এখন ক্রিকেটই ধ্যানজ্ঞান রুবেলের
গত কিছুদিনে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র কে ? রুবেল হোসেনের নামটা জিভের গোড়াতেই চলে আসবে। মাঠের বাইরে ভুল খবরের কারণে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন, এমনকি কারাগারে পর্যন্ত থাকতে হয়েছে। রুবেলের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনাই পড়ে গিয়েছিল হুমকির মুখে। সবকিছু পেছনে ফেলে বাংলাদেশের এই পেস বোলার আবার ফিরেছেন অনুশীলনে, এখন প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়ার বিমানে ওঠার জন্য।
বিশ্বকাপের আগে কাল ছিল বাংলাদেশ দলের শেষ অনুশীলন। শেষ দিনে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে এসেছিলেন রুবেল। মাঠের বাইরের প্রসঙ্গ নয়, কথা বললেন মাঠের বিষয় নিয়েই। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন থেকে কতটা ফায়দা ওঠাতে পারবেন? রুবেল আত্মবিশ্বাসী, “আমরা এখানে কখনও বাউন্সি পিচ পাই না, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে সেরকম পিচে বল করাটা তো দারুণ হবে। তবে সেটা যাতে মাথা খাটিয়ে করতে পারি সেটাই আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। ” কোনো কি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে ? রুবেল সেরকম কিছু বললেন না, “আমি কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করছি না। আমি জানি, আমাকে বিশ্বকাপে বিশেষ কিছু করতে হবে। আমি কোনো বাড়তি চাপ নিচ্ছি না। নিয়মিত অনুশীলন করছি, প্রিমিয়ার লিগেও বল করেছি। আমি খেলার জন্য তৈরি, বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েও আমি রোমাঞ্চিত। ”
কিন্তু মাঠের বাইরের সব অঘটনের স্মৃতি কি মন থেকে পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে পেরেছেন ? রুবেলের দাবি সেরকমই, “আমি গত বেশ কিছুদিন ধরেই একটা মানসিক ধাক্কার মধ্যে ছিলাম। তবে এসব এখন পেছনে ফেলে এসেছি, এখন আমার ভাবনায় শুধুই ক্রিকেট। আমি আরও অনেক বছর খেলতে চাই। এই কঠিন সময়ে যারা আমার পাশে ছিলেন তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। আশা করি শুভাকাঙ্খীদের দোয়ায় আমি ভালো করতে পারব।”
পুরনো বলে বেশ কার্যকর হলেও নতুন বলে অনেক দিন থেকেই খানিকটা দুর্বল। সেই সঙ্গে ইয়র্কারেও ঠিক স্বচ্ছন্দ নন। বিশ্বকাপে এসব দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে চান, “আমি বাউন্সার ও ইয়র্কার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কাজ করছি। ঠিকঠাক ইয়র্কার করার জন্য আপনার দরকার আত্মবিশ্বাস। আমি চেষ্টা করি ধারাবাহিকভাবে সেগুলো ঠিক জায়গায় ফেলার। আশা করি আমার এই খাটনি বৃথা আবে না।"
দেশের মাটিতে সবসময় উইকেট থেকে সাহায্য পান না। কিন্তু বিশ্বকাপের কন্ডিশনে সেটা একটু হলেও বেশি পাবেন। রুবেল জানেন, তাঁর ওপর প্রত্যাশার চাপ এখন অনেক বেশি, “আমি জানি অনুকূল কন্ডিশনে আমাদের মতো পেস বোলারদের অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। এটা খুবই স্বাভাবিক, অতি উত্তেজনার বশে অনেকেই খেই হারিয়ে ফেলতে পারে। নতুন ও পুরনো বল ভালোভাবে কাজে লাগাতে হলে আমাদের নিজেদের লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখতে হবে। ”