'নতুনরাই জমিয়ে দিচ্ছে ইউরো'
ইউরোর রোমাঞ্চটা বরাবরই অন্য যে কোনো আঞ্চলিক আয়োজনের চেয়ে আলাদা। দলগুলোর মধ্যে লড়াইটাও জমে বেশ। একতরফা ম্যাচ যেমন বিরল, আগে থেকে কারও গায়ে ‘ফেবারিট’ তকমা লাগানোটাও কঠিন এখানে। ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণের চলতি লড়াইও হতাশ করে নি। বরং ‘অনিশ্চয়তা’র আঁচটা যেন এবার গায়ে লাগছে একটু বেশীই। আর সেটা টুর্নামেন্টের নতুন দলগুলোর জন্যই হচ্ছে বলে মনে করেন জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো। রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বনে এঁরাই বড় দলগুলোর সামনে এগোনোর পথ কঠিন করে তুলছে বলে মন্তব্য তাঁর।
লো’র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলও কাল গোলশুন্য ড্র করেছে পোল্যান্ডের সাথে। স্লোভাকিয়া, হাংগেরি, আইসল্যান্ড, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের মতো দলগুলো দারুণ পারফর্ম করছে। একের পর এক শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চ জাগানিয়া ম্যাচ উপহার দেয়ার কৃতিত্ব কথিত দুর্বল দলগুলোকেই দিচ্ছেন জার্মানির কোচ, “জানি না এটা এবার ২৪ দল খেলানোর ফল কিনা। তবে শেষ মুহূর্তে অনেক গোল হচ্ছে, ম্যাচগুলোও বেশ ‘ক্লোজ’ হচ্ছে। আর এসবই হচ্ছে নতুন দলগুলোর জন্য। এটিকেই জীবনের সেরা উপলক্ষ জ্ঞান করে তাঁরা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিচ্ছে। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকানোতেই প্রথমে মনোযোগ দিচ্ছে, তারপর সুযোগ বুঝে পাল্টা আক্রমণে যাচ্ছে।”
এমন ফুটবলই প্রত্যাশিত- মন্তব্য করে লো বলছেন, সে কারণে কোনো দলকেই ‘ফেবারিট’ বলার সময় এখনও আসে নি, “গ্রুপ পর্বে আসলে এসব বলা কঠিন। গত আসরেই তো যে দু’ দল ফাইনাল খেললো গ্রুপ পর্বে তাঁদের অবস্থা খুব সুবিধের ছিল না।”
তারপরও নিজের দলের সাথে ফ্রান্স, ইতালি আর স্পেনকে আলাদা করে এগিয়ে রাখতে চান জার্মান ম্যানেজার। তবে আসল খেলাটা নক-আউট পর্ব থেকেই শুরু হবে বলে মনে করেন তিনি, “তখন থেকে আসলে একটা বাজে দিন মানেই সর্বনাশ। সামনে এগোতে সে সময় ভাগ্যও প্রয়োজন হবে।”