পিকের গোলে স্পেনের স্বস্তির জয়
একটা সময় মনে হচ্ছিল ড্র নিয়েই ফিরতে হবে স্পেনকে। চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রন করেও পিটার চেকের জালে কিছুতেই বল জড়াতে পারছিল না আগের দু'বারের চ্যাম্পিয়নরা। স্পেনের একের পর এক আক্রমণ খেই হারিয়ে ফেলছিল চেক প্রজাতন্ত্রের ডি-বক্সের মাঝে।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে জেরার্ড পিকের গোলে শুধু চেক প্রজাতন্ত্রকেই হারান যায়নি, সব শঙ্কার হাত থেকেও রেহাই দিয়েছে স্পেন দলকে। চেক প্রজাতন্ত্রের গোলমুখে স্পেনের আক্রমণগুলো যখন ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসছিল ঠিক তখনই আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বাঁকানো এক ক্রসে হেড করে স্পেনকে ম্যাচে এগিয়ে দেন পিকে। দুই বার্সা সতীর্থের কাঁধে ভর করেই আসলে ম্যাচটা জিতে নিল স্পেন!
এদিন স্পেনের গোলবারের নিচে ইকার ক্যাসিয়াসের বদলে দেল বস্কে নামান কয়েক মৌসুম ধরেই দারুণ ফর্মে থাকা ডেভিড ডি গিয়াকে। স্পেনের জয়ে অবদান আছে তারও। ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে চেক প্রজাতন্ত্রের মিডফিল্ডার দারিদার জোরালো শট ঠেকিয়ে ম্যাচে স্পেনের লিড ধরে রাখেন ডি গিয়া। এছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয়ার্ধে আরও কয়েকবার চেকদের ঠেকিয়ে দেন এই গোলকিপার।
পুরো ম্যাচ জুড়েই অবশ্য ছিল স্প্যানিশ আধিপত্য। প্রথমার্ধ শেষে ৭৪ শতাংশ বল পজেশন আর গোলমুখে ৯ টি শট করেও কোনো গোলের দেখা না পাওয়াটা ছিল হতাশার। মাঝমাঠে সিলভা, ফাব্রিগাসরা বার বার চেষ্টা করেও তেমন কিছুই করতে পারছিলেন না। আক্রমণভাগে মোরাটাও ছিলেন তাই নিষ্প্রভ। এর কারন অবশ্য পিটার চেকের দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো। মোরাটা আর গোলের মাঝে ব্যবধান ছিলেন ওই চেকই!
দ্বিতীয়ার্ধে আদরুইজ, থিয়াগো ও পেদ্রোকে নামিয়ে আক্রমণে ধার বাড়ানোর চেষ্টা করেন দেল বস্কে। আলবা, ইসিনিয়েস্তারা বারবারই চেকদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন। কিন্তু গোলমুখে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন পিটার চেক।
স্পেনের আক্রমণ চলেছে পুরো ম্যাচ জুড়েই, এর ফাঁকে অবশ্য বেশ ক'বার স্পেনের ডিফেন্স নাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেছিল চেকরা। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে সেলাসির একটি শট গোললাইন থেকে ফাব্রিগাস ক্লিয়ার না করলে কপাল পুড়তে পারত স্পেনের।