• ইউরো
  • " />

     

    নিজেদের খেলোয়াড়দের কাঠগড়ায় তুলছেন তুরস্কের কোচ!

    নিজেদের খেলোয়াড়দের কাঠগড়ায় তুলছেন তুরস্কের কোচ!    

    টানা দু’ ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পাল্লাটাই ভারী হয়ে গেছে তুরস্কের জন্য। আজ শেষ ম্যাচে চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে জয়ই কেবল বাঁচিয়ে রাখতে পারে নক-আউটের আশা। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে তুরস্কের কোচ ফাতিহ তেরিম ব্যর্থতার কাঠগড়ায় তুলছেন তাঁর খেলোয়াড়দের। একইসাথে সমালোচকদের উদ্দেশ্যেও ক্ষোভ ঝেড়ে বলছেন, সময় হলেই সব জবাব দেবেন তিনি।

     

     

    তুর্কি কোচ বলছেন টুর্নামেন্টের প্রাক্কালে তাঁর অনুশীলন ক্যাম্পে কিছু অপ্রত্যাশিত সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের তিনি নিজেই বেছে নিলেও তেরিম বলছেন তাঁদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত পারফম্যান্স তিনি পাচ্ছেন না, “একটা বড় টুর্নামেন্টের আগে অনেক রকমের সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু আমি অন্তত চেয়েছিলাম আমার খেলোয়াড়েরা মূলপর্বের খেলা শুরুর আগেই নিজেদের তৈরি করে নিক।কারণ এ ধরণের একটা টুর্নামেন্টের মাঝপথে তো আর আপনি নিজেকে নতুন করে তৈরি করতে পারবেন না। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটও অনেক সময় অনেক কাজ কঠিন করে তোলে। যাই হোক, সব কথা তো মিডিয়ার সামনে বলতে পারবো না। তবে চেয়েছিলাম আমার খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটুকু দিয়ে চেষ্টা করুক...।”

     

    সে চেষ্টা তাঁরা অন্তত আজকের ম্যাচে করবে বলে আশাবাদী কোচ। অবশ্য তিনি এ-ও বলছেন যে তাঁর পক্ষে হতাশাটুকু সবসময় গোপন করে রাখা সম্ভব হয় না, “আমরা টানা ১৬-১৭টা ম্যাচ ভালো খেলেছি। অনেক শক্ত প্রতিপক্ষের সাথেও লড়াই করেছি। ওই ম্যাচগুলোর সাথে শেষ দুটো ম্যাচ তুলনা করে দেখুন, আকাশ-পাতাল পার্থক্য পাবেন। অনেক ধরণের সমস্যা ছিল। সব এখন বলতে চাই না। আপাতত এই ম্যাচটা নিয়ে মনোযোগী হতে চাই। টুর্নামেন্ট শেষ হোক, তারপর বলা যাবে।”

     

    তুরস্কের ফুটবলে সব বড় অর্জন তাঁর হাত ধরে এসেছে- এমন দাবী করে তেরিম বলছেন, তাঁর এমন সাফল্য অনেকেরই সহ্য হয় না। আর তাই সুযোগ পেলেই তাঁরা তাঁর খুঁত ধরায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এই সমালোচকদেরও তিনি সময়মতোই জবাব দেবেন বলে জানিয়ে রাখছেন, “একটি টিভি অনুষ্ঠান, যেটার সাথে ফুটবলের কোনো সম্পর্কই নেই, সেখানে একজন ইতিহাসের অধ্যাপক আমাদের সমালোচনা করছেন। অনেকেই অনেক কথা বলছে। সেসবের জবাব দেয়ার সময় এটা নয়। সময় হোক, আমি তাঁদের মুখোমুখি হব।”

     

    তবে তাঁর হতাশা খেলোয়াড়দের ছুঁয়ে যাবে না এবং তাঁরা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিজেদের সেরাটুকু দিয়েই চেষ্টা করবে- এমনটাই প্রত্যাশা ৬২ বছর বয়সী কোচের।