• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ, ২০২৪
  • " />

     

    উইকেটের উৎসবে প্রথম দিনে এগিয়ে প্রোটিয়ারা

    উইকেটের উৎসবে প্রথম দিনে এগিয়ে প্রোটিয়ারা    

    ১ম টেস্ট, মিরপুর (টস - বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
    বাংলাদেশ - ১০৬, ১ম ইনিংস (জয় ৩০, মিরাজ ১৩, মুশফিক ১১, মাল্ডার ৩/২২, রাবাদা ৩/২৬, মহারাজ ৩/৩৪)
    দক্ষিণ আফ্রিকা - ১৪০/৬, ১ম ইনিংস (ডি জর্জি ৩০, রিকেলটন ২৭, স্টাবস ২৩, তাইজুল ৫/৪৯, হাসান ১/৩১)
    ১ম দিন, স্টাম্পস
    দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৪ রানে এগিয়ে


     

    টসের সময় একাদশ ঘোষণা করেই বাংলাদেশ বুঝিয়ে দিয়েছিল কেমন হতে যাচ্ছে মিরপুর টেস্টের যাত্রা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা যে অন্য অস্ত্রে তাদের এভাব ঘায়েল করবে তা হয়তো ঠাহর করতে পারেনি শান্ত-বাহিনী। মিরপুরে প্রথম দিনে অনুমান-মাফিক উইকেট পড়ল ঠিকই; তবে ১৬ উইকেটের মিছিলে বাংলাদেশকে কাবু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা, সাথে হাত মিলিয়েছেন মহারাজ। তাইজুলের ঘূর্ণিতে অবশ্য প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচ পুরোপুরি ছিনিয়ে নিতে দেয়নি বাংলাদেশ।

    অথচ উইকেটের ভাবগতি কেমন হবে জেনেশুনেই ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশের এই চিন্তায় মশগুল হওয়ার কথা ছিল না। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই মাল্ডারের বাইরের বল তাড়া করে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাদমান যেন তাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশাটাও বুঝিয়ে দিলেন। নিজের প্রথম তিন ওভারেই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিলেন মাল্ডার একাই। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে মুমিনুল ফেরার পর শান্তও বেরিয়ে যাওয়া বল তাড়া করতে যেয়ে ফিরলেন।

    মাল্ডারের ঝড় থামতে না থামতেই রাবাদাও শুরু করে দিলেন তাণ্ডব। মুশফিকের স্টাম্প উপড়ে টেস্ট ইতিহাসের দ্রুততম বোলার হিসেবে (বলের হিসেবে) ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁলেন। কিছুক্ষণ পরেই ফেরালেন লিটনকেও; সেটার জন্য অবশ্য গালিতে ঝাঁপিয়ে পড়া অসাধারণ ক্যাচের জন্য স্টাবসকে ধন্যবাদ দেবেন তিনি। এক প্রান্ত আগলে রাখা জয়ের সাথে জুটি গড়ে মিরাজ এরপর ঝড় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও ১৩ রানে নিজে মহারাজের পাতা এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দিয়ে ফেরেন। পিয়েটের আর্ম বল পড়তে না পেরে ৩০ রানে জয় স্টাম্প খুইয়ে ফিরলে শতরানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ডুবে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ১৬ রানের ইনিংস খেলে মুখ বাঁচিয়েছেন তাইজুল।

    সেই তাইজুল দিনশেষেও বাংলাদেশকে ম্যাচে আশা দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন ফাইফার দিয়ে। মাত্র দ্বিতীয় ও দ্রুততম বাংলাদেশি হিসেবে ছুঁয়েছেন ২০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক। শুধু তাই নয়, টেস্ট ইতিহাসেই তার চেয়ে কম ম্যাচে (৪৮) এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন কেবল রবীন্দ্র জাদেজা (৪৪) ও রঙ্গনা হেরাথ (৪৭)। তাইজুলের আগে প্রথম ব্রেকথ্রুটা এনে দিয়েছেন হাসান। তবে সেই ধাক্কার পর স্টাবসকে নিয়ে ডি জর্জি ভালভাবেই এগুচ্ছিলেন। ৮ রানে সুযোগ পাওয়া স্টাবসের কাছে অবশ্য তাইজুলের ঘূর্ণির কোনো জবাব ছিল না। ২৩ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে এই তরুণ ব্যাটার ফিরলে প্রায় একই কায়দায় লিটনের তালুবন্দি করিয়ে বেডিংহামকে ফেরান তাইজুল।

    লড়তে থাকা ডি জর্জিও তাইজুলের ঘূর্ণি ও অতিরিক্ত বাউন্সে খাবি খেয়ে ৩০ রানে ফিরলে ওই ওভারেই ফেরেন ব্রিটজকি। তবে এরপর দলকে লিড এনে দেয় রিকেলটন। লিটনের দারুণ ক্যাচে ২৭ রানে রিকেলটনকে থামিয়ে তাইজুল ফাইফার পূর্ণ করলে মাল্ডার-ভেরেইনা জুটি বাকি পথ বিপদ ছাড়াই পাড়ি দিয়েছেন।