স্লোভাকিয়ার প্রথম জয়
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ মুহুর্তের গোলে ড্র করা রাশিয়াই ছিল ম্যাচের ফেভারিট। পরের রাউন্ডে ওঠার জন্য জয়টা দরকার ছিল রাশিয়ার। ড্র হলেও সুবিধাজনক অবস্থানেই থাকতে পারত স্লাটস্কির শিষ্যরা। কিন্তু রাশিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে এই গ্রুপের সব সমীকরণ বদলে দিয়েছে স্লোভাকিয়া। ইউরোর ইতিহাসে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে পরের রাউন্ডে ওঠার স্বপ্নটাও পুনুরুজ্জীবিত করেছেন হামসিকরা।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে মারেক হামসিকের বাড়ানো লম্বা বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাশিয়ার দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে জালে বল জড়ান স্লোভাক মিডফিল্ডার ভ্লাদিমির ভিসে। এরপর প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে হামসিকের ঋন শোধ করে দেন ভিসে! এবার সাহায্য করেন গোল করতে। ভিসের পাসে প্রায় একই জায়গা থেকে গোল করে স্লোভাকিয়াকে ম্যাচে দুই গোলের লিড এনে দেন নাপোলির মিডফিল্ডার হামসিক। সবশেষ ২০০৪ সালে এমন ঘটনা দেখেছিল ইউরো! সেবার ইংল্যান্ডের রুনি ও স্কোলস একে অপরকে গোল করতে সাহায্য করার পাশাপাশি, গোল করেছিলেন নিজেরাও।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে রাশিয়া। তবে ৮০ মিনিটের আগে স্লোভাকিয়ার জালে বল জড়াতে পারেনি রাশিয়া। গোছানো আক্রমণ থেকে দারুণ এক গোল করে স্কোরলাইন ২-১ করেন স্পার্টা মস্কোর মিডফিল্ডার গ্লুশাকভ। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে গোল করা যেন অভ্যেসেই পরিণত করেছে রাশিয়ানরা। ইউরোতে রাশিয়ার শেষ ৫ গোলের চারটিই এসেছে ৭৯ মিনিটের পর।
গ্লুশাকভের ওই গোলের পর অবশ্য মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের ম্যাচের মতোই অন্তত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়বে রাশিয়া। শেষ দশ মিনিটে বেশ কয়েকটি ভাল সুযোগ হাতছাড়া না হলে হয়ত রাশিয়ানদের খালি হাতে ফিরতে হত না।