• ইউরো
  • " />

     

    জার্মান আগ্রাসনে প্রতিরোধ ম্যাকগভার্নের

    জার্মান আগ্রাসনে প্রতিরোধ ম্যাকগভার্নের    

    অবশেষে দেখা মিললো জার্মানির। সেই জার্মানির, ’১০ এবং ’১৪ বিশ্বকাপে যারা খেলা দিয়ে জিতে নিয়েছিল ফুটবল অনুরাগীদের মন। উত্তর আয়রল্যান্ডের সাথে স্কোরলাইন ১-০ হলেও সেটি ৫-০ বা তার বেশিও হতে পারতো যদি না আইরিশ গোলরক্ষক ম্যাকগভার্ন নিজের জীবনের সেরা ম্যাচটি না খেলতেন। শেষ পর্যন্ত এই জয়েই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বে চলে গেল জার্মানি। ইউক্রেনকে ১-০ গোলে হারিয়ে দুইয়ে থেকে সেখানে তাদের সঙ্গী পোল্যান্ড। 

    খেলার মাত্র আট মিনিটেই ওজিলের চমৎকার পাসে ম্যাকগভার্নের সাথে ওয়ান-অন-ওয়ান অবস্থায়ও আইরিশ কিপারের দক্ষতায় গোল করতে ব্যর্থ হন থমাস মুলার। এরপর কিছু ‘হাফ চান্সেস’ আসলেও সেগুলো দক্ষ হাতে রুখেন আইরিশ নাম্বার ওয়ান। কিন্তু ২৮ মিনিটে কিমিচের ক্রসে যখন মুলারের অসাধারণ হেড তার নাগালের বাইরে চলে যায়, তখন তার সহায় হয় বারপোস্ট। অবশ্য জার্মানীকে বেশীক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি। ২৯ মিনিটেই ওজিল-মুলার হয়ে বল পেয়ে আইরিশ ডিফেন্ডার হিউজের পায়ের মধ্য দিয়ে নেয়া শটে বল জালে জড়ান মারিও গোমেজ। গলটি পেয়ে আবারো ক্ষীপ্র বাঘের মত আইরিশদের চেপে ধরে জার্মানরা। ৩৫ মিনিটে হেক্টরের ক্রসে মাত্র ১২ গজ দূর থেকে নেয়া মুলারের শট আবারো বারে লেগে ফিরে আসে। এভাবেই কমপক্ষে পাঁচ পাঁচটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করেও মিসের মহড়া ও ভাগ্যের দোষে মাত্র এক গোলের লিড নিয়েই প্রমার্ধ শেষ করে মুলার-ওজিলরা।

    দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা সেই একই তালে গড়াতে থাকে। ৫২ ও ৫৩ মিনিটে আবারো অসাধারণ পারদর্শীতার সাথে গোটজেকে দু দুটি নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করেন সেই ম্যাকগভার্ন। এরপর আবারো ৮৩ ও ৮৯ মিনিটে গোটজের মত গোমেজকেও গোলবঞ্চিত করেন আইরিশ কিপার। ম্যাচ শেষে জার্মানীর ১১টি লক্ষ্যে নেয়া শটের বিপরীতে একটি মাত্র গোলই বলে দিচ্ছে ঠিক কতটা অসাধারণ খেলেছেন ম্যাকগভার্ন। 

    এক দলের মান বাঁচানোর আর অন্য দলের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ম্যাচটিতে ইউক্রেনকে লিড এনে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল ইয়ানমোলেঙ্কোর পায়ে খেলার ১৭ মিনিটে। কিন্তু পোলিশ কিপার ফ্যাবিয়ানস্কিকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন এই উইঙ্গার। ম্যাচের আধা ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর জার্মানীর এগিয়ে যাওয়ার খবর মাঠে ছড়িয়ে পড়লে গোলের নেশায় মত্ত হয়ে ওঠে পোল্যান্ড। কিন্তু প্রথমার্ধে ইয়ারমোলেঙ্কোর মিস বাদে আর গোলের কোনো সুযোগই তৈরি হয়নি।

    বহুল প্রতীক্ষিত সেই গোলের দেখা মেলে ৫৪ মিনিটে। সাবেক কাপ্তান ইয়াকোব ব্লাশিকওস্কির বাঁ পায়ের অসাধারণ বাঁকানো শট ইউক্রেন কিপার পিয়াটভকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়। এরপর মিনিটখানেক পরেই কাউন্টার অ্যাটাকে পিয়াটভকে এক পেয়েও শট বাইরে মারেন কাপুতস্কা। এরপর কিছু বিচ্ছিন্ন আক্রমণ ছাড়া আর দু দুটো পেনাল্টি আবেদন ছাড়া আর উল্লেখযোগ্য কিছুই কতে পারেনি ইয়ারমোলেঙ্কো, কনোপ্লিয়াঙ্কারা। রেফারির শেষ বাঁশির পর তিন ম্যাচেই স্ট্রাইকারদের মিসের মহড়ার দরুণ রানার আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বনিয়েকের উত্তরসূরিদের। এরফলে শেষ ষোলতে পোল্যান্ডের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড।