• ইউরো
  • " />

     

    ইংল্যান্ডকে বাঁচালেন দুই বদলি

    ইংল্যান্ডকে বাঁচালেন দুই বদলি    

    ম্যাচের ৪২ মিনিটে বেলের গোলে পিছিয়ে যাবার পর রয় হজসন মাঠে নামিয়ে দেন জেমি ভার্ডি আর ড্যানিয়েল স্টারিজকে। হজসনের ওই সিদ্ধান্তটাই টনিকের মতো কাজ করলো ইংল্যান্ডের। দুই বদলির গোলে পেছন থেকে ফিরে এসে ওয়েলসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।

    রাশিয়ার বিপক্ষে শেষ মুহুর্তের গোলে কপাল পুড়েছিল ইংল্যান্ডের। এবার ওয়েলসেকে হতাশায় ডুবিয়ে ম্যাচের ৯০ মিনিটে পুরো ৩ পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেল হজসনের ইংল্যান্ড।

    ওয়েলসের জন্য অবশ্য হারটাকে হৃদয় বিদারকই বলতে হবে। ম্যাচের ৪২ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া গ্যারেথ বেলের ফ্রি-কিক জো হার্টকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ালে ম্যাচে এগিয়ে যায় ওয়েলশ। তখন থেকেই ইংল্যান্ড বধের স্বপ্নটা আরও স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছিল রামসে, বেলরা। স্লোভাকিয়ার মতো এই ম্যাচেও বেলের গোল পাওয়া তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। ম্যাচ হারলেও একটি রেকর্ড কিন্তু করে ফেলেছেন এই ওয়েলস ম্যান। বেলের আগে একই ইউরোতে দু’বার ফ্রি কিক থেকে গোল করতে পেরেছিলেন শুধু প্লাতিনি (১৯৮৪) ও হাসলার (১৯৯২)।



    কিন্তু এরপরই আসলে বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্টারলিং ও হ্যারি কেনকে বসিয়ে ভার্ডি ও স্টারিজকে নামিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। এর ফল পেতেও বেশি দেরি হয়নি থ্রি লায়ন্সদের। মাঠে নামার মিনিট দশেক পর বাঁ প্রান্ত দিয়ে স্টারিজের ক্রস ওয়েলস ডিফেন্ডার অ্যাশলি উইলিয়ামসের গায়ে লেগে ভার্ডির কাছে পৌঁছে। লেস্টার সিটির সুযোগসন্ধানী এই স্ট্রাইকার মাঠে নামার পর ওই নিয়ে বলে পা লাগানোর সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র তিনবার। আর তাতেই গোল করে ইংল্যান্ডকে সমতায় নিয়ে যান ভার্ডি।

    এরপর অবশ্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ইংল্যান্ডের হাতেই। তবে শেষ মুহুর্ত পর্যন্তও ওয়েলসের ডিফেন্স ভাঙার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় মনে হচ্ছিল আরও একটি ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়বে ইংল্যান্ড। তখনই ড্যালে আলির পাসে গোল করে ইংল্যান্ড সমর্থকদের আনন্দে ভাসান ড্যানিয়েল স্টারিজ।



    শেষ মুহুর্ত গোল হজম করে শূন্য হাতেই ফিরতে হল গ্যারেথ বেলের ইংল্যান্ডকে।  অথচ এই ম্যাচ থেকে অন্তত এক পয়েন্ট পাওয়ার জন্য যা কিছু করার সবই করেছে ওয়েলস। ম্যাচশেষে বেলও মেনে নিলেন ভাগ্যকে। "আমাদের যা করার ছিল সবই করেছি; হতাশ, তবে আফসোস নেই" ম্যাচ শেষে হতাশ হলেও বেলকে প্রত্যয়ীই মনে হল। শেষ ম্যাচে রাশিয়ার বিপক্ষে জিতে পরের রাউন্ডে যাবার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে রাখতে এখন অনুপ্রেরণাটাই সবচেয়ে বেশি দরকার ওয়েলসের।