বদলি-চমকেও কাজ হলো না ইংল্যান্ডের
প্রথম একাদশেই চমকে দিয়েছিলেন রয় হজসন। ওয়েলসের সঙ্গে জয়ের প্রথম একাদশের ছয়জনকে বসিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ফাটকাটা কাজে আসেনি, সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ভার্ডি, স্টারিজরা। শেষ পর্যন্ত স্লোভাকিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। দ্বিতীয় হয়েই এই গ্রুপ থেকে পরের পর্বে উঠেছে ইংল্যান্ড, রাশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সবার ওপরে থেকে গ্রুপ শেষ করেছে ওয়েলস। স্লোভাকিয়া তৃতীয় হয়ে নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে ভালোমতোই।
অথচ গোলের জন্য যা দরকার, তার প্রায় সবই করেছে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্লোভাকিয়া গোলরক্ষক মাতিউস কোজাচিক। অন্তত দুইবার নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দিয়েছেন। একবার ওয়ান টু ওয়ানে ভার্ডির শট সেভ করেছেন, আরেকবার লালানার খুব কাছ থেকে নেওয়া শট বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধে উইলশেয়ার-লালানাকে তুলে রুনি-ডেলে আলিকে নামান হজসন। স্কারটেল অমন অবিশ্বাস্যভাবে গোললাইন থেকে ফিরিয়ে না দিলে ডেলে আলি মাঠে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই গোল পেয়ে যেতে পারতেন। পুরো ম্যাচে ৩০টি শট, ২৭টি সুযোগ সৃষ্টির পরেও ইংল্যান্ডকে গোল না পেয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতে এসে ওয়েলস চমক দেখিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে ৩-০ গোলের শুরুটা করেছিলেন অ্যারন রামসি। জো অ্যালেনের দারুন একটা থ্রু থেকে দুর্দান্ত একটা ফিনিশ করেছেন। ওয়েলসের দ্বিতীয় গোলের উৎস গ্যারেথ বেল, ২০ মিনিটে সেটি ফিনিশ করেছেন নিল টেলর। ৬৭ মিনিটে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছেন গ্যারেথ বেল। টুর্নামেন্টে এটি বেলের তৃতীয় গোল, ২০০৪ সালে মিলান বারোসের পর এই প্রথম কেউ ইউরোতে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন। গোল্ডেন বুটের লড়াইয়েও এখন সবার চেয়ে এগিয়ে বেল।