ইংল্যান্ড-রাশিয়াকে বহিষ্কারের হুমকি
শেষ মিনিটের খেলা চলছে। রুশ অধিনায়ক ভাসিলি বেরেজুতস্কির দারুণ এক হেড জড়িয়ে গেলো ইংল্যান্ডের জালে। জিততে চলা ম্যাচটা ড্র করে মাঠ ছাড়লো ইংল্যান্ড। তবে ব্যাপারটা নিয়ে আক্ষেপ বা হাহাকারের সুযোগটুকুও পান নি গ্যালারিতে উপস্থিত ইংলিশ সমর্থকরা। শেষ মুহূর্তের গোলে সমতায় ফেরার সাথে সাথেই রুশ সমর্থকরা যে সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ইংলিশদের উপর…
চলতি ইউরোর গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ড-রাশিয়া দ্বৈরথ নিয়ে গত ক’দিন ধরেই অস্থির ফ্রান্সের মার্শেই। জায়গায় জায়গায় দু’ দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল ম্যাচের দুয়েকদিন আগে থেকেই। আর ম্যাচ চলাকালে স্টেডিয়ামের বাইরে থেমে থেমে চলা সংঘাত ম্যাচ শেষ না হতেই ছড়িয়ে পড়ে ভিতরেও।
এমন প্রেক্ষিতে দু’ দেশের ফুটবল কর্তাদেরকেই সতর্ক করে দিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে উভয় দলকেই টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
এক বিবৃতিতে এ সতর্কবার্তার কথা জানায় সংস্থাটি, “উয়েফা নির্বাহী কমিটি এই মর্মে দু’ দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে সতর্ক করছে যে, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি যে সিদ্ধানই দিক, স্টেডিয়ামের ভিতরকার ঘটনাবলী আমলে নিয়ে দু’ দেশের ফেডারেশনের উপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞা আরোপে কোনো সংকোচ করা হবে না। এমন ঘটনা আবার ঘটলে উভয় দলকেই টুর্নামেন্টের জন্য অযোগ্যও ঘোষণা করা হতে পারে।”
উয়েফার তরফে উভয় দেশের ফেডারেশনকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তাঁরা স্ব স্ব দলের সমর্থকদেরকে যথাযথ আচরণের আহ্বান জানায়।
উয়েফার সতর্কবার্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথেই নিয়েছেন জানিয়ে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী মার্টিন গ্লেন বলছেন তাঁরা এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন, “আমরা বুঝতে পারছি আমাদের সমর্থকদের এহেন আচরণের পরিণতি কী হতে পারে। সমর্থকরা যেন দায়িত্বশীল ও সম্মানজনক আচরণ করে- সেটা নিশ্চিত করতে সম্ভব সব পদক্ষেপই এফএ’র তরফে নেয়া হবে।”
অবশ্য রাশিয়ান ফুটবল ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয় নি।