দারুণ জয়ে শুরু "বুড়ো" ইতালির
৩১ বছর, ১৬৯ দিন। ইউরোর ইতিহাসেই সবচেয়ে বেশি বয়সী দল নিয়ে নেমেছিল ইতালি। চোটের জন্য খর্বশক্তির দল, বিশ্বমানের কোনো স্ট্রাইকার নেই। মধ্যমাঠেও নেই সৃজনশীল কেউ। অথচ সেই ইতালিই গতি দিয়ে ব্যতিব্যস্ত করে রাখল বেলজিয়ামের রক্ষণকে। ২-০ গোলের দুর্দান্ত এক জয়ে বেলজিয়ামকে হারিয়ে শুরু করেছে এবারের ইউরো। ২০০০ সালের পর ইউরোতে এবারই প্রথম নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেল ইতালি।
দলকে ৩-৫-২ ফর্মেশনে সাজিয়েছিলেন আন্তোনিও কন্তে। শুরু থেকেই দুই উইংব্যাক জেরবার করে রাখল বেলজিয়াম ফুলব্যাকদের। ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য এগিয়ে যেতে পারত বেলজিয়াম, রাজা নাইঙ্গোলানের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন জিয়ানলুইজি বুফন। তবে ইতালির উদযাপনের মুহুর্ত এসে যায় ৩২ মিনিটে। পুরো ম্যাচে অসাধারণ খেলা লিওনার্দো বনুচ্চির একটা দুর্দান্ত পাস থেকে বল পেয়ে যান এমানুয়েল জাকেরেনি। গোল করতে ভুল করেননি জাকেরিনি, ২০১৩ সালের পর আবার ইতালির হয়ে গোল পেলেন বোলোনিয়ার হয়ে ধারে খেলা এই উইঙ্গার। কিছুক্ষণ পরে গ্রাজিয়ানো পেল্লা ফাঁকা পোস্ট পেয়েও হেডে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। প্রথমার্ধ শেষ হয় হয় তাই ১-০ ব্যবধানেই।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। স্কোরলাইন বড় না হওয়ার জন্য বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন। প্রথমার্ধে কানদ্রেভার পরে ইমমোবিলের দুর্দান্ত একটা শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন। গোল না করার জন্য দায় নিজেদের কাঁধে নিতে পারেন রোমেলু লুকাকু ও ডিভক অরিগি। বুফনকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি লুকাকু, ওরিগি একটুর জন্য হেড থেকে গোল পাননি।
দারুণ উপভোগ্য ম্যাচের শেষদিকে পুরো ম্যাচ পরিশ্রম করে খেলা কানদ্রেভার পাস থেকে দারুণ এক ভলিতে ইতালির জয় নিশ্চিত করেছেন পেল্লা। বার্তা দিয়ে রেখেছেন, এই ইতালির আরও অনেকদূর যাওয়ার সামর্থ্য আছে।