শুধু গোলটাই পেলেন না রোনালদো
একটা ম্যাচে বোধ হয় এর চেয়ে বেশি কিছু আর করতে পারতেন না। গোলের সুযোগ পেয়েছেন, কাজে লাগাতে পারেননি। দূর থেকে শট নিয়েছেন, হেড করেছেন, কিন্তু অস্ট্রিয়ার গোলরক্ষক আজই অতিমানব হয়ে গেলেন। পেনাল্টি পর্যন্ত আদায় করে নিয়েছেন, কিন্তু সেটা থেকেও গোল করতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত বল জালে জড়িয়েই দিয়েছিলেন, কিন্তু অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর গোল পেলেন না। অস্ট্রিয়ার সঙ্গে পর্তুগালকে সন্তুষ্ট থাকতে হলো গোলশূন্য ড্র নিয়ে।
অথচ এই ম্যাচের মঞ্চ রোনালদোর জন্য সাজানোই ছিল। আইসল্যান্ডের ম্যাচে পেতে পেতেও গোল পাওয়া হয়নি, ওই ম্যাচের পর রোনালদোর কথা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। সবকিছুর জবাব দিতে পারতেন মাঠেই, গোল করে। এই ম্যাচেই লুইস ফিগোকে ছাড়িয়ে পর্তুগালের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর গোলটা পেলেন না রোনালদো।
সহজ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন প্রথমার্ধেই। ২২ মিনিয়েই রাফায়েল গেরেরোর পাস থেকে রোনালদো একটুর জন্য গোল করতে পারেননি, তাঁর ট্যাপ ইন চলে যাই বাইরে। প্রথমার্ধেই অস্ট্রিয়া গোলরক্ষক রবার্ট এলমার রোনালদোর আরেকটি শট আটকে দিয়েছেন।
কিন্তু মূল্যবান সুযোগগুলো পেয়েছেন দ্বিতীয়ার্ধেই। বাঁ পায়ে দূর থেকে শট ফিরিয়ে দিয়েছেন এলমার, পরে আবার কর্নার থেকে আরেকটি হেড ফিরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু পেনাল্টি পাওয়ার পর খরাটা কাটবে বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু সেটাও লাগালেন পোস্টে, কোনো বড় আসরে পর্তুগালের হয়ে এই প্রথম পেনাল্টি মিস করলেন। সেই সাথে এবারের ইউরোতে গোল মুখে বিশটি শট নিয়েও গোলশূন্য থাকতে হল রোনালদোকে।
পুরো ম্যাচ দাপিয়ে খেলেও পর্তুগালকে তাই ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো। ইউরোতে রোনালদোর গোলের জন্য অপেক্ষাও বাড়ল আরেকটু।
দুই ম্যাচ থেকে দুই পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় হাঙ্গেরি-আইসল্যান্ডের নিচে পর্তুগাল। নক আউট পর্বে উঠতে শেষ ম্যাচে তাই কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে রোনালদোদের জন্য।