আইসল্যান্ড রূপকথা চলছেই!
মাত্র ৩ লাখ ৩০ হাজার লোকের দেশ। তার মধ্যে অন্তত দশ হাজার জন ফ্রান্সে চলে এসেছেন। প্রথমবারের মতো নিজেদের দেশ কোন বড় টুর্নামেন্ট খেলবে, তাদের হয়ে গলা ফাটানো তো চাই। আইসল্যান্ড সমর্থকদের গাঁটের পয়সা পুরোপুরি উসুল হয়েছে, নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পর্তুগালকে ঠেকিয়ে দিয়েছে ১-১ গোলে। বাছাইপর্বের পর এবার ইউরোতেও আইসল্যান্ডের রূপকথা চলছে!
আফসোস থাকতে পারে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। লুইস ফিগোর ১২৭ ম্যাচের পর্তুগিজ রেকর্ডটা এই ম্যাচেই স্পর্শ করেছেন। কিন্তু গোল করে ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি। সেজন্য নিজেকেই অবশ্য দুষতে পারেন। ম্যাচের প্রথমার্ধে হোয়াও মুতিনহোর উড়ে আসা বলে একটুর জন্য পা লাগাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও ফাঁকায় পেয়েও হেড জালে জড়াতে পারেননি। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে পাওয়া ফ্রিকিকও পারেননি কাজে লাগাতে। পর্তুগালের মতো রোনালদোর রাতটাও হলো ভুলে যাওয়ার মতো।
অথচ শুরুটা ভালোই করেছিল পর্তুগাল। ৩০ মিনিটে আন্দ্রে গোমেসের ক্রস থেকে গোল করে এগিয়ে নেন নানি। আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক নানির হেডটা দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে না দিলে, আর রোনালদো শটটা পায়ে লাগাতে পারলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারত।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫০ মিনিটেই সমতা ফেরায় আইসল্যান্ড। পেপে ও ভিয়েরিনহার রক্ষণ দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ভলিতে আইসল্যান্ডকে সমতায় ফেরান বিরকির বারনাসন। সুযোগ আইসল্যান্ডও পেয়েছিল আরো, তবে পর্তুগালের গোলরক্ষক রুই প্যাত্রিসিও অন্তত তিনটি শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন।
সেটা নিয়ে অবশ্য খুব একটা আফসোস থাকার কথা নয়। এই ড্রটা যে আইসল্যান্ডের কাছে জয়ের সমান!