• ইউরো
  • " />

     

    তারপরও ডি গিয়াতেই ভরসা দেল বস্কের

    তারপরও ডি গিয়াতেই ভরসা দেল বস্কের    

    ব্যাপারটা আলোচনায় আসার জন্য এরচেয়ে বাজে সময় আর হতে পারতো না। ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার লড়াইয়ে যখন মাঠে নামতে যাচ্ছে তাঁর দল, স্পেনের গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া তখন খবরের শিরোনাম ‘যৌন হয়রানিতে মদদদাতা’ হিসেবে। আদৌ খেলতে পারবেন কিনা ইউরো- এমন শংকা যখন তৈরি হতে শুরু করেছে তখন এই তরুণ ফুটবলার পাশে পাচ্ছেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ককে। স্পেনের ম্যানেজার জানাচ্ছেন, সোমবার তাঁদের প্রথম ম্যাচে ডি গিয়াই সামলাবেন গোলপোস্ট।

     

     

    খবরে প্রকাশ, স্পেনের একটি আদালতে একজন নীল ছবি নির্মাতার বিরুদ্ধে চলমান এক মামলার অংশ হিসেবে উঠে আসে ডি গিয়ার নাম। জনৈক তরুণী ২০১২ সালে তাঁকেসহ আরও এক তরুণীকে জোরপূর্বক দু’জন ফুটবলারের সাথে যৌনতায় অংশ নিতে বাধ্য করার অভিযোগ আনেন ওই নীল ছবি নির্মাতার বিরুদ্ধে। আর তরুণীর দাবী, পুরো ব্যাপারটির মূল হোতা ছিলেন ডি গিয়া।

     

    তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষক বলছেন, এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সত্য-মিথ্যার বিষয়টা হয়তো তদন্তেই বেরিয়ে আসবে। তবে আপাতত ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার তাঁর কোচকে পাশে পাচ্ছেন, “তাঁর জন্য আমাদের সমর্থন ও ভালোবাসা অব্যাহত থাকবে। সে আমাদের বলেছে যে এসব ব্যাপারে সে কিছুই জানে না।”

     

    বড় টুর্নামেন্টগুলোতে স্পেনের গোলপোস্টে দীর্ঘদিনের আস্থা ইকার ক্যাসিয়াস আছেন এবারের স্কোয়াডেও। তবে ডি গিয়ার কাছে যে একটু একটু করে অধিকারটুকু হারাচ্ছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এবারের ইউরোই হয়তো হবে পালাবদলের আনুষ্ঠানিক উপলক্ষ। তবে ডি গিয়া সত্যি সত্যিই আলোচ্য মামলায় ফেঁসে গেলে বদলে যেতে পারে অনেক হিসেব-নিকেশই।