কিক আফের আগে: ইংল্যান্ডের ভয় একজনকেই
ইংল্যান্ডের ভয় একজনকেই
দলে আছেন অ্যাশলি উইলিয়ামস, জো অ্যালেন, অ্যারন রামসির মত প্রিমিয়ার লিগ তারকা। কিন্তু রয় হজসনের ম্যাচ পূর্ববর্তী ‘ওয়েলশ বধ’ ট্যাকটিকসে যে এদের সবাইকে ছাপিয়ে সেই গ্যারেথ বেলের নামই বারবার আসবে, তা বলাই বাহুল্য।
ইউরো মূলপর্বের ড্রয়ের পর থেকেই এই ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনার আঁচটা বেশি ছিল। সেই আগুনের আঁচেই যেন ঘি ঢেলে দিয়েছেন ওয়েলশ তারকা বেল, ‘ইংল্যান্ডের কোনো খেলোয়াড়ই ওয়েলশ দলে জায়গা পাবে না। ‘আগামীকালের (আজকের) ম্যাচে আমরাই জিতবো কারণ আমাদের একাত্মতা ঢের বেশি’। সতীর্থ অ্যারন রামসিও বেলের সাথে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের, আমাদের কোচ ও আমাদের মানুষদের জন্য খেলি’। ইংলিশ শিবির থেকে অবশ্য কোন প্রত্যুত্তর পাওয়া যায় নি। মাঠেই কি তাহলে জবাবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে হজসন শিষ্যরা?
দু’দলের কোনোটিতেই ইনজুরির ঝামেলা না থাকলেও হজসনের চিন্তার ভাঁজ হ্যারি কেইনের ফর্মহীনতা। তাই লেস্টার সুপারম্যান জেমি ভার্ডিকে শুরু থেকেও দেখা যেতে পারে। ১০২তম বারের মত খেলতে নামলেও আজকের ম্যাচটিই হবে কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম দেখা। পরিসংখ্যান, ইতিহাস ইংলিশদের পক্ষে গেলেও এই ওয়েলশ স্কোয়াড খুব সম্ভবত তাদের বিগত অর্ধশতকের সেরা দল। তাই জিততে হলে ইংলিশদের সর্বোচ্চটাই দিতে হবে এবং এর চেয়েও বড় কথা, গ্যারেথ বেলকে আটকাতে হবে।
জার্মানীর জবাব দেওয়ার ম্যাচ
ইউক্রেনের বিপক্ষে জয়ের পরেও খোদ জার্মান সমর্থকদের মনে বিরাজ করছিল অস্বস্তি। ক্রুস, বোয়াটেং, নয়্যার বাদে কেউই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। কিছুটা হলেও ভাগ্যের জোরে জেতা জার্মানদের অনেক প্রশ্নের জবাব দেওয়ার ম্যাচে প্রতিপক্ষ লেওয়ান্ডস্কির পোল্যান্ড। কোয়ালিফায়ারে এই পোল্যান্ডের কাছেই হেরেছিল লোয়ের শিষ্যরা। লো বলেছেন, ‘পোল্যান্ড অত্যন্ত গোছানো একটি দল। আমার দেখা অন্যতম সেরা কাউন্টার অ্যাটাকে খেলা দল তারা। ম্যাচটি অত্যন্ত কঠিন একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে’। অপরদিকে পোল্যান্ডের কোচ অ্যাডাম নাওয়ালকা বলেছেন, ‘বাছাইপর্বে জার্মানীকে হারিয়েই আমরা আমাদের আঠারো ম্যাচের জয়খরা ঘুচিয়েছিলাম। আশা করি আবারো তাই-ই করতে পারবো আমরা’।
জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাটস হামেলস ইঞ্জুরি থেকে ফিরে আসায় বেঞ্চে ফিরে যেতে হতে পারে প্রথম ম্যাচের গোলদাতা মুস্তাফিকে। অপরদিকে পোলিশ গোলরক্ষক শেজনির ইঞ্জুরির জন্য পোলিশ গোলে দেখা যাবে লুকাস ফ্যাবিয়ান্সকিকে।
নিজেদের ইউরো ইতিহাসে কখনোই টানা দুই ম্যাচ না জেতার রেকর্ডটা কি বদলাতে পারবে বনিয়েকের উত্তরসূরিরা? লেওয়ান্ডস্কি কি পারবেন নিজের ‘দ্বিতীয় দেশের’ ঘাতক হয়ে উঠতে? নাকি জার্মানী সব প্রশ্নের উত্তর দেবে পারদর্শীতার সাথে, যেমনটা তারা করে এসেছে এতদিন? উত্তরগুলো সময়ই বলে দেবে।
লাফেরটি, ডেভিস বনাম ইয়ারমোলেঙ্কো, কনোপ্লিয়াঙ্কা
ইউক্রেনকে হারানোর জন্য আইরিশদের আশা ভরসার প্রতীক নিঃসন্দেহে কাইল লাফেরটি। বাছাইপর্বে সাত গোল করা এই স্ট্রাইকার পোল্যান্ডের সাথের ম্যাচে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। তার ও স্টিভেন ডেভিসের মধ্যকার বোঝাপড়াটা আইরিশদের গোলের মূল উৎস। আর ইউক্রেনের মূল দুই তারকা ইয়ারমোলেঙ্কো ও কনোপ্লিয়াঙ্কা চাইবেন জার্মানীর সাথে ম্যাচের ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি এড়াতে।
সাসপেনশন, ইনজুরি না থাকায় পূর্ণশক্তির দলই নামাবে উত্তর আয়ারল্যান্ড ও ইউক্রেন। নিজেদের শেষ চার দেখায় ইউক্রেনের জয় দুটিতে আর ড্র দুটি। হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা আরো ঘনীভূত হবে- এমতাবস্থায় হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াই অপেক্ষা করছে ফুটবল অনুরাগীদের জন্য।