জার্মানির জয়েও অনেক প্রশ্ন
ইউরোতে প্রথম ম্যাচটা জার্মানির জন্য সবসময়ই পয়া। ১১টি ম্যাচ খেলে এর আগে একটিতেও হারেনি। আজও ইউক্রেনের সঙ্গে ২-০ গোলের জয় দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করল জার্মানি। কিন্তু আনন্দের চেয়ে জয়টা জার্মান কোচ জোয়াখিম লোর কাছে স্বস্তি হয়েই বেশি এসেছে। প্রথম ম্যাচের পর যে অনেক প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে জার্মানিকে নিয়ে!
প্রথমার্ধে জার্মানি যেমন খেলেছে, তাতে আরও বেশি করে সেই প্রশ্ন উঠে গেছে। টনি ক্রুস ছাড়া জার্মানির মধ্যমাঠে বাকি সবাই নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছেন। দুই সেন্টারব্যাক মুস্তাফি ও বোয়েটাংয়ের মধ্যেও কিছুটা সমন্বয়হীনতা ছিল। তবে জার্মানির জয়ের জন্য এই দুজনেরই আবার আলাদা করে ধন্যবাদ পাওনা। ক্রুসের সেট পিস থেকে দুর্দান্ত এক হেডে জার্মানিকে এগিয়ে দিয়েছেন মুস্তফি, পরে বোয়েটাং প্রায় গোল হয়ে যেতে যেতেও লাইন থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ম্যানুয়েল নয়্যারের কথাও আলাদা করে বলতে হবে। ইউক্রেনের কোনোপ্লিয়াঙ্কার দুর্দান্ত একটা শট ফিরিয়ে দিয়েছেন, পরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে একটা হেড ঠেকিয়ে দিয়েছেন। প্রথমার্ধে জার্মানির ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ফলটা অনায়াসেই ১-২ বা ১-৩ হতে পারত।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য জার্মানি নিজেদের অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছে। প্রথমার্ধে প্রায় অদৃশ্য মেসুত ওজিল নিজেকে একটু হলেও ফিরে পেয়েছেন। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে তাঁর ক্রস থেকেই বদলি হিসেবে নেমে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়েছেন বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার। জুলিয়ান ড্রাক্সলারও চেষ্টা করেছিলেন, সুযোগ পেয়েছিলেন ওজিলও। তবে ইউক্রেন গোলরক্ষক পিয়াতভ অন্তত দুইবার নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত এবারের ইউরোর প্রথম এক গোলের বেশি ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে জার্মানি। কিন্তু তারপরও এখনো কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে লো-কে। স্বীকৃত স্ট্রাইকার না খেলিয়ে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা মারিও গোটশেকে কি আরেকটা সুযোগ দেবেন? দুই উইংব্যাক হাওয়েডেস ও হেক্টরকে প্রায়ই ভুগিয়েছেন ইউক্রেনের উইঙ্গাররা, তাদের কি খেলাবেন? পরের ম্যাচে কি ম্যাট হামেলস প্রথম একাদশে ফিরবেন ?
পরের ম্যাচেই সেসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।