কিক অফের আগেঃ রোনালদোর রেকর্ডের রাত?
আরও এক রেকর্ডের সামনে রোনালদো
আজ মাঠে নামলেই ছুঁয়ে ফেলবেন লুইস ফিগোর পর্তুগালের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড। পুরো টুর্নামেন্টে ফিগোর ওই রেকর্ড পার করে হয়ত নতুন এক মাইলফলক সৃষ্টি করবেন রোনালদো।
শুধু ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েই তো ক্ষ্যান্ত থাকেন না তিনি! গত তিন ইউরোতেই গোল আছে তাঁর। এই ইউরোতে একটি গোল পেলেই হয়ে যাবেন ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড়! টানা চার ইউরোতে গোলের রেকর্ড যে নেই আর কারও!
প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড হওয়ায় ফিগোকে ছোঁয়ার দিনটা আলাদা করেই স্মরণীয় করে রাখতে পারেন রোনালদো। এবারের ইউরোর গোল্ডেন বলের বাজিও রিয়াল মাদ্রিদের এই উইঙ্গারের পক্ষেই বেশি। ৩ লাখ ২৩ হাজার মানুষের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটির রক্ষণের কি রোনালদোকে আটকানোর সামর্থ্য আছে!
রেনেটো সানচেজ, উইলিয়াম কারভালহোদের নিয়ে বেশ শক্তিশালী দল নিয়েই এবার ইউরোতে এসেছে পর্তুগাল, আর সাথে রোনালদো তো আছেনই। এবারের ইউরোতে অনেক দূর যাবার স্বপ্নটা দেখতেই পারেন মাত্র ক’দিন আগে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন লিগ জেতান পর্তুগীজ অধিনায়ক।
পর্তুগালের তারকা খেলোয়াড় বা অতীত ইতিহাস কোনটার সাথেই তুলনা হয় না আইসল্যান্ডের। পর্তুগালের জয়টাই তাই অনুমিত। প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতে আসা দলটির অন্তত একজন ক্ষমতা রাখেন পর্তুগালের অনুমিত সহজ জয়ের পথটায় কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে! সোয়ানসি সিটির গিলফি সিগুর্ডসন। আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বড় তারকা তিনিই। বাছাইপর্বেও ৬ গোল করেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডার।
আরো পড়ুনঃ ইউরোর ব্যবচ্ছেদ- গ্রুপ 'এফ'
হাঙ্গেরির সামনে অস্ট্রিয়া
এক বছর আগেও হয়ত ভেবেছিলেন বড় কোন প্রতিযোগিতায় না খেলেই শেষ হএব ক্যারিয়ারটা। ১৯৭২ সালের পর তো বড় কোন প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগই হয়নি হাঙ্গেরির।
কিন্তু বছর খানেকের মাঝেই ঘুরে গেল কপাল। হাঙ্গেরিকে বাছাই পর্ব উতরাতে সাহায্য করে ৪০ বছর বয়সে এসে সুযোগ পেলেন ইউরোর মূল দলেও। আজ অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামলেই ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে (৪০ বছর ৭৫ দিন) খেলার রেকর্ডটা নিজের করে নেবেন এই গোলকিপার।
অন্যদিকে ২০০৮ সালের পর আবার ইউরোতে জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রিয়া। সময়ের সাথে দলটা হয়েছে আরও পরিপক্ক শক্তিশালী। এর পেছনে অবশ্য সব কৃতিত্ব কোচ মার্সেল কলারের। তবে গত ৩ দেখায় হাঙ্গেরির সাথে জয়ের মুখ না দেখার পরিসংখ্যানটি দুশ্চিন্তায় ফেলতে পারে কোচকে। তবে দলে ডেভিড আলাবা, আরনাউতোভিচরা থাকায় সেই চিন্তায় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে চাইবে অস্ট্রিয়া।