বিশ্বকাপ ইতিহাসে বিয়োগান্তকতম
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম পর্ব থেকে ছিটকে পড়ল সাবেক বিশ্বজয়ী একটি দল। এর ঠিক একদিন পর হোটেল রুমে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেল সে দলের কোচকে, হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করলেন তাঁকে। ক্রিকেট জুয়া ও ম্যাচ গড়াপেটায় সে দলের নামটা যেহেতু অনেক আগে থেকেই ‘সুপরিচিত’, খুব দ্রুতই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ফেললেন ক্রিকেটাঙ্গিনার অধিকাংশ মানুষ। তাঁদের প্রগাড় সন্দেহ পরিণত হল বিশ্বাসে, যখন প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা মার্ক শিল্ডস বললেন যে তোয়ালে দিয়ে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে তাঁকে।
খুলেই বলা যাক। ২০০৭ বিশ্বকাপের কথা, গোটা ক্রিকেটবিশ্বের নজর তখন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দিকে। ১৮ই মার্চ মৃত্যু হয়েছিল পাকিস্তানের কোচ বব উলমারের। আর এ নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। জ্যামাইকা কন্সটাবুলারি ফোর্স(জেসিএফ) থেকে পাকিস্তান পুলিশ, এমনকি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড পর্যন্ত যুক্ত হয়েছিল সে ঘটনার তদন্তে। মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন- এ চারটি মাস হন্যে হয়ে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করেছে তারা।
শুধু ক্রিকেট অনুসারী দেশগুলোই নয়, পুরো দুনিয়ার কাছে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল এ ঘটনা। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করতে আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকাগুলো ফলো-আপ হিসেবে কিছুদিন পরপরই প্রকাশ করছিল মুখরোচক সব কাহিনী। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১২ই জুন জেসিএফ এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিবৃতিতে জানায় যে, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বব উলমারের, অর্থাৎ খুন হননি তিনি।