.৯%)।
Image Source: Stats Perform
মজার ব্যাপার হলো, দল হিসেবে ম্যানচেস্টার সিটি ঠিক দূরপাল্লার শটে অভ্যস্ত হওয়ার মতো ফুটবল না খেললেও এই তালিকার সেরা পাঁচে রয়েছেন সিটির তিনজন খেলোয়াড়, বার্নার্দো সিলভা (১১.৩%), ফিল ফোডেন (১১.০%) এবং সার্জিও আগুয়েরো (১০.০%)। সিটিজেনরা তাহলে সবসময়ে দূরপাল্লার শট নেন না, কিন্তু যখন নেন, গোল করার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেক!
পাশাপাশি এটাও লক্ষ্যণীয়, এই তালিকার বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই বর্তমানে খেলছেন বিভিন্ন দলে। এ থেকে সম্ভবত এই সিদ্ধান্তেও পৌঁছানো যায়, দূরপাল্লার শট নেওয়ার সফল সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন এখনকার খেলোয়াড়রাই।
Image Source: University of Adelaide
দূরপাল্লার শটের ক্ষেত্রে আরো একটা ব্যাপার প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। ফুটবল খেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণই সেটা: স্বয়ং ফুটবলটা। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে লং রেঞ্জ গোল বেড়ে যাওয়ার পেছনে অ্যাডিডাসের জাবুলানি বলকে দায়ী করেছিলেন গোলরক্ষকরা। হাওয়ায় ভাসার পরে জাবুলানি বল কেমন আচরণ করবে, সেটা নাকি আগে থেকে ধারণা করা যেত না। গোলরক্ষকদের মতো খেলোয়াড়রাও তাই বেশ বিভ্রান্ত হতেন।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক লং রেঞ্জ গোল হয়েছিল ২০০৬-০৭ এবং ২০০৭-০৮ মৌসুমে। এই দুই মৌসুমেই খেলা হয়েছিল নাইকির “টোটাল নাইন্টি আরো টু” বল দিয়ে। অনেক বেশি লং রেঞ্জ গোল হওয়ার পেছনে ওই বলের দায়ও দেখেন অনেকে। আর সাথে খেলোয়াড়দের ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা তো আছেই, আর আছে দর্শনীয় গোল করার ‘লোভ’।
৩. ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা এবং দর্শনীয় গোলের আকাঙ্ক্ষা
“খেলার ধরন আর আগের মতো নেই, কথাটা ভালো-মন্দ যে অর্থেই বলুন না কেন,” পোর্টসমাউথের সাবেক মিডফিল্ডার ম্যাট টেইলর বলেন, “আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা এখন কম ঝুঁকি নিতে চায়। খেলাটার গতি এখন বেড়েছে সত্য, কিন্তু আমার মনে হয় ঝুঁকি কম নেওয়ার ফলে একটু হলেও জৌলুস কমে গেছে। একজন ফুটবল-দর্শক হিসেবে আমি চাই বেশি বেশি লং রেঞ্জ গোল দেখতে।”
আসলেই, দূরপাল্লার শটে দুর্দান্ত গোল না দেখলে কি মন ভরে ফুটবল-দর্শকদের!
তবে সত্যি কথা যেটা, এখনকার ফুটবল সম্ভবত আগের চেয়ে অনেক বেশি পেশাদার। তাই খেলোয়াড়দের ওপর চাপ যেমন বেড়েছে, তেমনি খেলোয়াড়রাও এখন হিসাব-নিকাশ করেই খেলতে নামেন। দর্শনীয় গোল করার লোভের চেয়ে গোলের সম্ভাবনা বাড়ানোর দিকে তাঁদের নজর থাকে। আর এটাও সত্য, একটা দূরপাল্লার দুর্দান্ত গোলের চেষ্টা করতে গিয়ে অনেকগুলো সুযোগও নষ্ট হয়, অনেকগুলো শট জালের বদলে আছড়ে পড়ে গ্যালারিতে। অনেক ক্ষেত্রেই এগুলোর দাম চুকাতে গিয়ে ম্যাচটাই হেরে বসতে হয় দলগুলোকে।
Image Source: Getty Images
আবার পরিসংখ্যান থেকে এটাও সত্য, দূরপাল্লার ‘স্ক্রিমার’ কমে গেলেও প্রিমিয়ার লিগে গোলের সংখ্যা বেড়েছে আগের চেয়ে। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল এসেছে ২০২৩-২৪ মৌসুমে। সর্বোচ্চ ছিল যে মৌসুমে, সেই ১৯৯২-৯৩-এ আবার মোট ২২টা দল খেলতো, তাই মোট ম্যাচের সংখ্যাও ছিল বেশি।
কিন্তু তবুও, সব তথ্য-উপাত্ত, পরিসংখ্যান, জয়-পরাজয়কে এক পাশে রেখে, ফুটবল খেলাটা তো দর্শকদের জন্য মূলত আসে নির্ভেজাল বিনোদনের উৎস হয়ে। আর দূরপাল্লার গোলগুলো সেই আনন্দকে বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণে। দর্শকদের এই আনন্দের সুযোগ কমে যাওয়াকে ফুটবলীয় বিবর্তনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে উল্লেখ করলে সম্ভবত খুব বেশি আপত্তির জায়গা থাকবে না।