মাশরাফি বললেন, সব সম্ভব!
এটা হতে পারতো প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর চতুর্থ বিশ্বকাপ। ইনজুরি নামের হতচ্ছাড়া ঘাতক সেটা হতে দেয় নি। ঘরের মাঠের আসর থেকে ছিটকে পড়েছিলেন শেষ মুহূর্তে। হাঁটুতে বারবার শল্য চিকিৎসকের ছুরিকাঁচি চলেছে। আটটি বড় ‘সার্জারি’র পর দাঁড়িয়ে থাকাই যেখানে দায়, সেখানে তিনি দিব্যি বল হাতে ছুটছেন ক্ষিপ্র গতিতে। দেশের জন্য প্রয়োজনে পঙ্গু হতেও প্রস্তুত মানুষটার নাম মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ, নিবেদিত প্রাণ ক্রিকেটারটিই এবারের বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন টিম বাংলাদেশের। দেশ ছাড়ার আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাস্তবতার নিরিখে শুনিয়ে গেলেন আশার বাণী।
স্রেফ ভালো খেলার লক্ষ্য নিয়ে এখন আর বাংলাদেশ ক্রিকেট মাঠে নামে না। নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপে আনুষ্ঠানিক লক্ষ্যটা তবে কেমন টাইগারদের? কোচের সাথেই কণ্ঠ মেলালেন অধিনায়ক, “দ্বিতীয় রাউন্ড। সেটাও কঠিন কাজ হবে। তবে আমরা চেষ্টা করবো।...অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে খেলবো বলে কিছু অসম্ভব মনে হবার কোন কারণ নেই। আসলে সবই সম্ভব। ইনশাল্লাহ আমরা ভালো করবো।”
বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন এগোতে চান ধাপে ধাপে, “প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আপাতত মনোযোগটা প্রথম ম্যাচেই রাখতে চাই। শুরুটা ভালো হলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।”
স্কোয়াডের নয়জনেরই প্রথম বিশ্বকাপ। অভিজ্ঞতার ঘাটতি কি বিপদের কারণ হতে পারে? মাশরাফি অবশ্য তরুণদের আধিক্যটা ইতিবাচকভাবেই নিতে চাইলেন, “দলকে এগিয়ে নিতে গুরুত্ব ভূমিকাটা তরুণরাই রাখে। হয়তো অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে তাঁরা খুব বেশী খেলে নি, কিন্তু প্রত্যেকে ভালো খেলেই দলে সুযোগ পেয়েছে। বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারে সবাই আত্মবিশ্বাসী। আমিও আশাবাদী ওরা ভালো করবে।”
গত বিশ্বকাপে খেলতে না পারার হতাশা কি পোড়ায় মাশরাফিকে? বেশ দৃঢ় কণ্ঠেই জবাব এলো, “আগে কি হয়েছে ভাবছি না, ভাবনায় এখন শুধুই সামনের বিশ্বকাপ। চার বছর আগের কথা ভেবে লাভ নেই।”
ব্যক্তিগত কোন লক্ষ্য? “অধিনায়ক হলে ব্যক্তিগত লক্ষ্য সেভাবে থাকে না। ধারাবাহিক পারফর্ম করে যেতে চাই, প্রতিটা ম্যাচেই দলের জন্য অবদান রাখতে চাই।”
অধিনায়ক বলেই মাশরাফি এ-ও বোঝেন প্রত্যাশার চাপটা ঠিক কেমন। সবাই খুশী হয় এমন প্রাপ্তি নিয়েই তাই দেশে ফিরতে চান।