রোনালদোর গোলেই মুক্তি পর্তুগালের
ম্যাচ শুরুর আগেই একটা রেকর্ড গড়ে ফেলেছিলেন। ইউরোতে সবচেয়ে বেশি (১৭টি) ম্যাচ খেলার রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। কিন্তু যে অধরা গোলের জন্য তৃষিত হয়ে ছিলেন, শেষ পর্যন্ত সেটার দেখা মিলল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জোড়া গোলেই হাঙ্গেরির সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করতে পেরেছে পর্তুগাল। গ্রুপের অন্য ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে অস্ট্রিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়েছে আইসল্যান্ড। এফ গ্রুপে তৃতীয় হয়েও নকআউট পর্বে উঠে গেছে পর্তুগাল। সেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। আর আইসল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
আগের ম্যাচে গোল করার যা যা দরকার, সবকিছুই করেছিলেন। কিন্তু গোলটা আর পাওয়া হয়নি। আজ গোলটা দরকার ছিল খুব করেই। ১৯ মিনিটে জলটান গেরার দুর্দান্ত এক গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল হাঙ্গেরি। পর্তুগালের সামনে তখন গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কা।
বিরতির ঠিক আগেই সমতা ফেরাল পর্তুগাল। রোনালদোর থ্রু থেকে গোল করলেন নানি। বিরতির ঠিক পরেই আবার এগিয়ে গেল হাঙ্গেরি। বালাস জুদজাকের ফ্রিকিক পর্তুগালের একজনের গায়ের লেগে দিকবদল করে ঢুকে যায় জালে।
সম্ভবত ওই গোলটাই জাগিয়ে তুলেছে রোনালদোকে। তিন মিনিট পরেই জোয়াও মারিয়ার ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক ব্যাকফ্লিকে পর্তুগালকে আবার সমতা ফিরিয়েছেন রোনালদো। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পর পর চার ইউরোতে গোলের রেকর্ডও হয়ে গেল।
কিন্তু নাটকের তখনো আরও বাকি। ৫৫ মিনিটে আবার গোল জুদজাকের, এবারও পর্তুগালের একজনের গায়ে লেগেই দিকবদল। কী অদ্ভুত, ৬২ মিনিটে আবারও রোনালদোর গোল। এবার রিকার্ডো কারেসমার ক্রসে হেড করেছেন রোনালদো।
কিন্তু অন্য ম্যাচে হয়ে গেছে অনেক নাটক। আইসল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার ম্যাচটা ১-১ গোলে শেষ হবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ট্রসটাসনের গোলে সাড়ে তিন লাখ লোকের দেশ আইসল্যান্ড পেয়ে যায় ইউরোতে নিজেদের প্রথম জয়।