গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় জয় পেল সুইজারল্যান্ড
আলবেনিয়া আর সুইজারল্যান্ড দলের ১৫ জন খেলোয়াড়ই খেলতে পারতেন যে কোন এক দেশের হয়ে। ৯ জন কসোভো আলবেনিয়ান নিয়ে গড়া সুইজারল্যান্ড দল। আর আলবেনিয়া দলের ৬ জন খেলতে পারতেন সুইজারল্যান্ডের হয়েও। আন্তর্জাতিক ম্যাচ হওয়া সত্ত্বেও তাই পুরো ৯০ মিনিট জুড়েই অনেকটা ‘ডার্বির’ স্বাদ পাওয়া গেল!
আর সেই ডার্বিতে আলবেনিয়াকে ১-০ গোলে হারাল সুইজারল্যান্ড। ম্যাচের ৫ মিনিটে কর্নার থেকে সুইস ডিফেন্ডার ফাবিয়ান শার হেডে করা গোলেই নির্ধারিত হয়েছে ম্যাচের ফল। তবে বাকী সময় জুড়ে নানান ঘটনায় বেশ উপভোগ্যই ছিল গ্রুপ ‘এ’ এর দ্বিতীয় ম্যাচটি।
আলবেনিয়ার স্ট্রাইকার গাশির কিক ঠেকিয়ে দেবার পর সমারের উল্লাস!
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচটিই ছিল আলবেনিয়ার ইউরোর ইতিহাসে প্রথম ম্যাচ। আক্রমণে তেমন ভালো না হলেও রক্ষণ সামলানোর ক্ষেত্রে ভালোই সুনাম আছে ডি বিয়াসির আলবেনিয়ার। কিন্তু শুরুতেই গোল হজম করে খেই হারিয়ে ফেলে আলবেনিয়া। মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আলবেনিয়ার অধিনায়ক লরিক সানা।
ম্যাচের আকর্ষণ ছিল দুই শাকা ভাইয়ের লড়াইও!
এর মাঝে অবশ্য ম্যাচে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ নষ্ট করে আলবেনিয়া। স্ট্রাইকার সাদিকু সুইস গোলরক্ষক সমারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। অবশ্য এতে সমারের অবদানই বেশি ছিল!
পুরো ম্যাচ জুড়ে আসলে আধিপত্য ছিল দুই গোলরক্ষকের। শার হেডে করা গোলটিতেও দায় আছে আলবেনিয়ান গোলরক্ষক বেরিশার। তার ভুলেই আসলে গোলটা হজম করতে হয়েছে আলবেনিয়াকে। শাকিরির নেয়া কর্নার কিকটি এগিয়ে এসে ধরতে না গেলে হয়ত বলটা আলবেনিয়ার জালেই জড়াত না!
তবে এরপর বাকী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ান বেরিশা। লাতসিও গোলরক্ষকের বেশ কয়েকটি দারুণ সেভ গোল বিমুখ করেছে শাকিরি, বেহরামি, সাফেরোভিচদের। নইলে আরও বড় ব্যবধানেই হারতে পারত আলবেনিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য বেশ গুছিয়ে খেলা শুরু করে আলবেনিয়া। গোলমুখে বেশ কিছু আক্রমণ শানিয়ে ম্যাচে সমতা আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও অবশ্য লাভ হয়নি। আর দশ জনের দলের বিপক্ষে সুইসদের আর গোল করতে না পারার কারনও আলবেনিয়ার গোলরক্ষক বেরিশা।
সুইজ্যারল্যান্ডের জয়ের নায়ক অবশ্য তাদের গোলরক্ষকই। প্রথমার্ধের দারুন ওই সেভের পর ৮৬ মিনিটে বদলী খেলোয়াড় গাশির অবিশ্বাস্য এক শট ঠেকিয়ে সুইজারল্যান্ডের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন সমার।