ইংল্যান্ডকে আইসল্যান্ডের 'টোপ'
৩ লাখ ৩০ হাজার জনসংখ্যার দেশটির ফুটবল উত্থানের গল্প এখন মুখেমুখেই। রোনালদোর পর্তুগালকে রুখে দিয়ে শুরু হওয়ার ইউরোর স্বপ্নযাত্রায় আইসল্যান্ড এখন দ্বিতীয় রাউন্ডে। তাঁদের জন্য এটুকুই ‘যথেষ্ট’ পাওয়া হতে পারে। ইংল্যান্ডের মতো দলের কাছে হেরে নক-আউটের প্রথম ম্যাচেই বিদায় নিতে হলেও আক্ষেপ থাকার কথা নয়। কিন্তু যদি উল্টোটা ঘটে বসে? মানে ইংল্যান্ডই যদি বাদ পড়ে যায় ‘পুঁচকে’ আইসল্যান্ডের কাছে হেরে?
ইংলিশ ফুটবলাররা দেশে ফিরতে পারবেন তো? এই শংকা যদি একবারের জন্যও রুনিদের মাথায় এসে থাকে তাহলে তাঁদের ‘নিশ্চিন্ত’ থাকতে বলছেন আইসল্যান্ডের জনৈক ব্যবসায়ী। তাঁর প্রস্তাব, তাঁর দলের কাছে হেরে গেলে দেশে ফিরতে যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ইংলিশ ফুটবলাররা, তাহলে নির্দ্বিধায় তাঁরা চলে যেতে পারেন নর্দার্ন আইসল্যান্ডে। দেশে পরিস্থিতি ‘শান্ত’ হওয়া পর্যন্ত ওখানেই প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ফুটবলারদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন তিনি।
গুবজার্তার জনসন নামের ওই ব্যবসায়ী একটি নৌ-ভ্রমণ আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। রুনিদের পুরো দলের জন্য ২৩টি টিকিট তিনি আলাদা করেই রেখে দিয়েছেন, “এটা সাধারণ ভদ্রতা, আইসল্যান্ডের ঐতিহ্যগত আতিথেয়তাও বলতে পারেন।”
কেন এই আতিথেয়তার প্রস্তাব, সে ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন জনসন, “৩৩ লাখ মানুষের একটা দেশের কাছে হেরে বসলে ওদের সমর্থকরা স্বাভাবিকভাবেই খুব ক্ষেপে থাকবে। বেচারা খেলোয়াড়রা তখন বাড়ি ফিরবে কিভাবে? সেজন্যই বলছি, একটা দিন নর্দান আইসল্যান্ডেরর ছোট্ট একটা শহরে তিমি দেখে কাটিয়ে যান। এখানকার মনোরম প্রকৃতি আর অমায়িক মানুষগুলো সব দুঃখ ভুলিয়ে দেবে।”