ফ্রান্সের পর ইতালি
সুইডেনকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেকেন্ড রাউন্ডে চলে গেল ইতালি। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে স্ট্রাইকার এডার মার্টিন্সের গোলে এবারের ইউরোতে টানা দ্বিতীয় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কন্তের শিষ্যরা। এর আগে শেষবার ২০০০ সালে ইউরোর গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছিল আজ্জুরিরা। ওই আসরে রানার্স আপ হয়ে শেষ করেছিল ইতালি।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠে থেকে নেয়া কিয়েলিনির লম্বা থ্রো বদলি খেলোয়াড় সিমিওন জাজা মাথা ছুঁয়ে দেন সতীর্থ খেলোয়াড় এডারকে। এই মৌসুমে ধারে ইন্টার মিলানে খেলা এই স্ট্রাইকার দ্রুতগতিতে সুইডেনের ৩ জন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডি বক্সের ঠিক ভেতর থেকে গোল করে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন।
এর কিছুক্ষণ আগে অবশ্য এগিয়ে দিতে পারত ইতালি। বাম প্রান্ত থেকে আসা জাকেরেনির ক্রস হেড করে বারপোস্টে লাগান পারলো। গোলের আগ পর্যন্ত এটিই ছিল ম্যাচে ইতালির সেরা সুযোগ।
পুরো ম্যাচেই দু’দলের কেউই তেমন গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারায় এক সময় ম্যাড়মেড়ে ড্র-এর দিকেই এগুচ্ছিল খেলা। দু'দল মিলে পুরো ম্যাচে মাত্র ১২টি শট নিতে পেরেছে গোলমুখে; ১৯৮০ সালের পর যা ইউরোর ইতিহাসে এক ম্যাচে নেয়া সবচেয়ে কম শট! এডারের ওই মুহুর্তটাই ভাগ্য গড়ে দিয়েছে দুই দলের। অন্যদিকে সুইডিশ তারকা ইব্রাহিমোভিচ এই ম্যাচেও ছিলেন অনেকটাই নিষ্প্রভ। ম্যাচের ৭২ মিনিটে ফাঁকা গোলপোস্ট গোল করতে ব্যর্থ হন ইব্রা; অবশ্য তিনি নিজে অফসাইডে ছিলেন কীনা সেটা নিয়ে শট মারার সময় হয়ত দ্বিধায় ছিলেন। পরে রেফারির ফ্ল্যাগ উঠতে না দেখে বারে কপাল ঠুকেছেন হতাশায়।
দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে ইউরোর খাদের কিনারায় পৌঁছে গেছে সুইডেন। আর টুর্ণামেন্টের শুরুতে হিসেবে না থাকা ইতালি এই গ্রুপ থেকে সবার আগে চলে গেলো নক আউট পর্বে।