ভেরেইনার সেঞ্চুরির দিন জয়-মুশফিকে লড়াই বাংলাদেশের
২য় দিন শেষে
বাংলাদেশ ১০৬ ও ১০১/৩ (জয় ৩৮*, মুশফিক ৩১*)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০৮
বাংলাদেশ ১০১ রানে পিছিয়ে
১৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাইজুলদের হতাশ করে এরপর সেই রান ৩০০ পার করে নিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, তাতে বড় অবদান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করা কাইল ভেরেইনার। ইনিংস পরাজয়ের চোখ রাঙানি নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দিন শেষে ১০১ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিম। তবে ইনিংস পরাজয় এড়াতেই এখনো ১০১ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
সকালে ওয়েইন মুল্ডার ও ভেরেইনার পাল্টা আক্রমণ বাংলাদেশের বোলারদের কোণঠাসা করে ফেলে। আগের দিন ৫ উইকেট নেওয়া তাইজুল এদিন টানা এক প্রান্ত থেকে বল করে গেছেন, কিন্তু সাফল্য পাচ্ছিলেন না। ওদিকে মুল্ডার ও ভেরেইনা দুজনের জুটি ছাড়িয়ে যায় শতরান। শেষ পর্যন্ত হাসান মাহমুদ এসে জুটি ভাঙেন দুজনের, যদিও ততক্ষণে ফিফটি হয়ে গেছেন মুল্ডারের, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম। পরের বলেই কেশভ মহারাজের স্টাম্প উপড়ে ফেলে নিজের তৃতীয় উইকেট পান হাসান।
কিন্তু বাংলাদেশের দুর্ভোগ শেষ হয়নি তখনও। ড্যান পিয়েডকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন ভেরেইনা, করে গেছেন পাল্টা আক্রমণ। পেয়ে গেছেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রোটিয়া কিপারদের মধ্যে ভেরেইনা ছাড়া এশিয়ায় সেঞ্চুরি করার কীর্তি আছে শুধু এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কুইন্টন ডি ককের। শেষ পর্যন্ত পিয়েডকে আউট করে জুটি ভেঙেছেন মিরাজ, আর সেঞ্চুরির পর মিরাজের বলে স্টাম্পড হয়েছেন ভেরেইনা। এর মধ্যে অবশ্য ২০০ রানের লিড হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
ইনিংস পরাজয়ের চোখ রাঙানি নিয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট। সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হককে দারুণ দুই বলে ফিরিয়ে দেন কাগিসো রাবাদা। এরপর পাল্টা আক্রমণ করে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জয়। কিন্তু ২০ পার করার পর মহারাজের বলে এলবিডব্লু হয়ে যান শান্ত। মুশফিকুর রহিমও বেশ আগ্রাসী খেলতে থাকেন। টেস্ট ক্রিকেটে ছয় হাজার রানও হয়ে যায় তার। তবে শেষ দিকে দুবার আউট হতে হতেও বেঁচেছেন জয়, দুজন তাই অবিচ্ছিন্ন থেকে মাঠ ছাড়তে পেরেছেন। যদিও ইনিংস পরাজয় এড়াতেই আরও ১০১ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।