পড়ন্ত বিকেলে লুই, অ্যাথানেজের সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ
১ম টেস্ট, অ্যান্টিগা (টস - বাংলাদেশ/বোলিং)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ - ২৫০/৫, ১ম ইনিংস (লুই ৯৭, অ্যাথানেজ ৯০, হজ ২৫, তাসকিন ২/৪৬, মিরাজ ১/৪৭, তাইজুল ১/৬৭)
১ম দিন, স্টাম্পস
অ্যান্টিগায় অলস এক দিনে শেষ বিকেলেই মিলল যা একটু ক্রিকেটীয় উত্তাপের ছোঁয়া। ভালো শুরু করেও বাংলাদেশকে দিনের বেশিরভাগ সময়ই ব্যাটারদের ভিত নাড়াতেই কেটে গিয়েছে। তবে দিন শেষের আগে মিকাইল লুই ও অ্যালিক অ্যাথানেজ - দুজনকেই সেঞ্চুরি বঞ্চিত করে স্বস্তিতে ইতি টানতে পেরেছে তারা।
অথচ বোলিং নিয়ে প্রথম সেশনে সাঁড়াশি আক্রমণের ওপরেই উইন্ডিজ ব্যাটারদের রেখেছিল বাংলাদেশ পেসাররা। আঁটসাঁট লাইনে বল করে রান তোলার সুযোগ দেয়নি তাদের। সকালের সেশনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলতে পেরেছিল মোটে ৫০ রান। এর মধ্যেই জোড়া আঘাত হেনে বসেন তাসকিন আহমেদ। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট অপ্রস্তুত ছিলেন প্রায় পুরোটা সময়েই। ৩৮ বলে ৪ রান করে শেষমেশ তাসকিনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। উইকেটে এসে রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন কিয়েসি কার্টি।
পরের সেশনে ম্যাচে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপনের চেষ্টা করে উইন্ডিজ। লুই ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে থাকলে কাভেম হজও একই পথে হাঁটেন। তবে দ্রুত প্রান্ত বদল করতে গিয়ে তাইজুলের থ্রোতে রান আউটের শিকার হয়ে ২৫ রানে ফেরেন হজ। এরপরের পুরো গল্পটা অ্যাথানেজ ও লুইর।
লুই যেমন ছিলেন শান্ত, বোলারদের যোগ্য সম্মান দিয়ে, বোলারদের খাটিয়ে মারার দিকে; অ্যাথানেজ ছিলেন তার বিপরীত - দ্রুত, সাবলীল ভঙ্গিমায় রান তুলে নিয়েছেন এই বাঁহাতি। ম্যাড়ম্যাড়ে দুই সেশনের পর উইকেট পড়ে ফেলায় শেষ সেশনে দুজনেই দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন। দুজনেই সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গেলে দুজনেই সুযোগটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আসেন। সেঞ্চুরির আশেপাশে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরঘুর করতে থাকার পর বাউন্ডারি দিয়ে মাইলফলক ছুঁতে চেয়েছিলেন লুই। তবে মিরাজের বলটা আড়াআড়ি ব্যাটে তুলে মারতে গিয়ে আকাশে ভাসিয়ে লুই থামেন ২১৮ বলে ৯৭ রানের ম্যারাথন ইনিংস শেষে।
লুই ফেরার কিছুক্ষণ পরেই একই ফাঁদে পা দেন অ্যাথানেজ। তাইজুলের ভাসানো বলে প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে সেঞ্চুরি মিস হয় অ্যাথানেজের। এই প্যাডেল সুইপেই এদিন বহু রান পেলেও মাইলফলকের কাছে এসে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে অ্যাথানেজ থামেন ১৩০ বলে ৯০ রানে। বাকি পথটুকু এরপর কোনও বিপদ ছাড়াই পার করে দিয়েছেন জাস্টিন গ্রিভস ও জশুয়া ডা সিলভা।