আবারও শেষ মুহূর্তের ফরাসী সৌরভ
সবকিছুই হচ্ছিল, কিন্তু শুধু গোলটাই আসছিল না। এদিকে ঘড়ির কাঁটা পেরিয়ে ৯০ মিনিটের প্রায় কাছাকাছি। মার্শেইয়ের স্তাদিও ভেলোদ্রামে বাড়ছে উৎকন্ঠা। নির্ধারিত সময়ের প্রায় শেষে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দিলেন আন্তোনিও গ্রিয়েজমান। পরে অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষে গোল করে আলবেনিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিলেন দিমিত্রি পায়েট। আগের ম্যাচে শেষ মুহুর্তে গোল করেছিলেন, পায়েট আবারও অন্তিম সময়ে গোল করে নিশ্চিত করলেন জয়।
অথচ এই ম্যাচের প্রথম একাদশের সময়ই চূড়ান্ত বিস্ময়। পগবা ও গ্রিয়েজমান প্রথম একাদশে নেই! মার্শিয়াল শুরু থেকেই বিবর্ণ, নিস্ফলা প্রথমার্ধ শেষেই দিদিয়ের দেশম নামালেন পগবাকে। ফ্রান্সও নিজেদের হারিয়ে খুঁজছিল, অলিভিয়ের জিরুর গোটাকয়েক হেড ছাড়া প্রথমার্ধে সেভাবে আক্রমণই করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে পগবা নামার পরেই প্রাণ পেল ফ্রান্সের আক্রমণ। এরপর কোম্যানের জায়গায় নামলেন গ্রিয়েজমান, ফ্রান্স তখন শাণাচ্ছে একের পর এক আক্রমণ। কিন্তু গোলটা আর আসছিল না। জিরুর একটা হেড লাগল পোস্টে, একটুর জন্য মাথা ছোঁয়াতে পারছিলেন না কসিয়েলনি। মনে হচ্ছিল, দিনটা ফ্রান্সের নয়। কিন্তু গ্রিয়েজমান জ্বলে উঠলেন ঠিক সময়ে। আদেল রামির ক্রসটা হেড করে জালে জড়িয়ে দিলেন। পরে পায়েত ডান পায়ের দারুণ এক শটে করেছেন দ্বিতীয় গোল। পর পর দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে ফ্রান্স পরের পর্বও নিশ্চিত করে ফেলল।